রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

প্রবাসীরা বাংলাদেশের এম্বাসেডর: ভূমি সচিব

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৫:১৮ পিএম

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, প্রবাসীরা বাংলাদেশের এম্বাসেডর। তিনি আরো বলেন, তাদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশের চালিকা শক্তি। দেশে এসে অল্পদিনই তারা অবস্থান করেন। তাই প্রবাসীদের দুর্ভোগ লাঘবের প্রয়াস থাকতে হবে সব কর্মকর্তাদের। এজন্য সব জেলায় ডিজিটাল রেকর্ড রুমের কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন হলো সিলেট থেকেই। এখন থেকে শহরাঞ্চলে ৯ দিনে ও গ্রামাঞ্চলে ১২ দিনে প্রবাসীরা ভূমি নামজারি করতে পারবেন।
আজ রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ই-নামজারি বিষয়ক বিভাগীয় সঞ্জীবনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
সিলেটের চার জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি), ৩৯টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সহকারী কমিশনার (এসি, ল্যান্ড), কানুনগো ও সার্ভেয়াররা এ কর্মশালায় অংশ নেন।
তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশে ডিজিটালাইজেশনের যাত্রা শুরু হয়। আর এখনই অনলাইনে সেবা দেওয়ার মোক্ষম সময়। তাই ই-নামজারি এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। নবউদ্যমে স্বচ্ছ ও জনবান্ধব হয়ে সেবা দিতে মাঠ পযায়ে সবাইকে এক যোগে কাজ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সভাপতি সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহসান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ভূমি রেজিস্ট্রেশনে অনিয়ম থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দেড় কোটি আরএস খতিয়ান ডিজিটালে আনা হয়েছে। ভূমি রেজিস্ট্রেশনে অনিয়ম দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর এই চাওয়া মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রথমে চার জেলা পর্যায়ে ছয় জন করে ২৪ জনকে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে তৈরি করা হবে। পরে তারা উপজেলা পর্যায়ে এ বিষয়ে ট্রেনিং প্রদান করবেন। রেকর্ড রুমের পর্চা এখন অনলাইনে প্রদানে মাঠ প্রশাসনকে গতিশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কর্মকর্তা শবনম শারমিনের পরিচালনায় আয়োজিত কর্মশালায় সিলেটের ডিসি এম কাজি এমদাদুল ইসলাম বলেন, কোনো কাজে আগ্রহ থাকলে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। কেবল কাজকে কঠিন না বলে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। যদিও সিলেটে আগে থেকেই অনলাইনে কার্যক্রম চলে আসছে। এরপরও আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সিলেট জেলার শতভাগ নামজারি অনলাইনে হবে।
কর্মশালায় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ চার এসি ল্যাণ্ডকে পুরস্কৃত করা হয়। তারা হলেন- সিলেটের বিশ্বনাথের এসি (ল্যান্ড) ফাতেমা তুজ জহুরা, সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের এসি (ল্যান্ড) বিশ্বজিত দেব, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার এসি (ল্যান্ড) সাব্বির আহমদ ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার এসি (ল্যান্ড) সাদিউর রহমান জাদিদ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তাদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন।
সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের আয়োজনে এবং এটুআই প্রোগ্রামের সার্বিক সহযোগীতায় সিলেটে দেশের প্রথম ডিজিটাল রেকর্ড রুমের উদ্বোধন করেন ভূমি সচিব ও সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে কর্মশালায় ই-নামজারি সিস্টেম প্রদর্শন ও মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন