জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনড় অবস্থান নেয়ায় আমতলীতে প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য জমজমাট ভাবে চলছে।
বরগুনা জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্ত ছিল সূর্য ডোবার পর আর কোন প্রাইভেট ও কোচিং চলবে না। তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছিলেন, আমি থাকলে কোচিং থাকবে না আর কোচিং থাকলে আমি থাকব না। গত ৫ আগস্ট আমতলীর ইউটি এন্ড ডিসি হলে ইউএনওসহ বিভিন্ন স্তরের অফিসার, সাংবাদিক, শিক্ষক ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে তিনি এই সিদ্ধান্ত ব্যক্ত করেন। তার এই সিদ্ধান্তে অভিভাবকরা অত্যন্ত খুশি হন এই ভেবে যে, এখন থেকে বুঝি বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান আবার ফিরে আসবে। মেয়েদের জন্য রাত-বিরাতে প্রাইভেট বা কোচিং থেকে ফেরার দুশ্চিন্তায় থাকতে হবে না।
কিন্তু জেলা প্রশাসকের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীনসহ পূর্বচিলা এইচবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন, আমতলী এমইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম প্রমুখ। শিক্ষকদের প্রাইভেট ও কোচিং চালিয়ে যেতে বলেন। তিনি আরো বলেন, প্রাইভেট ও কোচিং ছাড়া ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া কোন মতেই সম্ভব না। ইউএনও’র এই আস্কারা পেয়ে আমতলীতে প্রায় অর্ধশতাধিক প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টার চালু রয়েছে।
এ ব্যাপারে গত ২৬ আগস্ট দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও ইউএনও মনিরা পারভীন জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অনড় অবস্থানে রয়েছেন। ইউএনও’র কাছে মোবাইল ফোনে প্রাইভেট ও কোচিং চালানোর জন্য শিক্ষকদের নির্দেশ দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে অন্য প্রসঙ্গে যান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন