ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের চরশালেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী মামাতো-ফুফাতো দুই বোন (১৫) ও (১৪) রাস্তা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে চরশালেপুর গ্রামের আশ্রয় কেন্দ্রের পাশে ফসলী মাঠের মধ্যে একযোগে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে ৫ যুবক। ধর্ষকরা হলো- উক্ত ইউনিয়নের চরশালেপুর গ্রামের উজ্জ্বল খান (২৫), শুকুর আলী সিকদার (২৬), সিরাজ সেক (২৫), ইলিয়াস বেপারী (২০) ও শফি মোল্যা (২৫)। ধর্ষণকালে তারা মোট ৫ খÐের মোবাইল ভিডিও চিত্র ধারন করে ধর্ষকগোষ্ঠী। ঘটনাটি গত ১৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় ঘটলেও মানসম্মানের ভয়ে চুপ ছিল ধর্ষিতাদের কৃষক পরিবার। কিন্তু ধর্ষণের ভিডিও চিত্র পুজি করে ১ লাখ টাকা পণ না পেয়ে সম্প্রতি ভিডিওগুলো ফেইসবুকে ছেড়ে দেয় ধর্ষকরা।
তাই নিরুপায় হয়ে গত ১ জুন নির্যাতিতা এক কিশোরীর পিতা আয়নাল মুসল্লি বাদী হয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলা করেছেন। বিজ্ঞ আদালত চরভদ্রাসন থানাকে মামলাটি এফআইআর করে দ্রæত আসামী গ্রেফতার পূর্বক কোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা যায়। চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাম প্রসাদ ভক্ত জানান, “মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, আজকালের মধ্যেই মামলাটি চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে”। ক্ষতিগ্রস্ত গৃহকর্তা আয়নাল মুসল্লি জানায়, ইউনিয়নের চরশালেপুর গ্রামে তার বসবাস। তিন ছেলে ও এক মেয়ের সংসারে সবার বড় মেয়েটি গ্রামের স্কুলে নবম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছে।
তার এক আপন ভাগ্নি বাড়ীতে লজিং থেকে একই স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছে। দুই বোন স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ধর্ষকরা প্রায় উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি ধর্ষক উজ্জল খান, শুকুর আলী সিকদার, সিরাজ সেকের অভিভাবকদের কাছে নালিশ দেয়ায় তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনার দিন ছিল ১ বৈশাখ। তাই ওই দিন সকালে দু’বোন বাংলা শাড়ী পরে মেঠোপথ ধরে পাশের গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ী বেড়াতে যাচ্ছিল। তারা একই গ্রামের বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রর কাছাকাছি পৌঁছলে ৩টি মোটরসাইকেল যোগে ৫ যুবক এসে তাদের ঘিরে ফেলে এবং জোর পূর্বক দু’বোনকে মোটর সাইকেলে তুলে নেয়ার পর আশ্রয়কেন্দ্রের পিছনে একটি ভূট্টা ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় লম্পট যুবকরা একইসাথে দু’বোনকে ধর্ষণ করার পাশপাশি অন্যরা মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে থাকে। পরে পথচারীদের সহায়তায় কিশোরী দু’টি বাড়ী ফেরে আসে। এ ঘটনার ভিডিও চিত্র জিম্মি করে ধর্ষকগোষ্ঠী নির্যাতিত পরিবারের কাছে ১ রাখ টাকা পণ দাবী করতে থাকে। কিশোরীর পরিবার পণের টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা ধর্ষণ ভিডিও ফেইসবুকে ছেড়ে দেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন