পঞ্চগড়ে চায়ের কাঁচা পাতার মূল্যবৃদ্ধিসহ ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন চা-চাষিরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের শেরে বাংলা পার্কের মুক্তমঞ্চে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ স্মল টি-গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে স¤পূরক দামে চা পাতা না কেনা হলে জেলার সকল চা কারখানা বন্ধসহ বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়।
বাংলাদেশ স্মল টি-গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম খোকনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন, জেলা চেম্বারের সভাপতি আব্দুল হান্নান শেখ, জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক, জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি বশিরুল আলম প্রধান, তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আনিছুর রহমান, বাংলাদেশ স্মল টি-গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম খোকনসহ চা-চাষিরা। এ সময় চা-চাষিরা বিদেশে চা-পাতা আমদানি নিরুৎসাহিত করা এবং সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে চা-পাতা প্রবেশ বন্ধ করা, কাঁচা চা-পাতার মূল্যবৃদ্ধি করা, পঞ্চগড়ে সরকারিভাবে চা-কারখানা স্থাপন ও পঞ্চগড়ে চা-অকশন মার্কেটের ব্যবস্থা করাসহ ছয় দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পঞ্চগড়ের চা-কারখানা মালিকদের সিণ্ডিকেটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চা-চাষিরা। মূল্য নির্ধারণ কমিটির দর মানছেন না চা-কারখানার মালিকরা। চলতি মৌসুমের শুরুতে ৩৫ টাকা থেকে ৩৮ টাকা কেজিতে চায়ের কাঁচাপাতা বিক্রি হলেও এখন তা ১০ থেকে ১২ টাকা বিক্রি করতে হয়। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে চা-পাতার দামবৃদ্ধি ও অন্যান্য দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবেন চা-চাষিরা।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে যান তারা। মিছিল শেষে চা-চাষিরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে ছয় দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি দেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান স্মারকলিপি গ্রহণ করে তা দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর আশ্বাস দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন