দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বুকচিরে বয়ে যাওয়া এক সময়ের খরস্রোতা তুলাই নদী কালের আবর্তনে এখন মোরা খালে পরিণত হয়েছে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এলাকার কতিপয় সুযোগ সন্ধানী মানুষ নদীর গর্ভের জমিতে আবাদ করে আসছে বিভিন্ন রকমের ফসল।
প্রকাশ, বিরল উপজেলার মঙ্গলপুর, বিরল, রাণীপুকুর এবং ভান্ডারা ইউপি’র উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তুলাই নদী দক্ষিণে মিলিত হয়েছে ভারতের টাংগন নদীর সাথে। প্রায় ৮-১০ বছর আগেও থৈ থৈ পানিতে ভরা তুলাই নদীর পানি দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমি আবাদ হতো হর হামেশাই। নদীর মাছ দিয়ে নিজে এবং আত্মীয়ের সমাদর করতো এ এলাকার মানুষ। শুধু তাই নয় এ নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতো।
দিন-রাত পানির কল কল শব্দে নদীর কালো মাটিয়া নামক খেয়া ঘাঠে নৌকায় উঠিয়ে লোকজন ও মালামাল পারাপার করতো বানু ঘাঠোয়াল নামের একজন মাঝি। কালের আবর্তনে এখন এই তুলাই নদীর রুপ রেখা হারিয়ে যেতে বসেছে। নদীর গর্ভে চলছে জমি ধোখল করে আবাদারে মহাউৎসব। এলাকার মানুষ মনে করেন, নদী রক্ষায় দ্রুত এ তুলাই নদী খনন করা প্রয়োজন। নদীটি খনন করা হলে একদিকে যেমন এ তুলাই নদী জীবন ফিরে পাবে। অন্যদিকে উদ্ধার হবে সরকারের বেহাত হওয়া কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন