এই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত সিলেট এম সি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের মিলনমেলা বনভোজন । গত ৮ সেপ্টেম্বর, রোজ রোববার সম্পন্ন হয়েছে নিউইয়র্ক সিটির ব্রংক্সের বেরেট্রো পয়েন্ট পার্কে । আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো সিলেট সরকারী এমসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের এই মিলনমেলা বনভোজন। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত সিলেট এমসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রায় শতাধিক প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এই পিকনিকে যোগ দেন।
প্রথমে পিকনিকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় রং-বেরংয়ের বেলুন উড়িয়ে। এরপর মরহুমদের স্মরণে নিরবতা পালন করা হয়। তারপর শুভেচ্ছা বক্তব্যে এবং পরিচিতপর্বের মাধ্যমে শুরু হয় বনভোজনের বিভিন্ন কার্যক্রম। একসময় তারা কলেজ জীবনের নানা স্মৃতিচারণসহ জম্পেস আড্ডায় মেতে উঠেন। এই সময় কলেজের শিক্ষকদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। দুপুরের খাবারের পর শুরু হয় লাল দল বনাম সবুজ দলের মধ্যে ফুটবল খেলা। ফুটবল খেলার পর অনুষ্ঠিত হয় রাফেল ড্র এবং সমাপনি অনুষ্ঠান। পিকনিকে উপস্থিত সবাইকে এমসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মনোগ্রাম খচিত কাপ উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়। এভাবেই বর্ণিল সব আয়োজন এবং আড্ডামুখর পরিবেশে শেষ হয় এই পিকনিক।
গত ৮ সেপ্টেম্বর রোববার ছিলো আমেরিকায় বসবাসরত সিলেট এম সি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের জন্য আনন্দ উল্লাস আর স্মৃতিচারণমুখর একটি দিন। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বর্তমান পর্যন্ত যারা এম সি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে লেখাপড়া করেছেন তাদের মধ্যে এই পিকনিকে উপস্থিত ছিলেন- সর্বজনাব মোহাম্মদ কালাম, আব্দুল কাইউম, তোফায়েল চৌধুরী, ওসমান গনি কায়কোবাদ, মোহাম্মদ আফতাব আলী, মজির চৌধুরী, মোহাম্মদ সুলতান কবির, মজনুর রহমান, ফয়জুর রহমান ফটিক, মোহাম্মদ হোসাইন, এনাম উদ্দীন, আজিজ আহমদ চৌধুরী, ইফতেখার সিরাজ, ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন, শাহিন আজমল, এস এম গোলাম রব্বানী চৌধুরী, জাহাঙ্গীর করিম, মুহাম্মদ কবির, আমিনুল হক চুন্নু, মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, মুহাম্মদ এন আহিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, মুহাম্মদ আব্দুর রহিম বাদশাহ, এ এস এম নাজমুল হুদা, মুহাম্মদ মুহিত জনি, ইয়াহিয়া বি চৌধুরী, আব্দুল আহাদ, মুরাকিব শামিম, সাখাওয়াত আলী, জালাল চৌধুরী, রুহেল চৌধুরী, লতিফ এ চৌধুরী, মুহাম্মদ সেবুল খান মাহবুব, আব্দুর রউফ, আব্দুল মনাফ, মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সারওয়ার চৌধুরী, ইফজাল আহমদ, মুহাম্মদ বজলুর রশিদ চৌধুরী শিপন, মুহাম্মদ আবু সাঈদ, হাবিব ফয়েজি, খালিদ ইসলাম, মাসুম আহমদ, তানভির আহমদ, মুহাম্মদ উদ্দিন, মুহাম্মদ আলী, আব্দুল হাকিম, সুব্রত তালুকদার, মুহাম্মদ মেহেদি হাসান, ফারহানা নীপা, খাদিজা ইসলাম, ইমরান উদ্দিন, সাহিদুল হাসান তানিম, প্রমুখ।
শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জনাব এএসএম একে সাব্রী সাবেরীন ও জনাব বোরহান উদ্দিন আহমেদ। এছাড়াও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইউরোপিয়ান বাংলাদেশী ফেডরেশন অব চেম্বারস অ্যান্ড ইন্ডাস্টির প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ালী তাসের উদ্দিন, বদরুন নাহার খান মিতা, এন মজুমদার, রেক্সোনা মজুমদার, সিরাজ উদ্দিন সোহাগ, আলমাস আলী, আলহাজ্ব অলিউর রহমান, সাইদুর রহমান লিংকন, আহাদ আলী, মামুন রহমান, মাকসুদা আহমেদ, ফেরদৌসী আক্তার, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী খসরু, হারুন আলী, ডা. শাহানারা আলী, জাহানারা বেগম লক্ষী, মনোয়ারা বেগম মনি, ফেরদৌসী বেগম বিউটি, জিয়াউল ইসলাম ঝিনুক, ইমরান আলী টিপু, কাজী জাকির, কামাল আহমেদ, আবুল খায়ের আখন্দ, মাহবুব আহমদসহ আরো অনেকেই।
.
পিকনিক কমিটির আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন তোফায়েল আহমদ চৌধুরী এবং সদস্য সচিব হিসাবে ছিলেন হাবিব ফয়েজি। তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করেন আবদুর রহিম বাদশা, মুহাম্মদ আলী, আব্দুল হাকিম, তানভির আহমদ, সারওয়ার চৌধুরী ও মাসুম আহমদ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন