ফয়সাল আমীন ও খলিলুর রহমান : বন্দর নগরীতে খুনের ঘটনার পর সিলেটে নগরীতেও বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে বাসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। সকল ধরনের অপরাধ কর্মকাÐের সাথে যারা জড়িত আছেন তাদের সনাক্ত করতেই মূলত এমন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
সিসিক সূত্রে জানা যায়, আরিফুল হক চৌধুরী সিসিক মেয়র নির্বাাচিত হওয়ার পর সিলেট নগরীকে সম্পূর্ণভাবে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনার পরিকল্পনা করেন। এ লক্ষ্যে নগরীর জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা সড়কে সিসি ক্যামেরা বসান তিনি। তবে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে কারাগারে যাওয়ার পর ভেস্তে যায় আরিফের ওই পরিকল্পনা।
সিটি করপোরেশনও সাময়িক বরখাস্তকৃত ওই মেয়রের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এতোদিন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। তবে অবশেষে অপরাধীদের পাকড়ায় করতে ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে সিসিক।
জানা যায়, প্রাথমিক অবস্থায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়। এ লক্ষ্যে সিলেট নগরীর তালতলা পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে সুরমা মার্কেট, সিটি পয়েন্ট বন্দরবাজার (ডাকঘরের সামন), ধোপাদিঘীরপাড়, সোবহানীঘাট হয়ে নাইওরপুল পর্যন্ত এবং সিটি পয়েন্ট থেকে জিন্দাবাজার পর্যন্ত সড়কে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রথম দফায় নগরীর প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়ক সিসি ক্যামেরার পর্যবেক্ষণের আওতায় এসেছে।
সিসিক সূত্র জানায়, প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ৯টি পয়েন্টে ২২টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তন্মধ্যে ৮টি পিডিজেড এবং ১৪টি ভেরি ফোকাল বুলেট ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। গেøাবাল ট্রেড করপোরেশন নামক একটি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করেছে।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, সিসি ক্যামেরাগুলো অপরাধী ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ক্যামেরাগুলো পুলিশ মনিটরিং করবে। এগুলো নগরীর যানজট পরিস্থিতি বুঝে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেও সাহায্য করবে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, যেসব সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে, সেগুলো উন্নত প্রযুক্তিসমৃদ্ধ। এসব ক্যামেরা পরীক্ষা করে সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা, তা দেখা হবে। পরবর্তীতে পুরো মহানগরী সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলেও জানিয়েছেন এনামুল হাবীব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন