তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরে একটি দখলবাজ চক্র ভুয়া দলিল সৃষ্টি করে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যর সম্পত্তি জবর-দখল করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে প্রায় ২০ বছর ধরে এসব সম্পত্তি ফিরে পেতে আদালত ও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ধর্না দিতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে। কিন্তু এখনো ফিরে পায়নি ওই সম্পত্তির ওপর অধিকার। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি আদালত থেকে বার বার নিজেদের পক্ষে রায় পেলেও দখলবাজদের পেশি শক্তির কারণে সম্পত্তির দখল নিতে পারছেন না। ওদিকে নিশীতের পক্ষে দেয়া আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দখলবাজচক্র উচ্চ আদালতে আপিল করে যা চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৯৭৭ সালের ২৫ ফেব্ররুয়ারি তানোর মৌজার প্রায় ১৮ শতক জমি নগেন্দ্রনাথ দাসের পুত্র কার্তিক চন্দ্র দাসের কাছে থেকে রামটহল দাসের পুত্র মুক্তিযোদ্ধা নিশীত কুমার দাস ক্রয় করেন ও ১৯৯৭-১৯৯৮ সালে নিজের নামে খারিজ করে খাজনা পরিশোধ করেন যার খারিজ কেস নং-৩৫৪/৯-১/১৯৯৭-১৯৯৮। কিন্তু ২০০৫ সালে মুক্তিযোদ্ধা নিশীতের মৃত্যু হলে এসব সম্পত্তি দখলের সুযোগ নেয় একটি দখলবাজ চক্র। তানোর বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবুর নেপথ্যে মদদে তানোর হিন্দুপাড়া গ্রামের নগেন্দ্রনাথের পুত্র শিবনাথ দাস, বিশ্বনাথ দাসের পুত্র নির্মল চন্দ্র দাস, পরিমল দাস, শিবনাথের পুত্র মদন কুমার দাস, উত্তম কুমার দাস ও বিনোদপুর গ্রামের শাহজাহানের পুত্র হাবিবুর রহমান যোগসাজশ করে ভুয়া দলিল সৃষ্টি করে এসব সম্পত্তি জবরদখল করে নিজেরা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে। এদিকে চক্রটি নিশীতের দলিল বাতিল চেয়ে পিটিশন দেয় যার মিস কেস মামলা নম্বর -৩৭/৯৭। কিন্তু মিসকেসে তারা হেরে যাবেন বুঝতে পেরে তারা নিজেরাই স্বেচ্ছায় মিসকেস প্রত্যাহার করে নেন।
অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা নিশীত বাদী হয়ে দখলবাজদের ভুয়া দলিলের বিরুদ্ধে তানোর সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানির পর বিজ্ঞ আদালত দখলবাজদের দলিল ভুয়া বলে ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন