অবৈধ জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে চলমান সাঁড়াশি অভিযানের অংশ হিসেবে ধানমন্ডি ক্লাব, এজাক্স ক্লাব, কারওয়ান বাজার মৎসজীবী ক্লাব ঘিরে রেখেছে র্যাব সদস্যরা। এদিকে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে হানা দিয়েছে র্যাব। র্যাব-২ এর একটি দল আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ১৯ মিনিটে এ অভিযান শুরু করে।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক আশিক বিল্লাল জানান, শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে শফিকুল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়। তিনি কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য। সন্ধ্যার সোয়া ৭টার দিকে ক্লাবটিতে অভিযান শুরু করা হয়। ‘অবৈধ কোনো কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কি-না, তা দেখতে এ অভিযান’।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র্যাবের হাতে আটক হন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
এরপর আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে জি কে শামীমের নিকেতনের ডি ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাসা ঘিরে ফেলে র্যাব। এর আগে নিকেতন এলাকায় জি কে শামীমের আরেকটি বাসা থেকে তাকে ডেকে আনা হয়। পরে তাকে আটক করেই অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে শামীমকে র্যাব কার্যালয়ে নেয়া হয়।
শামীমের সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীকেও আটক করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত)। এর মধ্যে তার মায়ের
নামে ১৪০ কোটি টাকা ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন