শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

হুমকিতে পাওয়ার প্লান্ট

যুবলীগ নেতার চাঁদা দাবি

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

তেঁতুলিয়ায় এক যুবলীগ নেতার চাঁদার দাবিতে হুমকির মুখে পড়েছে সিমপা পাওয়ার প্লান্ট নামে এক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এ ঘটনায় ওই নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানের এক বিদেশী পরিচালক।
আগামী মাসে প্রকল্পটি উদ্বোধনের কথা থাকলেও মামলা করায় আসামিদের হুমকিতে বাহিরে যেতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটির কোন কর্মকর্তা কর্মচারি। বিদেশী প্রকৌশলীরাও রয়েছেন নিরাপত্তা হুমকিতে। আসামীরা রাস্তার বিভিন্ন যায়গায় ওৎ পেতে থাকছেন বলে জানিয়েছেন কোম্পানীর ম্যানেজার সাজ্জাদ হোসেন।

জানা যায়, উপজেলার শালবাহান ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে ইউপি ট্যাক্সের নাম করে মাঝিপাড়ায় প্রতিষ্ঠিত সিমপা পাওয়ার প্লান্ট নামের প্যারাগন গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এ্যকুয়া ব্রিডার্সের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত চাঁদা নিয়ে আসছে। স¤প্রতি প্যারাগন গ্রুপ এখানে সিমপা পাওয়ার প্লান্ট নামে আরেকটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। বর্তমানে সিমপা পাওয়ার প্লান্ট ১০ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করছে। ঐ নেতা চলতি মাসের ১৪ তারিখ রাতে এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ডদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না দিলে কোম্পানী বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে ওই রাতেই ডাহুক ব্রীজের সামনে প্যারাগন গ্রুপের মুরগী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মুরগী বহনকারী একটি ট্রাকের জোর করে গতিরোধ করে যুবলীগ নেতা এবং তার ১০/১২ জন অনুসারী সিকিউরিটি গার্ড এবং ড্রাইভারকে ট্রাক থেকে নিচে নামিয়ে চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অসম্মতি জানালে তাদেরকে এলোপাথারী মারতে থাকে। পরে সবার মোবাইলগুলো নিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে ড্রাইভারের প্যান্টের পকেট থেকে ৪২ হাজার ৫শ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে এ ঘটনা কাউকে বললে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর সিমপা পাওয়ার প্লান্টের সিকিউরিটি অফিসার শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মামলার প্রধান আসামী যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি জানান প্যারাগন গ্রুপের সাথে ২০১৮ সালে পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণের জন্য মালামাল সরবরাহের জন্য উভয়ের মধ্যে লিখিতভাবে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী তিনি ৪১ লাখ টাকার ইট, পাথর, বালি সরবরাহ করেছেন। প্রতিসপ্তাহে বিল দেয়ার কথা থাকলেও কোম্পানীর কাছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ৯ মাস ধরে বকেয়া আছে। পাওনা টাকা চাইতে গেলে আজ-কাল দিবে বলে আমার সাথে টালবাহানা করতে থাকে। পাওনা টাকা চাওয়ার কারনে তারা আমাকেসহ আরো ১০/১২ জন নিরপরাধ ব্যক্তিদের জড়িয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করে।

এ ব্যাপারে তেঁতুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম জানান চাঁদাবাজির ঘটনাটি সত্য। দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন