চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে ফের পদ্মার ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের শেষ ঘরটি এবং মোজাফ্ফরিয়া দাখিল মাদরাসার ভবন নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, জোয়ার শেষে ভাটা শুরুর সময়টাতেই ভাঙন শুরু হয়। ঐ দিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভাঙনে বিস্তর এলাকার ভিটেমাটি ও ফসলি জমি নদীতে তলিয়ে গেছে। রাজরাজেশ্বরের অধিবাসীরা কোনও ত্রাণ চান না। তারা চান ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হোক। এলাকার ভাঙন ঠেকাতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।
রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী বেপারী বলেন, ‘উজান থেকে প্রবল বেগে পানি চাঁদপুর হয়ে বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হওয়ায় রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চর এলাকায় মেঘনা ও পদ্মা নদীর মিলনস্থলে প্রচণ্ড ঢেউ এবং ঘূর্ণি স্রোতের সৃষ্টি হয়। যার কারণে ঢালীর বাজার, দেওয়ান বাজার, লগ্মীমারা ও বন্ধুকসী বাজার এলাকায় নদী ভাঙনে ইতোমধ্যে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্কুল-মাদরাসা পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ওই এলাকার নদীর তীরবর্তী বাকি অংশগুলোও ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমরা ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছি। আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছি। তাদের যতটুকু সহযোগিতা করার তার জন্য চেষ্টা করবো।’ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ এবং মাদরাসা আগেই ভাঙনের মধ্যে ছিল। তবে অবশিষ্ট যা ছিল গত বৃহস্পতিবারের ভাঙনে সবটুকুই বিলীন হয়ে গেছে।’ এর আগে, গত ২৭ আগস্ট থেকে কয়েকদিনের ভাঙ্গনে রাজরাজেশ্বর মোজাফ্ফরিয়া দাখিল মাদরাসা ও ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়সহ শতাধিক বসতঘর বিলীন হয়ে যায়। ভাঙনের ভয়ে ওই সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়সহ শতাধিক বসতঘর সরিয়ে নেওয়া হয়। এদিকে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ওই এলাকায় কাজ করার কোনও পরিকল্পনা আমাদের নেই।’
মন্তব্য করুন