রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্য

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস

প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

যে ডায়াবেটিস প্রথম শুরু হয় বা ধরা পড়ে গর্ভকালীন অবস্থায় তাকে জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস
বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বলে। এ ছাড়াও প্রসূতির আগে থেকেও ডায়াবেটিস থাকতে পারে।
শতকরা ৭ জন এ ধরনের সমস্যায় ভুগতে পারে।
গর্ভকালীন সময়ে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স সৃষ্টি হয়। সেই অনুযায়ী বেশি মাত্রায় ইনসুলিন অগ্নাশয় থেকে বের না হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস হিসাবে দেখা দেয়।
বেশি রিস্ক যাদের তারা হলেন- খুব মোটা, আগে গর্ভকালীন এ সমস্যা ছিল, বেশি ওজনের শিশু জনম দেয়া, প্রস্রাবে চিনি বের হওয়া, পলিসিস্টিক ওভারীতে ভোগা ও পারিবারিক ইতিহাসে টাইপ ২ ডায়াবেটিস থাকা।
যারা তুলনামূলক নিরাপদে বা কম রিস্কে আছেন : ২৫ বছরের কম বয়স, আগে স্বাভাবিক ওজন, প্রথম ডিগ্রি আত্মীয়দের ডায়াবেটিস নেই, নিজের গর্ভসংশ্লিষ্ট কোন খারাপ পরিনতি নেই ও কম ডায়াবেটিস
হওয়া এথনিক গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত ইত্যাদি
যেভাবে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ধরা পড়ে : বেশি রিস্ক প্রসূতিদের ২৮ সপ্তাহর আগে ওরাল গ্লুকোজ
টলারেন্স টেস্ট করা হয়। অভুক্ত অবস্থায় ৫.১ বা তার বেশি, গ্লুকোজ খাওয়ার ১ঘণ্টা পর ১০
বা তার বেশি, ২ ঘণ্টা পর ৮ বা তার বেশি, মিলি মোল পার লিটারে হলে ডায়াবেটিস ধরা হয়।
খাদ্যে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, মুখে খাওয়ার ওষুধ বা ইনজেকশন ইনসুলিন গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা।
বেশির ভাগ প্রসূতি সন্তান জন্মের পর পরই স্বাভাবিক মাত্রার গ্লুকোজ ফিরে পান। পরবর্তীতে কেউ কেউ  টাইপ ২ ডায়াবেটিসে  আক্রান্ত হন। আসুন ডায়েট ও লাইফ স্টাইল মেনে ডায়াবেটিসকে দূরে রাখি।
ষ প্রফেসর ডাঃ এ কে এম মোখলেছুজ্জামান
কনসাল্টেন্ট মেডিসিন,
আজগর আলী হাসপাতাল
গে-ারিয়া, ঢাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন