: শিবপুরের এমপি জহিরুল হক মোহন এবং শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানের মধ্যে দ্ব›েদ্বর পথ ধরে এবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনুর রশিদ খান ও তার পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা ইউএনও হুমায়ুন কবিরকে অপসারণ করার জন্য ঢাকা বিভাগের কমিশনারের নিকট লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, শিবপুরে ইউএনও মো. হুমায়ুন কবির ঘুষ গ্রহণ, অর্থ আত্মসাতসহ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাÐ ব্যাহত করছেন। শিবপুর পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকাÐের নামে ব্যাপকভাবে সরকারি অর্থ লুটপাট করছেন। আর্থিক সুবিধা নিয়ে ইউএনও তার একক সিদ্ধান্তে শিবপুরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছেন। ফলে এলাকায় বাড়িঘর বিলীনসহ ভ‚মি ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ খান বলেন, শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ন কবির একজন আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ। তিনি ইউএনও পদের পাশাপাশি পৌরসভার প্রশাসক ও শিবপুরের সহকারী ভ‚মি কমিশনারের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এই সুযোগে প্রতিটি দপ্তরে তিনি নিজ ইচ্ছা মাফিক কাজ করেন। তাকে ঘুষ না দিলে কোন কাজ হয়না। এমনকি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাÐের কাজ থেকেও তাকে ঘুষ দিতে হয়। অন্যথায় তিনি ফাইল আটকে রেখে মানুষকে হয়রানি করেন।
উপজেলা চেয়ারেম্যান আরো বলেন, তিনি কোন রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দুলালপুর ও মাছিমপুর ইউনিয়নে অবৈধ বালি উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন। ইউএনওর নানা অনিয়ম এখন শিবপুরে ওপেন সিক্রেট। ইউএনওর দুর্নীতির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ জনগণ।
লিখিত অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম ভূইয়া রাখিল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাপসী রাবেয়া, ভাইস চেয়ারম্যান শরিফ ছারোয়ার ভূইয়া জুয়েলসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা।
সকল অভিযোগ অস্বীকার করে শিবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার সততা দেখে কিছু স্বার্থন্বেষীমহল সুনাম ক্ষুন্ন করার পাঁয়তারা করছে। আমি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেই না বিধায় আমার বিরুদ্ধে ওঠে পড়ে লেগেছে। দুলালপুর বালু উত্তোলনের প্রসঙ্গে বলেন, এ পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৫টি মেশিন পুড়িয়ে দিয়েছি বালু তোলার সরঞ্জাম ভেঙে দিয়েছি। সম্পূর্ণভাবে বালু তোলা বন্ধ। কোন ধরনের ফাইল আটকিয়ে ঘুষ গ্রহণ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন