বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক বলেছেন, এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোনে বিদেশিদের জন্য ক্যাসিনো থাকবে।
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পর্যটন সচিব বলেন, আমরা একক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোনই করছি। এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীও উপস্থিত ছিলেন।
সচিব বলেন, যে ক্যাসিনো নিয়ে আজকে অনেক কথা হচ্ছে, ক্যাসিনো কিন্তু বাংলাদেশে বিশেষ করে পর্যটকদের জন্য দরকার। মালয়েশিয়ায় কিন্তু ক্যাসিনো আছে, সেখানে কিন্তু পাসপোর্ট দিয়ে ক্যাসিনোতে ঢুকতে হয়। আমরা তো তাদের জন্য এ ধরনের কোনো সুযোগ-সুবিধা দিতে পারছি না। আমরা যেখানে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন করব, সেখানে বিদেশিদের জন্য এসব সুযোগ-সুবিধা থাকবে।
তিনি বলেন, এখন যে সরকারের উদ্যোগ (ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান) আমি তার সাথে কোনো দ্বিমত পোষণ করছি না। সরকারের উদ্যোগের সাথে সম্পূর্ণ একমত। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি বিদেশিদের জন্য, যেখানে শুধু পাসপোর্ট দিয়েই তারা যাবে। আমি এ কথাটাই বলতে চাচ্ছি। আমরা পর্যটকদের জন্য এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করতে চাই। যেখানে তারা পাসপোর্ট দিয়ে যাবে। বর্তমানে ঢাকায় ক্যাসিনোতে যে অভিযানগুলো চলছে এগুলো সম্পূর্ণ অবৈধ এবং আমি মনে করি সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিদেশিদের জন্য আমরা ব্যাংককের মতো নাইট ক্লাব-ক্যাসিনোর দিকে যাবে কিনা- প্রশ্নে সচিব বলেন, আমি যেটা মনে করি বিদেশি পর্যটকদের জন্য যদি আমরা কোনো এক্সক্লুসিভ জোন করি, পৃথিবীর অন্যান্য মুসলিম দেশে যেসব সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান আছে বাংলাদেশেও সেই ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে আমারতো মনে হয় কোনো অসুবিধা নেই। হতেই পারে।
সচিব বলেন, আমাদের কিন্তু পর্যটন স্পট আছে, আকর্ষণ আছে। সেগুলোকে কিন্তু আমরা পণ্য হিসাবে তুলে ধরতে পারিনি। আমাদের সুন্দরবন আছে, সুন্দরবন কিন্তু পৃথিবীতে দ্বিতীয়টা নেই। কিন্তু আমরা কি পর্যটকদের জন্য সেখানে কোনো ব্যবস্থা করতে পেরেছি, পারিনি। সেই কারণেই আমরা খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় স্পট বাছাই করে নিয়েছি; আমরা বিদেশি পর্যটকদের জন্য এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন সেখানে আমরা করবো। ঠিক একইভাবে, কক্সবাজারে আমরা প্রায় ৯৫ একর জায়গা নিয়েছি। আমরা সেখানে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন করবো। তিন পার্বত্য জেলাকে নিয়ে স্ট্যাডি করছি, সেখানে পর্যটকদের জন্য কী সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায়- আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি।
সুন্দরবনের পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে সচিব বলেন, আমরা পরিবেশ নষ্ট করতে চাই না। আমরা পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে কাজগুলো করতে চাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন