রাজধানীতে র্যাব-পুলিশের অবৈধ ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেতা খালেদ, জি কে শামীম ও কৃষকলীগ নেতা ফিরোজকে রিমান্ডে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দারা। অবৈধ মাদক ব্যবসা, জুয়া চালানো, টেন্ডারবাজিসহ নানা অপরাধে সহযোগিদের দীর্ঘ তালিকা দিয়েছে গ্রেফতারকৃতরা। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ওই তালিকা যাচাই-বাচাই করছে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। খালেদ মাহমুদের মামলার তদন্তভার র্যাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে মামলাটি ডিবি তদন্ত করছিলো। এছাড়া গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক এনু ও সহ-সম্পাদক রুপন ভূইয়ার ক্যাসিনোর টাকার সন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে দুই ভাইয়ের বিলাসী জীবনযাপনের তথ্য। গতকাল পর্যন্ত এদের গ্রেফতার করতে পারেনি আইন-শৃংখলা বাহিনী।
ডিবি থেকে র্যাবে ক্যাসিনো খালেদের মামলা : ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (সদ্য বহিস্কৃত) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার মামলার তদন্তভার র্যাবকে দেয়া হয়েছে। এতোদিন তার অস্ত্র ও মাদক মামলার তদন্ত করছিল মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ ঘটনায় আদালতের মঞ্জুর করা সাতদিনের রিমান্ড চলাকালীন মামলাটি র্যাবে হস্তান্তর করা হল। বুধবার সন্ধ্যায় মামলা দুটির তদন্তভার ডিবির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান জানান, খালেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলা দুটির তদন্ত করবে র্যাব । ওই মামলাগুলোর নথিপত্র র্যাব ইতোমধ্যে হাতে পেয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গুলশান থানায় দায়েরকৃত এ দুই মামলায় সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পর তদন্তভার পায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এতোদিন মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়েই চলছিল তার জিজ্ঞাসাবাদ। আগামী শুক্রবার তার রিমান্ড শেষ হবার কথা রয়েছে। অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার দায়ে গ্রেফতার খালেদের বিরুদ্ধে গুলশান ও মতিঝিল থানায় পৃথক চারটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক তিনটি মামলা ( নং-২৩, ২৪ ও ২৫) এবং মতিঝিল থানায় তার বিরুদ্ধে আরও একটি মাদকের মামলা (নং-৩১) করা হয়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর নিজ বাসা থেকে খালেদ মাহমুদকে আটক করা হয়।
ক্যাসিনো দুই ভাইয়ের বিলাসী জীবন
গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক এনু ও সহসম্পাদক রুপন ভূইয়ার ক্যাসিনোর টাকার সন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে দুই ভাইয়ের বিলাসী জীবনযাপনের তথ্য। র্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, অবৈধ অস্ত্রের হুমকি দিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি লিখে নেয়া থেকে শুরু করে পদ-পদবীও বাগিয়ে নিতেন এই দুই ভাই। আর কোটি কোটি টাকা ও ঢাকা শহরে প্রায় ৫০টি ফ্ল্যাট-বাড়ির মালিক এই দুই ভাই কখনোই কোনো পেশায় যুক্ত ছিলেন না। ক্যাসিনোই তাদের টাকা-পয়সার একমাত্র উৎস। র্যাব-৩-এর কমান্ডিং অফিসার(সিও) লে. কর্নেল কে এম শফিউল্লাহ বলেন, র্যাব এখন পর্যন্ত এনু ও রুপনের ১৫টি বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে ক্যাসিনোর টাকা দিয়ে তারা গত কয়েক বছরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ৫০টির মতো বাড়ি কিনেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
সেকেন্দার আলী নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, বানিয়ানগরের ১০ তলা ভবনটির পুরোটাই ব্যবহার করছেন দুই ভাই এনু ও রুপন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় দুই ভাই রাজকীয়ভাবে থাকেন। বাকি ফ্ল্যাটগুলো কাউকে ভাড়া দেয়া হয় না। এর মধ্যে কয়েকটি ফ্ল্যাটে থাকেন এনু-রুপনের আত্মীয়-স্বজনরা। তারা মূলত দুই ভাইয়ের সহযোগী হিসেবেই কাজ করেন। বাকি ফ্ল্যাটগুলো ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন অফিস হিসেবে। এছাড়া রয়েছে নাচ-গানের একটি স্টুডিও। মিটিংয়ের জন্য রয়েছে আলাদা ফ্ল্যাট। সুবাস নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, এই ভবনের ভেতরে পুলিশের অনেক কর্মকর্তা আসতেন। অনেক সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাও আসতেন। র্যাব সদস্যরা সোমবার ভোরে এই বাসায় অভিযান চালিয়েছে। অভিযানের পর বাইরে থেকে তালা লাগানো হয়েছে।
রাজধানীতে ফ্ল্যাটেও অবৈধ ক্যাসিনো
শুধু ক্লাবই নয়, রাজধানীর বহুতর ভবনের ফ্ল্যাটেও অবৈধ ক্যাসিনো চলছে বছরের পর বছর। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের কতিপয় প্রভাবশালী নেতাদের সেল্টারে চলতো এসব অবৈধ ক্যাসিনো। আর এসব ফ্ল্যাট ও ক্লাবে ক্যাসিনো পরিচালনার কারিগরি দিকগুলো দেখতো শতাধিক নেপালি নাগরিক। অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদসহ অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদে ২১টি ফ্ল্যাটে ক্যাসিনোর বিষয়ে তথ্য পেয়েছে র্যাব। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম দৈনিন ইনকিলাবকে জানান, ক্যাসিনো সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এ সব তথ্য র্যাব তদন্ত করছে। শিগগিরই এ সব অবৈধ ক্যাসিনোগুলোতে অভিযান চালানো হবে। ক্যাসিনো চালানোর সঙ্গে যুক্ত নেপালি নাগরিকদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তারা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য সব জায়গায় তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
একটি সূত্র জানায়, রাজধানীর বেইলি রোডের ৩টি ফ্ল্যাটে, গুলশানে ১টি, বনানীতে ১০টি ও উত্তরায় ৭টি ফ্ল্যাটে অবৈধ ক্যাসিনোর ব্যবসা রয়েছে। বেইলি রোডের ৩টি ফ্লাটে যে ক্যাসিনো চলে সেগুলো যুবলীগের একশীর্ষ নেতা পরিচালনা করেন। ওই নেতার বিরুদ্ধে ক্যাসিনো চালানোসহ চাঁদাবাজির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। বনানীর কয়েকটি ভবনে ক্যাসিনো পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের এক নেতা। স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় ওই ক্যাসিনোগুলো চলতে বলে তদন্তে তথ্য বেরিয়ে এসেছে। র্যাবের একজন কর্মকর্তা জানান, উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের পূবালী ব্যাংকের দোতলায় ক্যাসিনো চালাচ্ছেন উত্তরা পশ্চিম থানা শ্রমিক লীগের এক নেতা। এ বিষয়ে জোর তদন্ত করা হচ্ছে। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, রাজধানীর বহুতল ভবনের ফ্ল্যাটে ক্যাসিনো চালানোর সাথে জড়িতরা সবাই রাজনীতির সাথে জড়িত। র্যাবের অভিযানের পর থেকে জড়িতরা সবাই পলাতক রয়েছে। এদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
খালেদ-শামীমের হাতে শতাধিক অস্ত্র
দোর্দন্ড প্রতাপশালী খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও টেন্ডারবাজ জি কে শামীমের অস্ত্রের ভান্ডারের সন্ধান পেয়েছে জিজ্ঞাসাবাদকারী পুলিশ কর্মকর্তারা। অস্ত্র ও মাদক মামলায় তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এ দু’জন তাদের অস্ত্রের ভান্ডারের তথ্য দিয়েছেন। অস্ত্রগুলো কারা বহন করতেন- সে ব্যাপারে বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডারদের নামের তালিকা দিয়েছেন। খালেদের আপন দুই ভাই মাকসুদ ও হাসান ক্যাসিনো, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রন করতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য জানতে পেরেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
জিজ্ঞাসাবাদকারী কর্মকর্তাদের একটি সূত্র জানায়, শামীম ও খালেদের অস্ত্র বিভিন্ন ক্যাডারদের হাতে বহন হয়। মাঝে মধ্যে গণপূর্ত, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, রেল ভবন, ক্রীড়া পরিষদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, যুব ভবন, কৃষি ভবন, ওয়াসার ফকিরাপুল জোনসহ বেশিরভাগ সংস্থার টেন্ডারবাজি করার সময় প্রতিপক্ষ বা সরকারি কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি দেখাতে তার ক্যাডার বাহিনী অস্ত্র বহন করতেন। অপরদিকে, জি কে শামীমের কাছে ৮ টি শটগান রয়েছে। এসব শটগান টেন্ডারবাজিতে ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য ব্যবহার করা হতো। শটগান মাঝে মধ্যে খালেদের ক্যাডারদেরও ব্যবহার করতে দেয়া হয়। এজন্য খালেদকে টেন্ডারের ১০ ভাগ কমিশন মানি দেয়া হতো।
ক্যাসিনোর জুয়াড়িরা জেলে মাদক মামলায়
দেশে জুয়া বিরোধী একটি আইন থাকলেও রাজধানীতে গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাবের জুয়ার আসর থেকে আটক শতাধিক ব্যক্তির কারও বিরুদ্ধেই ওই আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দেশে পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট, ১৮৬৭ নামের যে আইনটি রয়েছে সেটি রাজধানীতে প্রয়োগ করার সুযোগ নেই। এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ঢাকা মেট্্েরাপলিটন এলাকা ছাড়া সমগ্র বাংলাদেশে ইহা প্রযোজ্য হইবে। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ এর ৯২ ধারায় প্রকাশ্যে জুয়া খেলার জন্য মাত্র ১০০ টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে। রাজধানীর ক্লাবগুলো থেকে জুয়া এবং ক্যাসিনোর বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম জব্দ করা হলেও আইন-শৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তা বলছেন, ‘দুবল’ আইনের কারণেই আটকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই।
আরামবাগ ক্রীড়া সংঘে পাওয়া ক্যাসিনোর সরঞ্জামআরামবাগ ক্রীড়া সংঘে পাওয়া ক্যাসিনোর সরঞ্জামগত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে প্রথম অভিযান চালায় র্যাব। এখানে জুয়া-ক্যাসিনো চালানোয় ক্লাবের কর্ণধার যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে তার গুলশানের বাসা থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন মতিঝিলে ওয়ান্ডারার্স ক্লাব ও গুলিস্তানে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্লাবেও অভিযান চালান হয়। এসব অভিযানে জুয়া-ক্যাসিনোর বিপুল সরঞ্জাম, টাকা জব্দের পাশাপাশি ১৪২জনকে আটক করা হয়। যুবলীগ নেতা খালেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মুদ্রাপাচার আইনে মামলা হয়েছে। এছাড়া আটক অন্যদের ছয় মাস থেকে এক বছর মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। র্যাবের একজন কর্মকর্তা বলেন, মাদক রাখা ও সেবনের অভিযোগে তাদের এই সাজা দেয়া হয়েছে।
মতিঝিল থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, জুয়া-ক্যাসিনোর সামগ্রী মালামাল পরিত্যক্ত অবস্থায় পেয়েছি। ক্লাবগুলো সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। জব্দ করা মালামাল ধ্বংস করতে এবং টাকা কোথায় জমা দেয়া হবে সে ব্যাপারে আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। আমরা এখনও এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা পাইনি। তিনি জানান, মতিঝিল থানা এলাকায় র্যাব যে অভিযান চালিয়েছে সেখানে জুয়া আইনে কোনো মামলা না হলেও মাদক এবং মানি লন্ডারিং আইনে একাধিক মামলা হয়েছে। ক্যাসিনো বা জুয়ার সরঞ্জাম জব্দ করার বিষয়ে থানায় র্যাব কোনো তথ্য দেয়নি বলেও জানান তিনি।
লাপাত্তা জড়িত নেপালিরা
ঢাকার এসব ক্যাসিনো পরিচালনার শুরু থেকেই নেপালি নাগরিকদের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। যারা ক্যাসিনোর বোর্ড পরিচালনার পাশাপাশি বাংলাদেশিদের এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতেন। তবে এখন পর্যন্ত একজন নেপালি নাগরিককেও আটক করতে পারেনি আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অভিযান শুরুর দিন থেকেই জড়িত সব নেপালি গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের সন্ধানে বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়েও কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ইতোমধ্যে তাদের কেউ কেউ দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। র্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল জানান, তিনটি ক্লাবে ক্যাসিনো পরিচালনার সঙ্গে ১৬ জন নেপালি নাগরিক জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। যারা অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন। তাদের দেশত্যাগের সম্ভাবনা রয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, নেপালিদের সবচেয়ে বড় সুবিধা তাদের ভারতে যেতে ভিসা লাগে না। এ সুযোগে তারা যে কোনো বর্ডার দিয়েই ভারতে ঢুকে যেতে পারেন, তারপর সেখান থেকে সহজেই নেপালে চলে যেতে পারবেন। তাই তাদের দেশত্যাগের বিষয়টি অসম্ভব নয়। তারপরেও আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাদের খুঁজে পেতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন