জুয়া বা ক্যাসিনো সংবিধান পরিপন্থি। সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জুয়া বন্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়া ১৮৬৮ সালের ‘গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট’ অনুযায়ী জুয়া বা ক্যাসিনো এবং গণিকাবৃত্তি দন্ডনীয় অপরাধ। রাশেদ খান মেনন এমপি, হুইপ শামসুল হক, পর্যটন সচিব মহিবুল হক ক্যাসিনোর পক্ষে অবস্থান নিয়ে সংবিধান এবং আইন বহির্ভুত কাজ করেছেন। কেন তারা এ কাজ করলেন-তা জানতে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে। গতকাল বুধবার সুপ্রিমকোর্ট বারের অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ জনস্বার্থে এ নোটিস দেন। নোটিসে বলা হয়, সংবিধানের একটি অনুচ্ছেদ ও পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট-১৮৬৭ এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ নোটিসের জবাব না পেলে আমরা হাইকোর্টে রিট করবো। সংবিধানের ১৮(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এছাড়া পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্টের ৩, ৪ এবং ১৩ ধারা অনুসারে ক্যাসিনো একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুসারে সরকার জুয়া বন্ধে ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু ক্যাসিনোর পক্ষে মতামত দিয়ে বক্তব্য দেয়ায় রাশেদ খান মেনন এমপি, জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরি এবং পর্যটন সচিব মহিবুল হকসহ পাঁচ জনকে লিগ্যাল নোটিস দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার সুপ্রিমকোর্ট বারের অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এ নোটিস দেন। নোটিস প্রাপ্তির ২৪ ঘন্টার মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আইনগত ব্যবস্থা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
নোটিসের পর ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ক্যাসিনো ইস্যুতে সংশ্লিষ্ট কারও কারও বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হলেও রাশেদ খান মেনন এমপিসহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে এখনো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। এ কারণে জনস্বার্থে এ নোটিস দেয়া হয়েছে। বহু জনস্বার্থ মামলার এ আইনজীবী বলেন, ইয়ংমেন্স ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান রাশেদ খান মেনন। অথচ তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। ফকিরাপুলের ইয়ংমেন্স ক্লাবে এক সংসদ সদস্যের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ, জুয়া ও ক্যাসিনো নিয়ে এক হুইপের বক্তব্য এবং বিদেশীদের জন্য ক্যাসিনো চালু রাখার ব্যবস্থা নিয়ে পর্যটন সচিব মন্তব্য করেছেন। রাশেদ খান মেনন এমপি, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হককে এ নোটিস দেয়া হয়েছে। নোটিসে বলা হয়, সংবিধানের একটি অনুচ্ছেদ ও পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট-১৮৬৭ এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ নোটিসের জবাব না পেলে আমরা হাইকোর্টে রিট করবো। সংবিধানের ১৮(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এছাড়া পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্টের ৩, ৪ এবং ১৩ ধারা অনুসারে ক্যাসিনো একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুসারে সরকার জুয়া বন্ধে ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু সেটা এখনো নেয়া হয়নি। ফলে সারাদেশে জুয়া, ক্যাসিনো প্রসার লাভ করেছে। এ কারণে অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে। মানি লন্ডারিং হচ্ছে। ইদানিং সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। যাদের কিছু কিছু সংশ্লিষ্টতা আছে তাদের গ্রেফতার করছে। কিন্তু গডফাদারদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, ইনকিলাবসহ বিভিন্ন পত্রিকায় এসেছে রাশেদ খান মেনন ইয়ংমেন্স ক্লাবের গভর্নিং বডির সভাপতি। তিনি লাল ফিতা কেটে উদ্বোধন করেছেন। তার সেই ছবি ক্লাবের সভাপতির কক্ষে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। মিডিয়ায় দেখলাম, পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সচিব বলেছেন বিদেশীদের জন্য ক্যাসিনোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন। এ বক্তব্য অসাংবিধানিক। এছাড়া একজন হুইপ মিডিয়ায় জুয়া বা ক্যাসিনো বন্ধ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এগুলো বন্ধ হলে ক্লাব কিভাবে চলবে ? এখন কথা হচ্ছে অবৈধভাবে উপার্জন করে ক্লাব চলবে? এসব বক্তব্য উল্লেখ করে লিগ্যাল নোটিস দেয়া হয়েছে। বিষয়গুলো মিডিয়ায় দেখা যায় তা কতটুকু সত্য ? এগুলোর বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানতে চাওয়া হয়েছে। যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব না পাওয়া যায় তাহলে ধরে নেয়া হবে মিডিয়ায় যা এসেছে তা সত্য। তখন ১০২ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে রিট করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন