নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাশেদের বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মেহেদী হাসান বাদী হয়ে হাসান রাশেদকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সোনারগাঁ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের গোহট্রা গ্রামের মজিবুর মিয়ার ছেলে বালু ব্যবসায়ী মেহেদী হাসানের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাশেদ। সোমবার দুপুরে গোহাট্রা এলাকায় মহসিন মিয়ার দোকানে মেহেদীকে পেয়ে পুনরায় চাঁদা দাবি করে রাশেদ। তার দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে রাশেদ লোকজন নিয়ে মেহেদী হাসানের উপর হামলা চালায়। এসময় তার চিৎকারে চাচী সুমি আক্তার, ফুফু শিল্পী আক্তার, চাচা মহসিন মিয়া ও চাচাতো ভাই তাবারক হোসেন ছুটে আসলে তাদেরকেও এলোপাথাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে।
এ ঘটনায় মেহেদী হাসান বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে সোনারগাঁ থানায় চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও দমদমা গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে হাসান রাশেদ (৩৪), উদ্ববগঞ্জ এলাকার হাবিবুল হকের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান কাজল (৪০), মাঝিপাড়া গ্রামের রহিমা মেম্বারের ছেলে সজিব (২৮), বড় সাদীপুর গ্রামের মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে জামাল (৩৫), দলদার গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে সুজন (৩৩), মাতু মিয়ার ছেলে সানি (২৩)। এাছাড়াও আরো অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, চাঁদার দাবিতে হাসান রাশেদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন