ঢাকার ধামরাইয়ে ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রমজান মিয়া নামে নবম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে। এছাড়া ডাকাতরা ওই স্কুল ছাত্রের বাড়ি থেকে লুট করে নেয় নগদ টাকা ও স্বর্ণাংকার।
গেল শুক্রবার মধ্য রাতে উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বাগবাড়ি-জালসা গ্রামে সাইদ মিয়ার বাড়িতে এ ডাকাতি ও হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এর আগে ডাকাতদল একই গ্রামের পশ্চিমপাড়া আজাহার ও শাজাহান মিয়া নামে আরও দুই ব্যক্তির বাড়িতে হানা দিয়ে লুটে নিয়েছে নগদ টাকা ও স্বর্ণাংকার।
এছাড়াও গত একমাসে আরো ৩টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে ।
এলাকা থেকে জানা গেছে, ১০/১২ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত গেল শুক্রবার রাতে বাগবাড়ি জালাসা গ্রামের সাইদ মিয়ার বাড়িতে আইনের লোক পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করে বাড়ির সবাইকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণাংকার লুট করে। এসময় গৃহকর্তা সাইদ মিয়ার স্কুল পড়ুয়া ছেলে রমজান মিয়া ডাকাত সদস্যদের বাধা দিতে চাইলে ডাকাতরা তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ঘাড়ে ও পিঠে রক্তাক্ত জখম করে বীরদর্পে চলে যায়। পরে পতিবেশীরা গুরুত্ব আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে কাওয়ালীপাড়া ও পরে ঢাকার হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
এদিকে, ঘটনার পর ঢাকা জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া নিহতের মরদেহটি ময়না তদন্তের রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
এদিকে গত একমাসে পরপর তিনটি হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে জানা গেছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুই সন্তানের জনক হান্নান হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। জয়পুরা এলাকায় বিলের মধ্যে একটি এনজিওর পরিত্যাক্ত খামার থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। নিহত হান্নান উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের জয়পুরা গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে।
অপরদিকে নিখোঁজের ৩ দিন পর শরিফভাগ দক্ষিণ পাড়া এলাকার বংশী নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গত ০৯ সেপ্টেম্বর রবিবার রাতে পুলিশের কথিত সোর্স হৃদয় সাহা (১৬) নামে এক তরুনের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহত হৃদয় উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের কান্দিকুল গ্রামের বিশ্বনাথ সাহার ছেলে। গত ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিজ বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় হৃদয়। তবে নিখোঁজের তিন দিন পর রবিবার ধামরাই থানায় সাধারণ ডায়েরি ও করা হয়।
অপর দিকে ২৯ আগষ্ট গভীর রাতে ধামরাইয়ের সানোড়া ইউনিয়নের সুইসখালী গ্রামের শেখ শাজাহান মিয়ার ছেলে বহু অপকর্মের হুতা একাধীক মামলার আসামী থানা পুলিশের প্রাইভেটকারের চালক শেখ ফরিদ বাড়ির সামনেই খুন হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। প্রতিটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এসব ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধীক আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন