মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শুদ্ধি অভিযান কি পথ হারাবে?

স্টালিন সরকার | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

ক্যাসিনো’ এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। মতিঝিলের ক্লাবপাড়া এবং যুবলীগ, কৃষক লীগের কয়েকজন নেতার বাসায় অভিযানে কোটি কোটি টাকা এবং স্বর্ণ উদ্ধার করায় ‘শুদ্ধি অভিযান’ কার্যত আলোচনার শীর্ষে। কিন্তু কিছু অভিযানে বাসা থেকে মদ উদ্ধার, ক্লাব থেকে মদ-তাস উদ্ধার নিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক উঠতে শুরু করেছে; প্রশ্নটা এমন যে, শুদ্ধি অভিযান কী সত্যিই চিহ্নিত অপরাধীদের বিরুদ্ধে; নাকি এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য রয়েছে? ইতোমধ্যেই ‘শুদ্ধি অভিযান’ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে প্রবীণ নেতা রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, ‘দুর্নীতিবিরোধী এই শুদ্ধি অভিযান চমক সৃষ্টি করবে কিন্তু সমাধান করতে পারবে না’।

কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন- ‘পথহারা পাখি কেঁদে ফিরি একা/ আমার জীবনে শুধু আঁধারের লেখা/ বাহিরে অন্তরে ঝড় উঠিয়াছে/...’। জাতীয় কবির এই পাখির মতো চলমান শুদ্ধি অভিযান পথহারা হোক মানুষ সেটা চায় না। আবার অভিযানের নামে সমাজে ভীতি-আতঙ্ক সৃষ্টি হোক সেটাও চায় না। মানুষের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হলে তা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে যা কারো জন্যই সুখকর নয়। উল্লেখ- করা প্রয়োজন যে, দুদকের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে সমাজের কিছু ব্যক্তিকে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করায় রাষ্ট্রের দুর্নীতিবিরোধী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

মানুষ সামাজিক জীব। আদিকাল থেকে মানুষ সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করতে অভ্যস্ত। আবার গ্রাম, শহর, দেশ থেকে দেশান্তরে মানুষের সমাজে যাপিত জীবনে রয়েছে ভিন্নতা। মসজিদ কেন্দ্রীক সমাজব্যবস্থা এক ধরণের, শহরে ক্লাবপাড়া কেন্দ্রীক সমাজব্যবস্থা আরেক রকম। এ ছাড়াও চরের জীবন, মফস্বল শহরের জীবন, সাগরপাড়ের জীবন ভিন্ন ভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে।

শহরে জীবনে মানুষ নানানভাবে বিনোদন উপভোগ করেন। কেউ সিনেমা দেখে, কেউ খেলাধুলা করে, কেউ পড়াশোনা করে, কেউ আল্লাহর পথে সময় ব্যয় করার মধ্যে নিজেদের বিনোদন খুঁজে নেন। দেশে ক্রীড়াঙ্গন কেন্দ্রীক অসংখ্য ক্লাব গড়ে উঠেছে। এসব ক্লাব খেলাধূলার প্রশিক্ষণ, অংশগ্রহণ এবং খেলাধুলার উন্নয়নে কাজ করে। এই ক্লাবগুলোতে হরেক রকমের মানুষের যাতায়াত। তাই ক্লাবগুলোয় তাস খেলা, মদ পান কোথাও কোথাও হাউজি ইত্যাদি হয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে। ক্লাব, হোটেলে সরকার আইন করে মদ পানের ব্যবস্থা করেছে। মদ বিক্রি ও পানের জন্য লাইন্সেসও দেয়া হয়। মদ আমদানির মাধ্যমে প্রতিবছর সরকার কোটি কোটি টাকা শুল্ক আয় করে থাকে। ঢাকার ক্লাবগুলোর ভেতরে এই মদ পান ওপেন সিক্রেট। ক্লাবের ভেতরে মদ পান পাবলিক লুইন্সেসির করার সুযোগ নেই। ক্লাবের ভেতরে ‘মসজিদের পরিবেশ’ প্রত্যাশা কেউ করে না। কিন্তু ক্লাব থেকে তাস-মদ উদ্ধারের যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা দেখে অনেকেই আশঙ্কা করছেন ‘শুদ্ধি অভিযান সঠিক পথে চলাবে তো’?

ক্যাসিনো খেলা অপরাধ, অপরাধ ইয়াবা কারবার ও সেবক। এমনকি জুয়াও অবৈধ। কিন্তু ইয়াবা ব্যবসা-সেবনের সঙ্গে ক্লাবে ও হোটেলে বসে মদ পান এক করে দেখলে চলে না। ঘরে বসে মদ পান নিষিদ্ধ হলে সরকার লাইন্সেস দিতো না। ক্লাব-বারে কী হয় সবার জানা। শুধু মতিঝিলের ক্রীড়াঙ্গনের ক্লাব নয়, রাজধানী ঢাকা শহরে শত শত ক্লাব রয়েছে। ঢাকার বাইরেও রয়েছে শত শত ক্লাব। ক্লাব সংস্কৃতি কী তা সবার জানা। রাজধানীর কয়টা ক্লাব খুঁজে পাওয়া যাবে যে সেখানে মদ পান ও তাস খেলা হয় না। সেখানে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে কি না সেটাই দেখার বিষয়। ‘ক্যাসিনো’ খেলা আইনত দ-নীয় অপরাধ। ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত থাকুক এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ সবাই প্রত্যাশা করে। মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তো বলেছেন, ‘ক্যাসিনোর টাকা যাদের নিয়ে থাকেন তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’ কিন্তু ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ঘাটাঘাটি কী প্রত্যাশিত? তাহলে তো ‘লোম বাছতে কম্বল উজার’ হয়ে যাবে।

মদ নেশা জাতীয় জিনিস। মদ পান ইসলাম ধর্ম সমর্থন করে না। নবী করিম (সা:) বলেছেন, ‘প্রত্যেক নেশার বস্তুই মাদক (খামার) আর প্রত্যেক নেশার জিনিসই হারাম’ (মুসলিম-২০০৩)। ‘যা অধিক সেবন করলে নেশার সৃষ্টি হয় তা কম সেবন করাও হারাম’ (তিরমিযি-১৮৬৫, আবু দাঊদ-৩৬৮১)। বাস্তবতা হলো ঠা-ার দেশ ইউরোপ আমেরিকায় নাগরিকের ‘মদ পান’ স্বাভাবিক ঘটনা। ক্লাব কালচার, পর্যটন ব্যবসার জন্য মধ্যপ্রচ্যের দেশগুলোর ক্লাব ও হোটেলে ‘মদ পান’ হয়ে থাকে। হোটেলে বা ক্লাবে মদ পান করে পথে প্রান্তরে পাবলিক লুইন্সেসি না করলেই হলো। বিসিসি’র এক সদস্যকে গ্রেফতারের সময় বাসা থেকে মদ উদ্ধার করা হয়েছে। অথচ বিসিসির সভাপতি নাজমুল হক পাপন ওই ব্যক্তি সম্পর্কে বলেছেন, ‘উনি জীবনে মদ স্পর্শ করেননি, জুয়া খেলেননি’। প্রশ্ন হলো- গুলশান, বারিধারা, বনানী, উত্তরাসহ অভিজাত এলাকা ও ফ্ল্যাটে বসবাস করেন হোটেল-ক্লাব কালচারে জড়িত এমন কতজন মানুষ পাওয়া যাবে যে তাদের বাসায় মদের বোতল পাওয়া যাবে না?

বাংলাদেশে পর্যটন ব্যবসার প্রসারে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ষষ্ঠ বৈঠকে পর্যটন ব্যবসা বিকাশে মদের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনার প্রস্তাবনা করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে কমিটির সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কাজী ফিরোজ রশীদ, তানভীর ইমাম, আশেক উল্লাহ রফিক এবং সৈয়দা রুবিনা আক্তার অংশ নেন। বৈঠকে দেশের প্রতিটি পাঁচতারা হোটেল ও নাইটক্লাবে বিয়ার ও হার্ড ড্রিংকসে (মদ) মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়।

সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এই প্রস্তাবনা খুবই যৌক্তিক। পর্যটন শিল্প থেকে আয় করতে হলে এ ধরণের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার সুযোগ নেই। আবার মানুষ চায় ক্লাবে ‘ক্যাসিনো’র বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকুক। যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। কারা ক্যাসিনো খেলেন, কারা ক্যাসিনো আমদানি করেছেন, কারা টাকার ভাগবাটোয়ারা নেন সবকিছু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নখদর্পণে। ক্যাসিনো সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেয়েই প্রধানমন্ত্রী শুদ্ধি অভিযানের নির্দেশনা দিয়েছেন। কাজেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত ‘ক্যাসিনো’ জুয়ার মূলোৎপাটন করা। কিন্তু ক্লাবগুলো বন্ধ হয়ে যায় এমন তৎপরতা প্রত্যাশিত নয়। কারণ মানুষের বিনোদনের এমনিতেই জায়গা নেই। ক্লাবে খেলে, খেলা দেখে এবং সময় কাটানোর মধ্যে বিপুলসংখ্যক মানুষ বিনোদন খুঁজে নেন।

আগেই বলেছি ক্লাবের ভেতরে মসজিদের পরিবেশ প্রত্যাশা করা উচিত নয়। ক্লাব কালচার এবং ক্লাব পরিচালনা প্রসঙ্গে জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তিনি বলছেন, ‘ক্লাবের ফুটবল-ক্রিকেটে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে অনেক খরচ লাগে। ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান ঠিক আছে। তাস খেলায়ও ঢালাও অভিযান গ্রহণযোগ্য নেই। ক্লাবে প্রতিবছর যে খরচ হয় তা কি কেউ দেয়?’ অনেকের কাছে এই বক্তব্য অপ্রিয় হলেও বক্তব্যের কী যথার্থতা নেই?

এটা ঠিক দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর একটানা ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগের কিছু নেতা ও দলটির অঙ্গ সংগঠনগুলোর কিছু নেতা হঠাৎ অর্থবিত্তের মালিক হয়ে গেছেন। দল ক্ষমতায় থাকায় প্রভাব খাটিয়ে, বৈধ-অবৈধ পথে অর্থবিত্ত আয় করেছেন। নতুন করে টাকা হওয়ায় সমাজে নতুন শ্রেণি গড়ে উঠেছে। তাদের নতুন আকাক্সক্ষা, কাচা টাকার গরমে সীমাহীন অনাচারী-অপচয়ে জীবনধারাও হয়ে গেছে অনিয়ন্ত্রিত। জীবনধারায় পচনশীল ওই যুবক ও তরুণরা ‘ক্যাসিনো’ অনাচারে নিমজ্জিত। কারা জড়িত তাদের নাম ওপেন সিক্রেট। যুবলীগের যে সব ক্যাসিনো গডফাদারদের গ্রেফতার করা হয়েছে; জিজ্ঞাসাবাদে তারা সব প্রকাশ করেছেন। তাহলে শুদ্ধি অভিযানের নামে সাধারণ মানুষকে ভীতির মধ্যে ফেলতে হবে কেন? এমনিতেই দেশের অর্থনীতি নানা চাপের মুখে। দ্রব্যমূল্য মানুষকে দিশেহারা করে ফেলেছে। মানুষ ভাল নেই। নির্বাচনে ভোট দিতে না পারায় মানুষের মধ্যে অস্বস্থি রয়েছে। তারপর তারপরও ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে মানুষ খুশি। কিন্তু অভিযানের নামে মানুষকে বিব্রত করা যেমন উচিত নয়; তেমনি কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের মতো অভিযানের সময় বাসায় দুই বোতল মদ, ক্লাবে মদ-তাস উদ্ধারে সাফল্য খোঁজা অনর্থক। আমাদের কথা হলো মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়াদি এবং দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এমন কর্ম প্রত্যাশিত নয়; তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ‘শুদ্ধি অভিযান’ অব্যাহত থাকুক এবং আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক সে প্রত্যাশা রইলো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (11)
M N Ahmed ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:২২ এএম says : 0
Is it real operation at all? Does it have any good intension at all? No, no and not at all. So why then the question coming that if it will loose it's path???
Total Reply(0)
Hadayet Ullah ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৩৫ এএম says : 0
ধন্যবাদ জানাই এই অগ্রযাত্রাকে
Total Reply(0)
Md Zillur Rahman ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৩৫ এএম says : 0
কৃষি সমপসারণ অধিদপ্তর, খামার বাড়ি তে অভিযান চালান।
Total Reply(0)
Kamal Pasha Jafree ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৩৫ এএম says : 0
ঘোষণা দিয়ে অভিযানে কতটুকু সফল হবে। এইরকম হল আর কি চোর কে বল চুরি কর গৃহস্থ কে বলে সজাগ থাকতে।
Total Reply(0)
Kazi Mahamudul Riad ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৩৫ এএম says : 0
কোন কিছু হবেনা ফাকা বুলি। বড় বড় দূর্নীতিবাজ আমলাদের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
Total Reply(0)
প্রফেসর আবুল কাসেম ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৩৬ এএম says : 0
জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন ভুৃমি অফিসের কর্মকর্তাদের দূর্নীতির কারনে সাধারন মানুষেরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে।নির্ধারিত ফি তে কাজ করেনা।তাদের চাহিদা পুরনহলেও মাসেরপর মাস তাদের পিছনে ঘুরতে হয়। কুমিল্লা সদরে ৩ ৪ মাসে জমাখারিজ পাওয়া না।বুড়িচংয়ের মোকাম ভুৃমি অফিসের তহশিলদার ইসমাইল দাপট অন্যরকম, এসিল্যান্ড ও তার কথার গুরুত্ব একটু বেশি দিয়ে থাকে কারন তহশিলদার ইসমাইলের উপরে লোক আছে।দুদক কি দেখেনা। যাগ্গে তবে শেখ হাসিনার এই উদ্দোগ বাস্তবায়ন হলে ভুমি বিষয়ে সাধারন মানুষের ভালবাসা তার প্রতি বাড়বে ইনশাল্লাহ।
Total Reply(0)
Zido Khan ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৩৭ এএম says : 0
এগুলো তো সরকার গতো এগার বছর উৎসাহিত করছে, এখন কি রিজাব কমে গেছে মনে হয়, তাই ওদের টাকায় নজর পড়ছে,এগুলো সৃষ্টির বিধান কেউ অন্যের হক চুরি করে পার পাবে না,মুসলমান দেশের শাষক রা টাকা জমা করে ইউরোপ আমেরিকা, অবশেষে টাকার উৎস কি তা যানতে চায়, অবশেষে সিনেমার মতো চোরের টাকা হাতছাড়া হয়।পরে আপসোস করে মরে,হোসনে মোবারক,সাদদাম,গাদদাফি, সবাই একই
Total Reply(0)
Feruz Ahammad ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৩৮ এএম says : 0
ধন্যবাদ জানিয়ে বলতে চাই,প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার একনিষ্ঠ চেষ্টা আছে তবে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের কিছু কিছু উপরের সারির নেতাদের নিয়ে যত শংকা,কারণ কথায় আছে কম্বলের লোম ঝাড়তে গিয়ে কম্বলই শেষ তথাপিও কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে পাবে জনগণ। ইতিমধ্যেই মানুষের ভিতর কিছুটা ভরসার ভিত্তি তৈরি হচ্ছে,আশাকরি চলমান শুদ্ধি অভিযান চালু থাকলে কোন কিছুই অসম্ভব নয়।
Total Reply(0)
Abdul Quayyum ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৩৮ এএম says : 0
দুর্নীতি বিরুধী অভিযান মোটে ও সফল হবে না , এটা জনরুশ ঠেকাতে এই লোক দেখানো অভিযান , যার বড় প্রমাণ পুলিশ পরিদর্শক জনাব সাইফ আমিন এঁর বরখাস্ত । উনি সত্য প্রকাশ করার এই গুরুদণ্ড । উনি বাস্তব অবস্তা পর্যবেক্ষণ করে ঐ সব তথ্য বহুল লেখা লেখছে । এই সৎ পুলিশ অফিসারের যদি কোন ভুল তথ্য দিয়ে থাকে , তার ভুলটা সংশোধন করে দিয়ে সত্য কথা জাতির সামনে তুলে ধরা উচিত ছিল টা না করে উনাকে বরখাস্ত করা হল মূল অপরাধী কে আড়াল করার জন্য । নারায়ন গঞ্জের আইন জীবী হত্যা কাণ্ডের জন্য আজ ও বিচার হয় নাই ।
Total Reply(0)
Skr Ckma ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৩৮ এএম says : 0
মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সহ্যের সীমার বাইরে যারা চলে গেছে তাদের কেবল ধরা হচ্ছে আর কতক পাকা আমের সাথে কিছু কাচা আম পড়ছে। এভাবে অভিযান শেষ হবে। রাঘব বোয়াল ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে। এমনটি মনে করার কারণ অনেক, যেমন- নীতি নির্ধারক পর্যায়ের মন্ত্রী, নেতা, আমলাা।
Total Reply(0)
আব্দুর রহিম আবুআনাস ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৩৯ এএম says : 0
আসল জায়গায় এখনো হাত পড়ে নাই। চুনোপুঁটি ধরা হইছে। বরাবরের মত রুই,কাতলা, বোয়াল, গজার, ধরা ছোয়ার বাইরে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন