স্টাফ রিপোর্টার : হাইকোর্টে জামিনের পরও আসামিকে মুক্তি না দেয়ার ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন দুই জেল সুপার ও সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। গতকাল বুধবার ক্ষমা প্রার্থনার পর ওই তিনজনকে সতর্ক করে অব্যাহতি দেন বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। আদালত তাঁদের বলেন, আপনারা ক্ষমা চেয়েছেন বলে কোনো অ্যাকশনে যাচ্ছি না। আদালত আরো বলেন, অ্যাডভোকেট অন রেকর্ডের ল’ইয়ার সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে জামিনপ্রাপ্ত আসামিকে কারামুক্তি না দেয়াটা বেআইনি।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, অর্থ পাচারের অভিযোগে গত ২ জানুয়ারি রামপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এই মামলায় গত ৮ মে পাঁচ আসামিকে জামিন দেন হাইকোর্ট। গত ১৬ মে জামিননামা কারাগারে পৌঁছার পর দুই আসামিকে মুক্তি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অপর তিন আসামি গিয়াস উদ্দিন, আমিনুর রহমান ও ওসমান গণিকে মুক্তি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন। এরপর গত ৫ জুন তিনজনকে আদালতে তলব করেন। ওই তলবের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলসুপার জাহাঙ্গীর কবির, গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার-১-এর জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা ও অ্যাডভোকেট অন-রেকর্ড সুফিয়া খাতুন ৯ জুন সশরীরে আদালতে উপস্থিত হন। ওই দিন আদালত তাঁদের ১৩ জুন লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। লিখিত ব্যাখ্যা দেয়ার বিষয়ে আদেশের জন্য গতকাল ছিল। আদেশে তাদেরকে সতর্ক করে এ অব্যাহতি দেন আদালত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন