শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি প্রমাণিত হলে চাকরিচ্যুতি -শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, কোনো শিক্ষক ছাত্রীদের  যৌন হয়রানি করেছেন এ ধরনের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি নির্যাতনমূলক সেলে পাওয়া গেলে প্রতিটি ঘটনার জন্য একটি করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রমাণিত অভিযোগের  ক্ষেত্রে অপরাধী শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপরাধের গুরুত্ব ভেবে চাকরিচ্যুতসহ অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে শাস্তি দেয়া হয়।
বুধবার জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো: রুস্তম আলী ফরাজীর টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, কোনো শিক্ষক ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেছেন এ ধরনের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি নির্যাতনমূলক  সেলে, অনুষদে, বিভাগে, রেজিস্ট্রার অফিসে অথবা ভিসির অফিসে পাওয়া গেলে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ঘটনার জন্য তদন্ত কমিটি করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ড অথবা সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করা হয়। প্রমাণিত অভিযোগের  ক্ষেত্রে অপরাধী শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপরাধের গুরুত্ব ভেবে চাকরিচ্যুতসহ অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে শাস্তি প্রদান করা হয়।
তিনি জানান, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি করে যৌন হয়রানি নির্যাতন সেল স্থাপন করা হয়েছে। এসব সেল কাজ করছে বিধায় বিশেষ কমিটি গঠন করার প্রয়োজন নেই।
কোচিং বাণিজ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
মুহা: গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, কোচিং বাণিজ্য বন্ধে মনিটরিং কমিটি কাজ করছে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে কোচিং বাণিজ্যে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, কোচিং নীতিমালা ২০১২ বাস্তবায়নের জন্য দেশের  মেট্রোপলিটন-বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি গঠিত হয়েছে।
কোচিং বাণিজ্য বন্ধে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের  যেসব শিক্ষক দীর্ঘদিন একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন তাদের বদলি-পদায়নের কার্যক্রম চালু রয়েছে।
পর্যায়ক্রমে ছাত্র সংসদ নির্বাচন
বেগম হাজেরা খাতুনের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা না থাকলে দেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্র রাজনীতির এক  গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৭১-এর স্বাধীনতা অর্জন, পরবর্তীতে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় অর্জন।
তিনি বলেন, গঠনমূলক ছাত্র রাজনীতির ধারা বজায় রাখার জন্য পর্যায়ক্রমে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অতীতে যেমন ছাত্র সংসদ কার্যকর ছিল তেমনি বর্তমানেও বেশ কিছুসংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ রয়েছে।
প্রতি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়
সফুরা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, উচ্চ শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে দেশের প্রতিটি  জেলায় একটি করে সাধারণ-বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
মন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৩২টি। তার মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ৩৭টি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৯৫টি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন