শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

বিশ্ববিবেকের দরজায় দুঃসাহসী করাঘাত ইমরান খানের

হোসেন মাহমুদ | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

জাতিসংঘে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তৃতা শোনার পর থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গানের প্রথম দুটি পঙ্ক্তি মনে ধ্বনিত হয়ে চলেছে- ‘বিশ্ব যখন নিদ্রা মগন গগন অন্ধকার/ কে দেয় আমার বীণার তারে এমন ঝঙ্কার।’ মুসলিম উম্মাহর বিস্ময়কর নীরবতার মধ্যে মুসলিম নেতা হিসেবে ইমরান খান বিশ্ববাসীর কাছে রক্তাক্ত ও মর্যাদা হারানো বিপন্ন কাশ্মীরের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি ছাড়া আর কেই বা আছেন যিনি এই তমিশ্রকালে বিশ্বমঞ্চে এমন অনলবর্ষী ভাষায় বক্তব্য রাখার মাধ্যমে বিশ্ববাসীর হৃদয়ে সচেতনতার ঝঙ্কার তুলতে এগিয়ে আসবেন?
২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জাতিসংঘে ইমরান খান বক্তৃতা করেন। তারপর থেকে ফেসবুকে ও টিভির খবরে টুকরো টুকরোভাবে তার সে ভাষণের কাশ্মীর বিষয়ক বক্তব্যটুকুই শুধু তুলে ধরা হচ্ছিল। ইমরান খান জাতিসংঘকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ভারত কাশ্মীরে কার্ফ্যু তুলে নিলে রক্তনদী বইবে। তিনি আরো বলেন, পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ হলে বিশ্বকে ভুগতে হবে। তিনিই মুসলিম বিশ্বের একমাত্র নেতা, যিনি অর্ধশত বছর পরে জাতিসংঘে কাশ্মীরের কথা বললেন। যাহোক, তার সে কাশ্মীর বিষয়ক বক্তৃতার পুরোটাই ২৯ সেপ্টেম্বর পত্রিকায় এসেছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত একটি আধিপত্যবাদী রাষ্ট্র হয়ে উঠেছে কয়েক দশক আগেই। সেই আধিপত্যবাদ তাকে চালিত করে ভবিষ্যত বিশ্বশক্তি হওয়ার উচ্চাকাক্সক্ষায়। ইতোমধ্যে তা অনেকটাই বাস্তবায়িত হয়েছে। স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই অঢেল সোভিয়েত সমরাস্ত্রের সমর্থন পেয়ে আসছিল ভারত। বিলুপ্ত সোভিয়েতের পর রুশ সমরাস্ত্রের সমর্থন অব্যাহত থাকে। তার সাথে অধুনা যুক্ত হয়েছে ব্যাপক মার্কিন সামরিক সহায়তা। একই সাথে পরস্পর প্রতিদ্ব›দ্বী দুই পরাশক্তির অস্ত্র সমর্থন লাভের নজিরবিহীন সুযোগ শুধু ভারতেরই হয়েছে। চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বিরোধ এবং পরাশক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্ব›দ্বী হয়ে ওঠার চীনের উচ্চাকক্সক্ষা ভারতের জন্য মার্কিন মৈত্রীর পথ উন্মুক্ত করে। ২২ সেপ্টেম্বর হিউস্টনে অনুষ্ঠিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ভারতীয়দের বিশাল সমাবেশে যোগ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাস্প। তিনি ভারতকে আমেরিকার শ্রেষ্ঠ বন্ধু বলে আখ্যায়িত করেন। আর মোদি ট্রাম্পের কথা বলেন এভাবে, হোয়াইট হাউসে ভারতের সত্যিকার মিত্র অবস্থান করছেন। তাদের পরস্পর প্রশংসা ও মতৈক্য যে অভিন্ন রেখায় এসে মিশেছে তা হল- ‘আমরা কট্টর ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের হুমকি থেকে নিরীহ বেসামরিক জনগণকে রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’ এ ঘোষণাটাই চাইছিলেন মোদি। এতে ট্রাম্পের কোনো লাভ না হলেও স্বদেশে মোদির মহিমা বেড়েছে।
গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫ক অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার কাশ্মীর দখল করে। মোদির পদক্ষেপ ভারতীয় জনসমাজের বৃহত্তর অংশই সমর্থন করেছে। বিরোধী দল কংগ্রেসও এ ব্যাপারে কঠোর বিরোধিতায় অবতীর্ণ হয়নি। বাকি বিরোধী শিবির ও আরো দু’ একটি মহল মোদির এ পদক্ষেপকে বিপর্যয়কর বলে অভিহিত করলেও হিন্দুত্ববাদীদের মোদিপন্থী সমর্থনের ব্যাপকতার কাছে তা ম্লান হয়ে গেছে। মূলত, স্বদেশে মোদি কাশ্মীর পদক্ষেপ নিয়ে বড় ধরনের কোনো বিপত্তিতে পড়েননি। এদিকে কাশ্মীর নিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের ব্যাপক সমর্থন তার পালে আরো হাওয়া লাগিয়েছে। অন্যদিকে মুসলিম বিশ্ব থেকে তার উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়নি। বিশ্ব মুসলিম সংস্থা ওআইসি দু’ একটি কথা বলেছে, তা অনেকটা দায়সারা গোছের। দুঃখের সাথে বলতে হয়, বিশ্বে মুসলিম উম্মাহর স্বার্থ রক্ষাকারী এ সংস্থাটি এখন অনৈক্য ও বিভেদে শক্তিহীন, প্রভাবহীন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ওআইসির কোনো গুরুত্ব নেই। তাই, সাম্প্রতিককালে ফিলিস্তিন, কাশ্মীরসহ মুসলিমদের স্পর্শকাতর কোনো বিষয়েই সংস্থাটি কোনো ভ‚মিকা পালন করতে পারছে না।
উল্লেখ্য যে, ৫ আগস্টের পর থেকে কাশ্মীরকে গোটা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি সেখানে চলছে একটানা কার্ফ্যু। এখনো কার্ফ্যু বহাল, ইন্টারনেট চালু হয়নি। সীমিত পরিমাণে মোবাইল ও টেলিফোন চালু হয়েছে। আগেই কাশ্মীরে প্রায় আট লাখ ভারতীয় সৈন্য মোতায়েন ছিল। ৩৭০ ধারা ও ৩৫ক অন্ুেচ্ছদ বাতিলের ঘটনায় সম্ভাব্য বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেখানে আরো এক লাখ সৈন্য পাঠানো হয়। এভাবে গোটা কাশ্মীরকে ঢেকে দেয়া হয়েছে সামরিক শক্তির ত্রাসের চাদরে। শ্রীনগরে প্রায় প্রতিটি বাড়ির সামনে সেনাপ্রহরা, যাতে মানুষ বাইরে আসতে না পারে। প্রতিটি গ্রামে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
ইমরান খান জাতিসংঘে তার বক্তৃতায় বলেন, ৮০ লাখ কাশ্মীরীকে পাহারা দিয়ে রেখেছে ৯ লাখ ভারতীয় সেনা সদস্য। তিনি বিশে^র উদ্দেশে বলেন, ‘কার্ফ্যু উঠে গেলে কী হবে? কাশ্মীরিরা কি চুপচাপ তাদের মর্যাদার এই পরিবর্তন মেনে নেবে? কার্ফ্যু উঠে গেলে যা হবে তা হচ্ছে, রক্তবন্যা বয়ে যাবে। মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। আর সেনারা কী করবে? তারা তাদের দিকে গুলি ছুড়বে.. আরো মৌলবাদের দিকে ঝুঁকবে কাশ্মীরিরা।’
এটা আসলেই এক স্তম্ভিত করার মতো ব্যাপার। এই ডিজিটাল বিশে^ ৮০ লাখ মানুষ জন্তু-জানোয়ারের চেয়েও অনেক বেশি নিকৃষ্ট অবস্থায় সকল মানবিক অধিকার বঞ্চিত হয়ে দিন যাপন করছে। কাশ্মীরিদের অন্যতম প্রধান আয়ের উৎস আপেল। বিক্রি করতে না পারায় হাজার হাজার টন আপেল পচে নষ্ট হচ্ছে বলে খবরে জানা যায়। সেখানকার মানুষের আরেকটি প্রধান আয়ের উৎস পর্যটন শিল্প স্থবির। বিদেশে অবস্থানরত কাশ্মীরিরা দেশে স¦জনের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে প্রচন্ড উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। কয়েক হাজার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে আগ্রায় কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আটক করা হয়েছে হাজার হাজার কিশোরকে। গোটা কাশ্মীরে শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অচল হয়ে গেছে। আশ্চর্য ব্যাপার যে, বিশ^বাসী কাশ্মীর পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় কাশ্মীর নিয়ে ভারত- পাকিস্তানের যুদ্ধংদেহী অবস্থার কথাও তুলে ধরেন। এর পরিণতি সম্পর্কে জাতিসংঘকে হুঁশিয়ার করে দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘যদি দুটি দেশের মধ্যে প্রচলিত যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে সাত গুণ ছোট একটি দেশের সামনে দুইটি বিকল্প থাকে। হয় আত্মসমর্পণ নয়তো শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া। যখন কোনো পারমাণবিক শক্তিধর দেশ শেষ অবধি লড়াই চালিয়ে যায়, তখন এর পরিণাম মানচিত্রের সীমানা ছাড়িয়ে যায়। দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের লড়াইয়ের প্রভাব তখন পুরো দুনিয়ার ওপর পড়ে। সমগ্র বিশ্বকে এর ফল ভোগ করতে হয়।’
ইমরান খান বলিষ্ঠ কণ্ঠে বলেন, ‘এটি জাতিসংঘের জন্য একটি পরীক্ষা। এই সংস্থা কাশ্মীরি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের গ্যারান্টি দিয়েছিল। এখন আত্মতুষ্টিতে না ভুগে বরং যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে। এজন্য সবার আগে ভারতকে দখলকৃত কাশ্মীরে আরোপ করা কার্ফ্যু তুলে নিতে হবে। সব বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।’ সর্বশেষ যে কথাটি বলে তিনি মাইক্রোফোন ছাড়েন তা বিশেষভাবে উল্লেখের দাবি রাখে। ইমরান খান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে অবশ্যই কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার দিতে হবে।’
জাতিসংঘে এবার ইমরান খানই একমাত্র নেতা, যার বক্তৃতার মধ্যে শ্রোতারা কয়েকবার তুমুল করতালি দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান। কোনো কোনো বিশ্লেষক বলেছেন, ইমরান খান জাতিসংঘকে পরীক্ষায় ফেলেছেন। এটা ক্রিকেটার কাম রাজনীতিক ইমরান খানের এক বিশেষ অর্জন। কিন্তু আদতে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে তিনি কতটা এগোতে পারবেন, তা নিয়ে ব্যাপক সন্দেহ আছে। কারণ, আন্তর্জাতিক ক‚টনীতিতে ভারত পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। একটা সময় ছিল যখন আরবদেশগুলো বিশেষ করে উপসাগরীয় দেশগুলোর সাথে পাকিস্তানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ভারতের সাম্প্রতিক চাণক্য ক‚টনীতির পরিণতিতে সে পরিস্থিতিতে বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটেছে। ভারত এখন সউদী আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধু। অতি সম্প্রতি সউদী আরব ও আমিরাত কাশ্মীর সমস্যার ব্যাপারে পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেছে। তবে এতে ভারতের উপর কোনো চাপ সৃষ্টি হয়নি বা তার অবস্থানেরও কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।
ইমরান খান পেশাদার রাজনীতিক নন। ক্রিকেট খেলার পর রাজনীতিতে এসেছেন তিনি। তিনি যখন নির্বাচিত হন, তখনি কথা উঠেছিল তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাব নিয়ে। ইতমোধ্যে তার ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইমরান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তান দায়িত্বশীল বিশ্ব খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশ্ব নেতাদের কাছে জোরালো ও পরিষ্কার বার্তা পৌঁছে দিয়েছে, পাকিস্তান আর দাবার গুটি নয়, তামাশার পাত্র নয়, বিশ্ব আঙ্গিনার দর্শক নয়। পাকিস্তান আজ সক্রিয়, সংশ্লিষ্ট ও দায়িত্বশীল।
ইমরান খান কাশ্মীর নিয়ে হয়ত বিশে^ তোলপাড় সৃষ্টি করতে পারেননি, তবে বিশ^মঞ্চে নাড়া দিতে পেরেছেন। অতীত সরকারগুলোর মতো তিনি কাশ্মীর সমস্যাকে শুধু দেশের অভ্যন্তরে আটকে না রেখে তা নতুন করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরেছেন এবং অন্তত তাৎক্ষণিক সাফল্য লাভ করেছেন, তাতে সন্দেহ নেই। কাশ্মীর সংকট নিয়ে মোদি সরকার যতটা আগ্রাসী হয়ে উঠেছে, সে তুলনায় ইমরান খান যথেষ্ট ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছেন, যা তাকে ক‚টনৈতিক সাফল্য এনে দিয়েছে। হঠকারি পদক্ষেপ গ্রহণ না করার পাশাপাশি ভারতের বিমান হামলায় ভ‚পাতিত করা বিমানের আটক পাইলটের দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে তিনি এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তার এ ভ‚মিকার স্বীকৃতিও মিলেছে। মার্কিন-আফগান ও মার্কিন-ইরান ঘটনায় সৎ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করার জন্য তাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব দেয়া তার উপর আস্থার পরিচয় বহন করে।
জাতিসংঘে ইমরান খানের বক্তৃতা শুনে মনে হয়েছে, এত বক্তৃতা নয়, যেন এক মহাসাগরের বুক থেকে উঠে আসা বিশ্বপ্লাবী তরঙ্গ দোলা। কাশ্মীরের ভাগ্যাহত মানুষদের জন্য মায়াময় দরদী তান। এত বক্তৃতা নয়, কাশ্মীরবাসীর রক্ত ও অশ্রুতে রচিত এক অসামান্য কবিতা। জাতিসংঘে এত বলিষ্ঠ, এত প্রত্যয়দৃপ্ত কণ্ঠস্বর বিশ্ববাসী স্মরণকালে আর শুনেছে কিনা জানি না। ১৩০ কোটি মানুষের দেশটির বিশাল বাজারের লোভে আজ কাশ্মীর বিষয়ে নিশ্চুপ সব উল্লেখযোগ্য মুসলিম দেশ ও বিশে^র শীর্ষশক্তিগুলো। সে মুহূর্তে সমগ্র বিশ্ব মানুষের বিবেকের দরজায় দুঃসাহসী করাঘাত হেনে ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন ইমরান খান। অনুরাগীরা ইতোমধ্যেই তাকে টাইগার অব দি ওয়ার্ল্ড বা বিশে^র বাঘসহ অন্যান্য চমকপ্রদ বিশেষণে আখ্যায়িত করতে শুরু করেছে।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন