শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

সাতচল্লিশের পাকিস্তান এবং আজকের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মূলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান

মোহাম্মদ আবদুল গফুর | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

মাত্র কয়েকদিন আগের কথা। ‘বন্ধুদেশ’ ভারতে পূজা উপলক্ষে ৫০০ মেট্রিকটন ইলিশ উপহার পাঠানোর ঘোষণা দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই ইলিশের প্রথম চালান ভারতের কলকাতায় পৌঁছে যায়। মিডিয়ায় এই খবর প্রচারের পরপরই দিল্লি থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। হঠাৎ ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ায় যেসব ট্রাকে ভারত থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে পেঁয়াজ নিয়ে আসছিল, সেসব মধ্যপথেই আটকে দেয়া হয়।
এরফলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায় অকল্পনীয়ভাবে, যার শিকার হতে হচ্ছে এ দেশের সাধারণ মানুষদের। তাদের মনে প্রশ্ন জাগে, বাংলাদেশ সরকারের এই এক-তরফা ভারতপ্রীতির রহস্য কোথায়? কারণ তাদের বিশ্বাস, বন্ধুত্ব কোনদিন একতরফা হতে পারে না। বন্ধুত্বের পরিচয় দিতে হবে সংশ্লিষ্ট উভয় পক্ষকেই। বিশেষ করে এ বন্ধুত্ব এখন মাত্র দু’জন ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এ বন্ধুত্বের ফল ভোগ করতে হয় দেশের সমগ্র জনগণকে।
এখানে উল্লেখযোগ্য যে, বাংলাদেশকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য দেয়ার সময় থেকেই প্রতিবেশী দেশ ভারত দাবি করে আসছে যে, তারা বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। কিন্তু তাদের এ দাবির সাথে তাদের বাস্তব কাজকর্মের কোনো মিল নেই।
একথা সত্য যে, ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সৈন্য পাঠিয়ে সাহায্য দিয়েছিল। কিন্তু এ সাহায্যের উদ্দেশ্য যে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে দেখার উদ্দেশ্যে, তার প্রমাণ নেই। তাদের এ বক্তব্যের সমর্থনে বাস্তবে কোনো প্রমাণ নেই। আসলে ভারত কোনো দিনই উপমহাদেশে কোনো শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্র (সে পাকিস্তান হোক বা বাংলাদেশ হোক) থাকবে, তা চায়নি।
এরপরও যে ভারত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য দিতে এগিয়ে এসেছিল, এ সত্যকে আমরা কখনও অস্বীকার করি না এবং এজন্য আমরা যে ভারতের কাছে কৃতজ্ঞ তাও বহুবার বলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রতিদানে আমরা বাস্তবে কী দেখেছি?
একাত্তরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য দানের নামে আসা ভারতের বাহিনীর একাংশ মুক্তিযুদ্ধ শেষের পরও থেকে যায়। ভারতীয় বাহিনীর সে অংশ বাংলাদেশ থেকে কবে ফিরিয়ে নেয়া হবে, সে সম্পর্কেও কিছু বলা হয় না। ফলে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে নানা আশংকা সৃষ্টি হয়।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, একাত্তরের সমগ্র মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হবার পর তিনি প্রথম পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান। লন্ডন গিয়েই তিনি প্রথম জানতে পারেন যে, মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য দেয়ার নামে যেসব ভারতীয় সৈন্য বাংলাদেশে পাঠানো হয়, তার একটি অংশ মুক্তিযুদ্ধ শেষ হবার পরও বাংলাদেশে রেখে দেয়া হয়েছে। এটা জানার পর বঙ্গবন্ধু সাথে সাথে এ ব্যাপারে তার ইতিকর্তব্য ঠিক করে ফেলেন।
লন্ডন থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের সময় নয়াদিল্লিতে স্বল্প বিরতিকালে প্রথম সুযোগেই তিনি ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে সরাসরি প্রশ্ন করে বসেন, ‘ম্যাডাম, আপনি কখন বাংলাদেশ থেকে আপনার বাহিনী ফিরিয়ে আনবেন? জবাবে ইন্দিরা গান্ধী বলেন ‘আপনি যখন বলবেন, তখনই।’ বলা বাহুল্য, তখন বঙ্গবন্ধুর সারা বিশ্বে যে বিপুল জনপ্রিয়তা তাতে অন্য কোনো জবাব দেয়াই ইন্দিরা গান্ধীর পক্ষে সম্ভব ছিল না। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সৈন্য অপসারণ সহজ হয়ে পড়ে।
আসলে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত যে তার বাহিনীর একাংশ মুক্তিযুদ্ধ শেষ হবার পরও অনির্দিষ্টকালের জন্য রেখে দিয়েছিল, তাতেই প্রমাণিত হয়, ভারত কখনও বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী স্বাধীন দেশ হিসাবে দেখতে চায়নি। ভারত চেয়েছিল বৃহত্তর শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান ভেঙ্গে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ উভয় রাষ্ট্রকেই দুর্বল করে দেয়া। যার প্রমাণ এখনও আমরা দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন ঘটনা থেকে।
এসব ঘটনার অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশের সীমানার সামান্য উজানে গঙ্গা নদীর উপর ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ, যার মাধ্যমে শুষ্ক মওসুমে বাংলাদেশকে প্রায় মরুভূমিতে পরিণত করা এবং বর্ষাকালে ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে ডুবিয়ে দেয়া সম্ভব হয়।
এবারও ভারত বাংলাদেশের জনগণকে ডুবিয়ে মারার লক্ষ্যে বর্ষাকালে ফারাক্কা বাঁধের সবকটি গেট খুলে দিয়ে বাংলাদেশের এক বিরাট অংশকে ডুবিয়ে মারার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব ঘটনা প্রমাণ করে, ভারত যে দাবি করে, তারা বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র এ দাবির মূলে কোনো সত্যতা নেই। বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে উঠুক, ভারত যে তা চায় না তার প্রমাণ শুধু এখনই নয়, অতীতের বহু ঘটনায়ও তার প্রমাণ রয়েছে।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকতেও এর প্রমাণ পেয়ে গেছেন। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার অত্যল্পকাল পর ১৯৭২ সালে লাহোরে একটি বিশ্বমুসলিম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সে সম্মেলনে বাংলাদেশকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু তথাকথিত বন্ধুরাষ্ট্র ভারত তার প্রবল বিরোধিতা করে। এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু এ বিষয়ে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর পরামর্শ কামনা করেন। মওলানা ভাসানী সোজাসুজি উত্তর না দিয়ে বলেন, তুমি যদি স্বাধীন দেশের নেতা হয়ে থাক, তাহলে তোমার মনে যা চায় তাই করো। আর তুমি যদি ভারতের আশ্রিত রাষ্ট্রের নেতা হয়ে থাকো, তাহলে ভারত যা বলে তাই করো।
বঙ্গবন্ধু এ কথার পর তাঁর কাক্সিক্ষত উত্তর পেয়ে গেলেন এবং লাহোরে বিশ্বমুসলিম সম্মেলনে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন। যেদিন তিনি লাহোর বিশ্বমুসলিম সম্মেলনে যোগদান করেন, সেদিন নয়াদিল্লিতে তাঁর কুশপুত্তলিকা দাহ করার মাধ্যমে তাঁর এ কাজের প্রতিবাদ জ্ঞাপন করা হয়। এতে আরও প্রমাণিত হয়, ভারত কখনও বাংলাদেশকে একটি প্রকৃত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে অতীতেও চায়নি, এখনও চায় না।

এবার এমন আরেকটি বিষয়ে আলোচনা করব, প্রত্যক্ষভাবে রাজনৈতিক বিষয় না হলেও আমাদের বাংলাদেশ নামের স্বাধীন রাষ্ট্রর প্রতিষ্ঠার পেছনে যার ঐতিহাসিক অবদান অনস্বীকার্য। বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা। তবে বিষয়টি আলোচনার পূর্বে তার পটভূমির সম্পর্কে আলোকপাত করা প্রয়োজন। ইতিহাস বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি মাত্রই জানেন, ১৯০৫ সালে আজকের বাংলাদেশ এবং ভারতের বিহার উড়িষা পশ্চিমবঙ্গ প্রভৃতি রাজ্য নিয়ে বৃহৎ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি নামে যে প্রদেশ ছিল প্রধানত প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য তা ভেঙ্গে ঢাকা রাজধানীসহ ‘পূর্ববঙ্গ ও আসাম’ নামে একটি নতুন প্রদেশ সৃষ্টি করা হয়। এতে ইংরেজ শাসনাধীন ভারতবর্ষের দীর্ঘ অবহেলিত পূর্ববঙ্গ ও আসামের উন্নতির কিছুটা সুবিধা হবে মনে করে নবাব সলিমুল্লাহ তার প্রতি সমর্থন দান করেন।
কিন্তু এতে কলকাতা প্রবাসী হিন্দু জমিদাররা ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্ববঙ্গে অবস্থিত তাদের জমিদারীতে তাদের প্রভাব ক্ষতিগ্রস্ত হবে আশংকা করে এর বিরুদ্ধে তুমুল আন্দোলন শুরু করে দেন। পলাশী পরবর্তীকালে নব্য শাসক ইংরেজরা সব সময় যে হিন্দু নেতাদের সমর্থন পেয়ে আসছিলেন, তারা তাদের মিত্র শক্তি হিন্দু জমিদারদের এ রুদ্র মূর্তি দেখে ভয় পেয়ে যান। ফলে মাত্র কয়েক বছরের মাথায় ঐতিহাসিক দিল্লি দরবারে বঙ্গভঙ্গ রদ ঘোষণা করে কলকাতাকে প্রাদেশিক রাজধানী সম্মিলিত বঙ্গপ্রদেশের রাজধানী ঘোষণা করে শাসকদের পুরাতন মিত্রদের মন রক্ষার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
এতে ইংরেজ শাসকদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ নেতা নবাব সলিমুল্লাহ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। এবার নবাব সল্লিমুল্লাহর ক্ষোভ দূর করার জন্য সরকার তাঁর অন্যতম স্বপ্ন ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দান করেন। কিন্তু এতেও কলকাতা প্রবাসী হিন্দু নেতাদের আপত্তি। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে তাদের যুক্তি (কুযুক্তি) ছিল, এর ফলে নাকি বঙ্গমাতার অঙ্গচ্ছেদের মতো পাপ হবে। এবার তাদের বক্তব্য হল, ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে বাঙ্গালী সংস্কৃতি দ্বিখন্ডিত হয়ে পড়বে। তাদের আপত্তির কারণে ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা অনেক পিছিয়ে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা নবাব সলিমুল্লাহর পক্ষে বেঁচে থাকতে তার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা দেখে যেতে পারেননি। তিনি ইন্তেকাল করেন ১৯১৫ সালে। আর কলকাতা প্রবাসী বুদ্ধিজীবীদের বাধার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা বিলম্বিত হয়ে ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কলকাতা-কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে যেসব যুক্তি (কুযুক্তি) ছিল, তার অন্যতম ছিল এই যে, পূর্ববঙ্গের অধিকাংশ অধিবাসী মুসলমান কৃষক ও অশিক্ষিত। সুতরাং তাদের শিক্ষা বা উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন নেই।
আগেই বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা নবাব সলিমুল্লাহর পক্ষে তার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় দেখে যাবার সুযোগ হয়নি, কারণ তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগেই ১৯১৫ সালে ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর তার অন্যতম সহযোগী সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী এবং তদানীন্তন তরুণ জননেতা এ. কে ফজলুল হক (পরবর্তী কালে শেরে বাংলা) প্রমুখদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
এখানে উল্লেখযোগ্য যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ঢাকা শহরের মধ্যে অবস্থিত স্কুল-কলেজের বাইরের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃত্ব ছিল না। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল, এই সীমাবদ্ধতা থেকে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুক্তি পায় ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর।
এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা বহু বিলম্বিত হলেও প্রথম দিকে বহুদিন পর্যন্ত ইংরেজি ভাষা অনুসরণ করে উবপপধ টহরহাবৎংরঃু কে গবপপধ টহরহাবৎংরঃু বলে উপহাস করতেন এক শ্রেণির সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন হিন্দু বুদ্ধিজীবী, যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন একজন ইংরেজ এবং তৎকালীন ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর হন একজন হিন্দু শিক্ষাবিদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে বিশেষ গুরুত্ব দানের অন্যতম কারণ এই যে, সে সময় এতসব বাধা ও সীমাবদ্ধতার মধ্যদিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত না হলে ১৯৪৭ সালে স্বাধীন পাকিস্তান এবং পরবর্তীকালে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হতো না।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন