নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনেই আইন অমান্য করে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া মাছের বাজারে প্রকাশ্যে মা ইলিশ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মো. হযরত আলী নামের স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ওই মাছ বিক্রি করা হয়। ঘটনাটি মাঈনুদ্দিন জিপু নামের স্থানীয় এক সাংবাদিক ওই মাছের ছবি তুলে ফেইসবুকে পোষ্ট করলে শুরু হয় তোলপার।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা, চরফ্যাশন উপজেলার জেলে পল্লী নামের খ্যাত নুরাবাদ ইউনিয়নের কয়েক জেলে সাগড় থেকে একটি বড় ট্রলারে প্রায় একশত মন ইলিশ শিকার মাছ করে বরিশালে দিকে রওনা দেয়। ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর টানা বাইশ দিন মা ইলিশ বিক্রি, মজুত, শিকার, ও পরিবহন করা নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলেরা বরিশালের বাজারে মাছ বিক্রি করতে পারে নি। পড়ে জেলেরা মোইল ফোনে কালাইয়া বন্দরের মাছ ব্যবসায়ী হযরত আলীর সাথে যোগাযোগ করেন। হযরত আলী জেলেদের মাছ বিক্রির আশ্বস্ত করলে জেলেরা ট্রলারটি নিয়ে ফিরে আসে কালাইয়া বাজারে। এরপড় কালাইয়া বাজারে সারে তিনশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় মাছ গুলো। অভিযোগ রয়েছে মাছ বাজারে অদুরে নৌ পুলিশ ফাড়ি থাকার পড়ে তারা (পুলিশ) মাছ বিক্রি বিষয়টা জানলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে কালাইয়া নৌপুলিশ ফাড়ির সরকারী মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে বাজারে মাছ বিক্রির বিষয়টি স্বিকার করেছেন মাছ বিক্রেতা হযরত আলী।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত ) মো. জসিম উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিজুস চন্দ্র দে বলেন, অভিযুক্ত হযরতের মাছের আড়ত তল্লাসী করা হয়েছে। কোন ইলিশ মাছ পাওয়া যায় নি। তারপড়েও আমার সজাগ দৃষ্টি রাখছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন