সিঁড়িতে পড়েছিল মহিলার লাশ। ওই ভবনের বাসিন্দাদের কেউই তার পরিচয় জানে না। কিভাবে খুন হলো তার রহস্য উদঘাটনেও হিমশিম খাচ্ছিল পুলিশ। হঠাৎ করে এক পুলিশ কর্মকর্তার মাথায় বুদ্ধি আসে- তিনি তিনতলা ওই ভবনের বাসিন্দাদের সব কক্ষ তল্লাশি শুরু করেন। তৃতীয় তলার একটি বাসায় তল্লাশিকালে বালিশে কয়েক ফোঁটা রক্ত দেখা যায়। এর সূত্র ধরে বাসার বাসিন্দা ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। মুখ খোলেন ফারুক, খুলে যায় হত্যা রহস্যের জট। এ ঘটনায় ফারুকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার রাতে মহানগর হাকিম আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন আসামি ফারুক।
গত সোমবার সকালে নগরীর বন্দর থানার কলসী দিঘীর পাড় বাদামতলায় হাজী নুরুল হক সওদাগরের বাড়ির তৃতীয় তলায় ছাদে ওঠার সিঁড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। ফারুকের জবানবন্দির বরাত দিয়ে বন্দর থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, ওই নারী যৌনকর্মী। তাকে ফারুকসহ কয়েক বন্ধু মিলে বাসায় আনে।
তাদের সাথে রাতে বাসায় থাকার পর সকালে টাকা-পয়সা নিয়ে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ সিঁড়িতে ফেলে দেয়া হয়। ধস্তাধস্তির সময় ওই মহিলার হাত কেটে কয়েক ফোঁটা রক্ত পড়ে বালিশে। এ ঘটনায় গ্রেফতার তিনজন হলো- ওই ভবনের বাসিন্দা মো. ফারুক (৩৬), একই এলাকার মো. রাশেদ (৩৬) ও মো. আলমগীর (৩৫)।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন