বিশেষ সংবাদদাতা, খুলনা : স্মরণকালের ভয়াবহ বজ্রপাতে বিদ্যুৎ বিভাগ খুলনা সার্কেলের ২ কোটি ২৬ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৪ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। একই সঙ্গে এ সার্কেলের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাত জনিত বিপর্যয়ের কারণে গাছের ডাল-পালা এখনও পর্যন্ত উপড়ানো ও পোড়া অবস্থায় রয়েছে। এসব ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি খুলনা বিদ্যুৎ বিভাগ।
ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)’র তথ্যানুযায়ী, গত ১১ জুন দিবাগত রাত থেকে ১২ জুন সকাল পর্যন্ত চলা ভয়াবহ বজ্রপাতে খুলনা সার্কেলের চারটি বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের ২৪টি ট্রান্সফর্মার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর দু’টি, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর ৬টি, বিতরণ বিভাগ-৩ এর ৭টি এবং বিতরণ বিভাগ-৪ এর ৯টি ট্রান্সফর্মার রয়েছে। এছাড়া বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর ১২ মিটারের একটি পাঞ্জারমাস্ট পোল, ৯ মিটারের ২টি পোল এবং ফুলতলা বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের ৯ মিটারের ৩টি পোল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় সার্কেলের ৭২টি পিন ইন্সুলেটর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ২ কোটি ২৬ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৪ টাকা নির্ধারণ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
সূত্র জানায়, খুলনাঞ্চলে গত ১১ জুন দিবাগত রাত থেকে পরদিন সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অব্যাহত বজ্রপাতের কারণে খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার গাছপালা পড়ে যায়। এছাড়া ঝড়ের কারণে অনেক গাছ উপড়ে পড়ে। যার অনেকটাই এখনও সরানো সম্ভব হয়নি। পড়ে রয়েছে বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের উপর। অনেক গাছে ভয়াবহ বজ্রপাতে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। আর এ বজ্রপাতে শুধুমাত্র খুলনায় বাবা-মেয়েসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে।
সংশিষ্ট সূত্রমতে, বজ্রপাতে ২৪টি ট্রান্সফর্মারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রূপসার দু’টি ফিডারের গ্রাহকরা। এতে বিবিবি-৪ এর আওতাধীন পূর্ব রূপসা শিল্পাঞ্চলের একটি পাওয়ার ট্রান্সফর্মার বজ্রপাতে পুড়ে যায়। ফলে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও খানজাহান আলী নামের এ দু’টি ফিডারের আওতাধীন জাবুসা, পূর্ব রূপসা, চর রূপসা, বাগমারা ও ইলাইপুর এলাকার গ্রাহকরা এখনও বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন