শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

তারেক-মামুনের বিরুদ্ধে আপিলের রায় যে কোনো দিন

প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : অর্থ পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনে করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) করা আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করা হবে মর্মে ঠিক করেছেন আদালত। গতকাল (বৃহস্পতিবার) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে শুনানি করেন এজে মুহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও রগিফ রউফ চৌধুরী। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবির। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।
ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে করা মামলার রায়ে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেককে বেকসুর খালাস দেন। মামলায় তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে দেয়া হয় সাত বছর কারাদÐ এবং ৪০ কোটি টাকা জরিমানা।
তারেকের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিলের আবেদন করে। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করেন।
মামলাটি দায়ের থেকে শুরু করে পুরো বিচার প্রক্রিয়ায়ই অনুপস্থিত ছিলেন তারেক। গত আট বছর ধরে তিনি যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। আত্মসমর্পণের পর তিনি জামিন চাইতে পারবেন বলে জানা গেছে। ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের করা এ মামলায় তারেক-মামুনের বিচার শুরু হয় ২০১১ সালের ৬ জুলাই থেকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ নির্মাণ কনস্ট্রাকশনস নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন মামুন।
২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পন্থায় ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের হিসাবে পাচার করা হয়, যার মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা তারেক খরচ করেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।
জজ আদালতের রায়ে বলা হয়, ওই টাকা খরচ করার কথা তারেক রহমান অস্বীকার করেননি। ২০০৭ সালে দুদকে দাখিল করা তারেকের হিসাব বিবরণীতে তার উলেখ রয়েছে। তিনি যে মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন, তা প্রমাণ হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন