শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের টাকা মেরে দেয়ার অভিযোগ অবিভক্ত ডিসিসি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (ডিসিসি) পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের আবাসন ব্যবস্থা করতে ২০০৫ সালে ‘কনস্ট্রাকশন অব ক্লিনার্স কলোনি অব ঢাকা সিটি কর্পোরেশন’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। যার ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এ প্রকল্প থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের অনুসন্ধানে তৎকালীন সরকারের এ বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাত জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলার অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের এক বৈঠকে এসব মামলার অনুমোদন দেয়া হয়। শিগগিরই দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা আবদুছ ছাত্তার সরকার বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করবেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দুদক সূত্র জানায়, ডিসিসির ধলপুর ও সূত্রাপুর প্রকল্প বাস্তবায়নকালে এ দুর্নীতি করা হয়েছে। যেখানে জড়িত আছেন বর্তমান ঢাকা সিটি কর্পোরেশন উত্তরের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলীসহ সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা।
সূত্র আরো জানায়, যাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে তারা হলেনÑ ডিএনসিসির তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মেজবাহুল করিম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমানে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মজিবুর রহমান, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, ডিএসএসসি সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ মৃধা, রামপুরার বিক্রমপুর ট্রেডিং হাউজের মালিক নিজাম উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা ওয়ারীর ব্যবসায়ী হাজী এমএম জাহিদ হোসেন এবং মগবাজারের প্রতিষ্ঠান নাজমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানির মালিক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
এর মধ্যে তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মেজবাহুল করিম ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ও বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মজিবুর রহমানকে তিন মামলায় আসামি করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, ২০০৫ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের অধীনে দয়াগঞ্জ, ধলপুর ও সূত্রাপুর ক্লিনার্স কলোনি নির্মাণ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। যার ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এসব প্রকল্পের মধ্যে ধলপুর প্রকল্পের ‘ক’ বিল্ডিং বাস্তবায়নকালে এক কোটি ৩৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫০২ টাকা, একই প্রকল্পের খ, গ ও ঘ বিল্ডিং বাস্তবায়নকালে তিন কোটি ১৮ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৪ টাকা এবং সূত্রাপুর প্রকল্পের ক ও খ বিল্ডিং বাস্তবায়নকালে এক কোটি ৪৬ লাখ ৯ হাজার ২৯৩ টাকা আত্মসাৎ করে।
বরাদ্দকৃত নির্মাণসামগ্রীর চেয়ে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে মোট ৫ কোটি ৯৯ লাখ ১৫ হাজার ২৭৯ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে দুদকের দীর্ঘ অনুসন্ধানে প্রমাণিত হওয়ায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা তিনটি দায়ের করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের করা ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ২০০৭ সালের মে মাসে একটি ভবন ধসে পড়ে এবং সব নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে এসে ‘কনট্রাকশন অব ক্লিনার্স কলোনি অব ঢাকা সিটি কর্পোরেশন’ এর নতুন প্রকল্পের আওতায় ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এই মোট ব্যয়ে ১৩টি ভবনের মধ্যে ৫টি ধলপুরে, ৫টি দয়াগঞ্জে এবং ৩টি সূত্রাপুরে নির্মিত হওয়ার কথা ছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন