বাংলাদেশের সর্ব প্রথম মলি কুলার ডায়াগনস্টিক ল্যাব ডিএনএ সল্যুশন লি. গর্ভবতী মায়েদের প্রিনেটাল স্ক্রীনিং টেস্ট-নন-ইনভেসিভ প্রিনেটাল স্ক্রীনিং মেথড এর সূচনা করে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন। এই টেস্টে গর্ভবতী মায়েদের রক্ত থেকে ভ্রুণের ডিএনএ সংগ্রহ করে ক্রোমোসোমাল এ্যানিউপ্লয়েডি সনাক্ত করে ডাউন সিনড্রোম শিশুসহ জম্মগত ত্রুটি হবার সম্ভাবনার ঝুঁকি’র মধ্যে থাকা মায়েদের সেবা প্রদান করা হবে।
এই আমূল পরিবর্তনকে সামনে রেখে ডিএনএ সল্যুশন লি., অবস্টেট্রিক্যাল এন্ড গাইনোকোলোজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) এবং বাংলাদেশ পেরিনেটাল সোসাইটি (বিপিএস) শনিবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা ক্লাবে একটি সেমিনার আয়োজন করে। যার শিরোনাম ছিল ‘কনজেনিটাল ফেটাল অ্যাবনরমালিটিস এন্ড নন-ইনভেসিভপ্রিনেটাল টেস্টিং (এনআইপিটি)’।
বাংলাদেশের প্রথিতযশা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. টি এ চৌধুরী এই সেমিনারের প্রধান অতিথি থেকে দেশে প্রথম এ ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে আসায় ডি এন এ সলিউশনকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর মোহাম্মদ শহিদুল্লা এবং বিপিএসএর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর লাইলা আর্জুমান্দ বানু। সেমিনারে ওজিএসবি’র প্রেসিডেন্ড প্রফেসর সামিনা চৌধুরী এবং জেনারেল সেক্রেটারি প্রফেসর ডা. সালেহা বেগম চৌধুরী বিশেষ অতিথি ছিলেন। এছাড়াও সেমিনারে ঢাকার স্বনামধন্য আড়াইশ এর অধিক স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন।
ডিএনএ সল্যুশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাবেদ ইকবাল পাঠান বলেন, দেশে মলিকুলার টেস্ট সহজলভ্য করতে তার কর্মতপরতা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এখন থেকে সব ধরনের ডিএনএ টেস্টের জন্য আর বাহিরের দেশে যাওয়ার তেমনটা প্রয়োজন হবেনা। যা ডিএনএ সল্যুশন এ করাই সম্ভব।
অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউ’র নিউওনেটোলজিস্ট প্রফেসর ডা. মো. আবদুল মান্নান এবং গাইনি এন্ড অবস সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল করিম কাজল এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের জেনেটিক ইনঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. শরীফ আক্তারুজ্জামান প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন