শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কয়লা দুর্নীতি : বড়পুকুরিয়ার সাবেক এমডিসহ ৩ জন কারাগারে, ২০ জনের জামিন

দিনাজপুর অফিস | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০১৯, ২:১৪ পিএম

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭.৯৯ মেট্রিক টন কয়লা (যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা) আত্মসাতের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদসহ ৩ জনকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছে আদালত। আদালত কর্তৃক বাকী ২০ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আজিজ আহমদ ভুঞা এই আদেশ প্রদান করেন। এর আগে সাত ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ২৩ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বাদী ও বিবাদীপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শ্রবণ শেষে বিচারক ওই আদেশ দেন। জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশভুক্ত অন্য দুইজন হলেন- সাবেক মহাব্যবস্থাপক আবু তাহের মোঃ নুরুজ্জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম খাদেমুল ইসলাম।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার একই আদালতের বিচারক এই চাঞ্চল্যকর মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানি শেষে বিচারক মামলার অভিযোগপত্রের তালিকাভুক্ত বড়পুকুরিয়ার সাবেক ৭ এমডিসহ ২৩ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর আদেশ প্রদান করেন। এছাড়াও তদন্তে ঘটনার সাথে জড়িত না থাকায় তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন মোতাবেক ৫ কর্মকর্তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আদেশ প্রদান করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০০৬ সালের জানুয়ারী মাস থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরি হয় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে। যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা ৮৪ পয়সা। এই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয় এবং কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। কয়লা গায়েবের ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানীর ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনিসুর রহমান বাদী হয়ে গত বছর ২৪ জুলাই ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি দুদকের তফশীলভুক্ত হওয়ায় দুদক কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। পরে মামলাটি দুদকের উপ-পরিচালক সামসুল আলম তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে তদন্ত করেন। গত ২৪ জুলাই মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে প্রদান করা হয়। আসামিরা দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে তদন্তে পাওয়া গেছে বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়। এই অভিযোগপত্রে এজাহার নামীয় ছাড়াও ৯ জনকে যুক্ত করা হয় এবং তদন্তে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা না থাকায় ৫ জনকে আসামী থেকে বাদ দেয়ার কথা বলা হয়।

 
 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন