বরিশাল ব্যুরো : বরিশাল মহানগরীতে নব প্রতিষ্ঠিত গ্রীন সিটি পার্ক শিশু-কিশোরসহ অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করতে শুরু করেছে। গত শুক্রবার নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান বেল পার্ক সংলগ্ন গ্রীন সিটি পার্কটি উদ্বোধন করেন মেয়র আহসান হাবীব কামাল। প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এ পার্কটিতে শিশু কিশোরদের চিত্ত বিনোদনের নানা আয়োজন ছাড়াও নয়নাভিরাম আলোকসজ্জারও ব্যবস্থা করেছে সিটি করপোরেশন। সরকারী প্রায় দুই বিঘা জমির ওপর নির্মিত বাহারী সৌন্দর্যের এ পার্কটি ইতোমধ্যেই সবার নজর কারতে শুরু করেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র আহসান হাবীব কামাল নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এধরনের আরো ১০টি পার্ক নির্মাণের কথাও ঘোষণা করেছেন।
সিটি করপোরেশন তার নিজস্ব অর্থে পার্কটির মধ্যে নানা ধরনের ১৮টি খেলনা স্থাপন করেছে। পুরো পার্কটি জুড়েই রয়েছে নানা রঙের ফুলের গাছ ও কার্পেট ঘাশ। এখানে দোলনা ছাড়াও ছোট ও বড় দুটি ¯øীপার এবং ব্যালেন্স রাইডারও স্থাপন করা হয়েছে। এছাড় পার্কটির মধ্যে বিভিন্ন বয়সী শিশুদের জন্য হাতি, ঘোড়া, বাঘ, ডাইনোসার, কুকুর ও মাছসহ বিভিন্ন প্রাণীর স্ট্যাচুও স্থাপন করা হয়েছে। এসব স্ট্যাচুতে বসারও ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। ষোলটি পর্যায়ে পার্কটির মধ্যে শিশু কিশোর ও তাদের অভিভবাকদের বসার জন্য নানা ধরনের বেঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে। পার্কের অভ্যন্তরে নানা বাহারী চাইনিজ টাইলস ও রঙিন বাতি স্থাপন করে এর সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা দেয়া হয়েছে।
শিশুদের শারীরিক ও মানষিক বিকাশে পুরো পার্কটির পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরশন কর্তৃপক্ষ। ২০০২ সালে নগরীর এককালের লেডিস পার্কটিতে ‘প্লানেট ওয়ার্ল্ড’ নামে একটি শিশু পার্ক চালু করা হয়। বেসরকারী একটি প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরশন থেকে পার্কটির জমি ২৫ বছরের জন্য ইজারা নিয়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শিশু পার্কটি চালু করে। সেসময় ১০টাকা প্রবেস মূল্যের বিনিময়ে সব বয়সীদের জন্য পার্কে প্রবেসর ব্যবস্থা রাখা হয়। ২০০৪সালে তৎকালীন সিটি মেয়র মুজিবুর রহমান সারোয়ার পার্কটির প্রবেস ফি ৮টাকায় নির্ধারন করে দেন। কিন্তু ২০০৮সালে শওকত হোসেন হিরন সিটি মেয়ার নির্বাচিত হবার পরে এর প্রবেস ফি ২০টাকা নির্ধািরন করেন। তিনি নিজেই সিটি করপোরেশনের জমি ইজারা নিয়ে ঐ পার্কটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
কিন্তু দূর দূরান্ত থেকে শিশদের ঐ পার্কে পৌঁছার যাতায়াত খরচ সহ এর প্রবেশ মূল্য এবং খেলাধুলার সামগ্রী ব্যবহারে আরো অর্থ ব্যায় করার সঙ্গতি সবার নেই। ফলে এনগরীর শিশু কিশোররা এধরনের চিত্ত বিনোদন থেকে বঞ্চিত দীর্ঘদিন। এসব বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান সিটি মেয়র আহসান হাবীব কামাল করপোরেশনের নিজস্ব অর্থে গ্রীন সিটি পার্কটির নির্মান কাজ মাত্র ছয় মাসে সম্পন্ন করে তা সবার জন্য উন্মূক্ত করলেন। উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক শিশু-কিশোর গ্রীন সিটি পার্কে চিত্ত বিনোদনের জন্য আসছে। ক্ষুদ্র পরিসরে হলও নতুন এ পার্ক শিশু কিশোর ও অভিভাবকদের আগ্রহ ও কৌতুহল সৃষ্টি করতে শুরুর করেছে।
তবে পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনার রাখার তাগিদ দিয়েছেন ওয়াকিবাহাল মহল। গতকঅল সরেজমিনে গিয়ে পার্কটিতে সিটি করপোরেশনের একজন কর্মচারীকে দেখা গেছে। তবে তিনিও ছিলেন অনেকটাই নির্বিকার। অনেক শিশু-কিশোরই পাকর্িিটর বিভিন্ন খেলনাসমুহ ইতোমধ্যে যথেচ্ছ ব্যবহার করতে শুরু করেছে। অনেক অভিববাবক পার্কে যথেচ্ছভাবে ঘৃুরে বেরানোতে ফুলের বাগানসহ বহু মূল্যবান কার্পেট ঘাসও বিনষ্ট হতে শুরু করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন