শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

স্পেনের বার্সেলোনা জ্বলছে : বিক্ষোভে উত্তাল রাজপথ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০১৯, ৩:০১ পিএম

স্পেনের আদালতে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাপন্থী নেতাদের কারাদন্ড ঘোষণার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে অঞ্চলটির প্রধান শহর বার্সেলোনা। বুধবার বিক্ষোভকারীরা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশের ওপর পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মারে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দিনভর শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের পর রাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। আঞ্চলিক সরকারের নেতা কুইম তোরা বিক্ষোভকারীদের সহিংসতা থামানোর আহবান জানিয়েছেন। ২০১৭ সালে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার দাবিতে গণভোট আয়োজনে ভূমিকার জন্য গত সোমবার অঞ্চলটির ৯ স্বাধীনতাকামী নেতাকে কারাদন্ড দেয় স্পেনের সুপ্রিম কোর্ট। আদেশে তাদের ৯ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। আদালতের রায়ের পরই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে কাতালানরা।
বার্সেলোনা ও সেখানকার কয়েকটি শহরে বিক্ষোভের সময় আহত হওয়া ৫২ জনকে চিকিৎসা দেওয়ার কথা জানিয়েছে জরুরি সেবা বিভাগ। বুধবার চারজনকে অজামিনযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার পুলিশ জানিয়েছে, কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা মলোটোভ ককটেল, পেট্রোল বোমা ও এসিড ছোঁড়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন কয়েকটি স্থানে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয়েছে। বুধবার সকালে বিক্ষোভকারীরা রাস্তা ও রেলপথ অবরোধ করে। আঞ্চলিক সরকারের নেতা কুইম তোরা জিরোনা শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। পরে তিনি বলেন, এই মিছিল আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানোর সঠিক পথ।
সূর্যাস্তের সময় কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী বার্সেলোনার মধ্যাঞ্চলের একটি এভিনিউতে সমবেত হয়। তারা স্বাধীনতার পতাকা উড়িয়ে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভকারীদের একজন ১৮ বছর বয়সী ইসাক গ্রানা বলেন, ২০১২ সাল থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করে লক্ষ্যপূরণ না হওয়ায় বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন পাত্রে আগুন ধরিয়ে দিতে শুরু করে। তিনি বলেন, মানুষের মনোযোগ আকর্ষণের একমাত্র উপায় হলো সোরগোল সৃষ্টি করা। স্পেন যদি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হতো তাহলে ভোট চাওয়ার জন্য কাউকে কারাদÐ দেওয়া হতো না।
আঞ্চলিক সরকারের নেতা কুইম তোরার পূর্বসূরি চার্লস পুজদেমন ২০১৭ সালে স্বাধীনতার দাবিতে গণভোট আয়োজন করেন। স্পেনের শীর্ষ আদালতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ওই গণভোট আয়োজনের পর থেকে ইউরোপীয় দেশগুলোসহ অন্যরা সেখানকার আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করছে। এরই মধ্যে চার হাজারেরও বেশি কোম্পানি কাতালোনিয়ার বাইরে তাদের সদর দফতর সরিয়ে নিয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন