শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

থেমে আছে তিস্তা সেতু সংযোগ সড়ক নির্মাণ

জনভোগান্তি চরমে

মোশাররফ হোসেন বুলু, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

সুন্দরগঞ্জে তিস্তা সেতুর কাজ এখনো আরম্ভ হয়নি। সংযোগ সড়কের কাজ আরম্ভ হলেও ৫/৬ মাস থেকে বন্ধ আছে। আছে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা। মাটি ভরাট রাস্তায় খানা-খন্দে ভরপুর। চরম ভোগান্তিতে জন সাধারণ।
তিস্তা সেতু নির্মাণে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সউদি সরকার। সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণে অনেক আগেই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মাটি ভরাট কাজ শুরু হলেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় তা থেমে আছে।

তিস্তা সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ১৪৯০ মিটার। প্রস্থ ৯.৬ মিটার। সেতুর স্প্যান হবে ৩১ টি। নদী শাসন হবে ৬ কি.মি.। সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ হবে ৮২ কি.মি.। এর মধ্যে নদীর পশ্চিম পার্শ্বে ৭৬ কি.মি. এবং পূর্ব পার্শ্বে ৬ কি.মি.। সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৬ কোটি ৭১ লাখ ৫৮ হাজার ১৬১ টাকা। মাটি ভরাট শুরু হলেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় ৫/৬ মাস থেকে কাজ থেমে আছে।

গত বছর হরিপুর থেকে সুন্দরগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ১৫ কি.মি. পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে মাটি ভরাট করা হয়। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর এ কাজের তত্ত্বাবধান করে। কিন্তু বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কাজ করা সম্ভব হয়নি। এ রাস্তার টপ হবে ২৪ ফিট। বাকি রাস্তার টপ হবে ১৮ ফিট। কাজ থেমে থাকায় হরিপুর থেকে সুন্দরগঞ্জ ১৫ কি.মি. রাস্তা বর্তমানে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। গর্তের কারণে বর্তমানে অটোবাইক ও ভ্যান ছাড়া অন্য কোন যানবাহন চলছে না। বৃষ্টি হলেই শিক্ষার্থীরা পড়ে যায় বিপাকে। মুমুর্ষ রোগী বহনকারি এ্যাম্বুলেন্স দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। ছোট ছোট দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে এ রাস্তায়। এখন পর্যন্ত খানা-খন্দ মেরামত করার কোন উদ্যোগ নেয়নি কেউ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে সেতু নির্মাণের দরপত্র আহবান করা হয়। যা পরে বাতিল হয়ে যায়। এ বছর পুনরায় দরপত্র আহবান করা হয়। এ সেতুটি নির্মাণ হলে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামবাসির ঢাকা যেতে ৮০ কিলোমিটার রাস্তা কমে যাবে। এছাড়া সেতু নির্মাণ ও সংযোগ সড়কের কাজ সম্পন্ন হলে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামবাসির উন্নয়ন হবে। উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনছুর জানান, সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৬ কোটি ৭১ লাখ ৫৮ হাজার ১৬১ টাকা। খুব শীঘ্রই সংযোগ সড়কের কাজ আরম্ভ হবে। তিনি আরো জানান, সেতু ও রাস্তার কাজ সম্পন্ন হলে গাইবান্ধা, সুন্দরগঞ্জ, চিলমারী, উলিপুর ও কুড়িগ্রামের যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন