ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এক পাগলা শিয়ালের কামড়ে ছয় গ্রামের নারী-শিশুসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে চারজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় ও অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উপজেলার সালটিয়া ও রাওনা ইউনিয়নের গ্রামে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে একটি পাগলা শিয়াল উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের শিলাসী, জালেশ্বর, ধামাইল, কালাইরপাড় ও রাওনা ইউনিয়নের খারুয়া মুকুন্দ গ্রামে যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই কামড়ে গুরুতর আহত করেছে। আহতরা হলেন শিলাসী গ্রামের জিলান মিয়ার মেয়ে মদিনা (৪), আনার মিয়ার ছেলে আহাদ (৮), কামাল উদ্দিন (৪৫), মফিজ উদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম, ধামাইল গ্রামের কেরামত শেখের ছেলে রফিক (৫৫), মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী জায়েদা, জামাল উদ্দিনের স্ত্রী জোসনা বেগম (৪০), জালেশ্বর গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে শাহরিয়ার (১৭), মুছলেম মিয়ার ছেলে ফেরদৌস (৩১), কালাইরপাড় গ্রামের সাইদ বেপারীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪০), খারুয়া মুকুন্দ গ্রামের শাহাজ উদ্দিনের ছেলে আলফাজ (৮) ও রফিক উদ্দিন। আহতদের মধ্যে চোখে, মুখে ও গলায় জখমপ্রাপ্ত রফিক, জোসনা, মদিনা ও আহাদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
শিয়ালের কামড়ে আহত রোকেয়া বেগম বলেন, পাগলা শিয়াল এত হিংস্র ছিল যে যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই লাফ দিয়ে কামড়ে দিয়েছে।
সালটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক ঢালী বলেন, দিনের বেলা হলে লোকজন শিয়ালটিকে মেরে ফেলতে পারতেন। কিন্তু রাতের অন্ধকারে শিয়ালটিকে মারা সম্ভব হয়নি বলে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সুমন চন্দ্র দেব বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে একের পর এক শিয়ালের কামড়ের রোগী আসতে থাকে। ১৫ জন রোগীকে আমরা এন্ট্রি করেছি। তার মধ্যে দুই শিশুসহ চারজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন