বিশ্ববিদ্যালয় রিপোার্টার : ‘কবিতা মৈত্রীর কবিতা শান্তির’ সেøাগানে আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রান্থাগার প্রাঙ্গণে শুরু হবে ৩০তম জাতীয় কবিতা উৎসব। সকাল ১০টায় সৈব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক দুই দিনব্যাপী উৎসবের উদ্বোধন করবেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এবারের আয়োজনে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, সুইডেন, নরওয়ে, সেøাভাকিয়া, মরক্কো, তাইওয়ান ও নেপালের বিশিষ্ট কবিরা উৎসবে যোগ দিবেন। কবিতাপাঠ, প্রবন্ধ উপস্থাপন ও কবিতা থেকে গানের মধ্য দিয়ে ২ ফেব্রæয়ারি শেষ হবে এ উৎসব।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত। এসময় বক্তব্য রাখেন, উৎসবের আহŸায়ক কবি রবিউল হুসাইন, যুগ্ম আহŸায়ক কবি কাজী রোজী এমপি, কবি ও কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, কবি নাসির আহমেদ, কবি আসলাম সানী, কবি আমিনুর রহমান সুলতান প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে কবি রবিউল হুসাইন বলেন, বাংলাদেশে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে শুধু কবিতাকে নিয়ে ত্রিশ বছর পার করেছে এদেশের কবি ও কবিতাপ্রেমী মানুষেরা। যে রাষ্ট্রের মানুষ কবিতা নিয়ে ত্রিশ বছর পার করতে পারে, কবিতা নিয়ে উৎসব করতে পারে তাদের জীবনে তো জঙ্গিবাদের মতো কোনো জটিলতা স্পর্শ করার কথা নয়।
কাজী রোজী বলেন, কবিতাকে নিয়ে এমন উৎসব পৃথিবীতে এতো বৃহৎ পরিসরে আছে বলে আমার জানা নেই। কবি নাসির আহমেদ বলেন, কবিতাকে বঙ্গভবন থেকে তৃণমূলে ছড়িয়ে দিয়েছে জাতীয় কবিতা পরিষদ। এ ধারাবাহিকতা চলছে। আমার বিশ্বাস এটি অনেক দূর পর্যন্ত যাবে। সংবাদ সম্মেলনে কবি মুহাম্মদ সামাদ পরিষদের পক্ষ থেকে কবি রফিক আজাদের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং অনতিবিলম্বে বিশেষ বিমানে বিদেশে পাঠানোর দাবি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন