সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বসহ নানা অভিযোগে যুবলীগ নেতা ও ‘জনতার কমিশনার’ খ্যাত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজিবকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ৪০৪ নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানকালে ওই বাসা থেকে ৭টি বিদেশি মদের বোতল, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, তিন রাউন্ড গুলি, নগদ ৩৩ হাজার টাকা ও একটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। অস্ত্রের কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি রাজীব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব নিজের এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, টেন্ডারবাজি, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ আর মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত করেছেন। ২০১৫ সালের কাউন্সিলর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দলীয় প্রার্থী ও মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ বজলুর রহমানকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন তিনি।
কমিশনার হওয়ার পরপরই তিনি বনে যান স্বঘোষিত ‘জনতার কমিশনার’। তবে অভিযোগ ওঠে কথিত এই ‘জনতার কমিশনার’ জনতার কাছ থেকেই মাসে কোটি টাকা চাঁদা নিতেন। বাসস্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ড, ফুটপাত থেকে তিনি চাঁদা উঠাতেন।
গেল মাসের মাঝামাঝিতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন রাজিব। এরপর তার খোঁজ শুরু হয় বলে র্যাবের মুখপাত্র সারোয়ার বিন কাশেম জানিয়েছেন।
এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান রাজিবকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ। হারুনুর রশীদ বলেন, চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কেউ গ্রেপ্তার হলে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় রাজিবকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জানা যায়, এর আগেও ২০১৫ সালে এক মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার জন্য মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে তিনি বহিষ্কার হয়েছিলেন। পরে কেন্দ্রীয় যুবলীগের এক নেতাকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়ে উল্টো তিনিই হয়ে যান ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন