‘আমরা দেশকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখছি তখনই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে যারাই অপরাধী হবে তাদের কোনো ক্ষমা নেই। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো। কারণ আমরা যখন দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, স্বাভাবিকভাবে কিছু মানুষের ভেতরে একটা লোভের সৃষ্টি হয় আর তার ফলাফল হিসেবে সমাজটা ধ্বংসের দিকে যায়। কাজেই এই ধরনের অন্যায় অবিচার কখনো বরদাশত করবো না।’-আজ রোববার (২০ অক্টোবর) গণভবনে যুবলীগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে কাজ শুরু করা হয়েছে। এটি চালিয়ে যাওয়া হবে। সকলে মিলে অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছল থাকুক, সেটা আমরা চাই। কিন্তু অন্যায়ভাবে যদি কেউ কিছু করে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া, এটা একান্তভাবে অপরিহার্য বলে আমি মনে করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারণ সমাজে যখন একটা পরিবর্তন আসে তখন স্বাভাবিকভাবে দেখা যায় কিছু কিছু মানুষ রাতারাতি আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যায়। সমাজের সর্বস্তরের তৃণমূল মানুষের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন যাতে বজায় থাকে আমরা সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ করে যাচ্ছি।
ক্যাসিনো, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদকসহ নানা অনৈতিক ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে খোদ প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ জানিয়েছেন। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পরই আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতার জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযানে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের পর দল থেকেও তাদের বহিষ্কার করা হয়। এরমধ্যে যুবলীগ নেতারাও রয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় যুবলীগের ৭ম কাউন্সিল নিয়ে ডাকা বৈঠকে বেশকয়েকজন নেতার গণভবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। রোববার সেই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী এসব কথা জানালেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন