র্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানাধীন মিয়াপাড়া গ্রাম এলাকায় কিছু ব্যক্তি বিকাশ প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের নিকট হতে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্প গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গভীর অনুসন্ধান করে। ঘটনা সত্যতা সম্পর্কে তথ্য প্রাপ্তির পর র্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল ২৪ অক্টোবর ২০১৯ইং তারিখ গভীর রাতে (২৫ অক্টোবর ২০১৯) ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানাধীন মিয়াপাড়া গ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারনা চক্রের ০১ জন সক্রিয় সদস্য, ১। মোঃ রুবেল মাতুব্বর(৩০), পিতা- মোঃ দেলোয়ার মাতুব্বর, সাং- মিয়া পাড়া, থানা-ভাংগা, জেলা- ফরিদপুরকে আটক করে। এ সময় আটককৃত প্রতারক চক্রের সদস্যের হেফাজত হতে বিকাশ প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত ০৭টি মোবাইল সেট, ৫২টি সীমকার্ড ও ১৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয় । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তি বিকাশ প্রতারনার মাধ্যমে জনসাধারনের নিকট হতে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে স্বীকার করে। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্য বিভিন্ন দুর্নীতি পরায়ণ মোবাইল সীম বিক্রেতার সাথে পরস্পর যোগসাজস করে ভূয়া নামে সীম কার্ড রেজিস্ট্রেশন ও উক্ত সীমকার্ড ব্যবহার করে অসাধু ডিএসআর(বিকাশ এ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগকৃত এ্যজেন্ট) গণের মাধ্যমে ভূয়া বিকাশ এ্যাকাউন্ট খোলে। প্রতারক চক্রের সদস্য দুর্নীতিপরায়ণ ডিএসআর গণের নিকট থেকে অর্থের বিনিময়ে বিকাশ এ্যজেন্টদের লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে ঐসব ভূয়া রেজিস্ট্রেশনকৃত মোবাইল সীমকার্ড ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ সরল সাধারণ জনগনের নিকট নিজেকে বিকাশ হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফোন করে কৌশলে তাদের বিকাশ পিন কোড জেনে নেয় এবং স্মার্ট ফোনে বিকাশ এ্যাপস্ ব্যবহার করে উক্ত সাধারণ লোকজনের বিকাশ এ্যাকাউন্ট হতে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়।
আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলমান আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন