চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম নগরীর ৫০টি পয়েন্টে আরও ২০০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধের পর দ্রæত অপরাধীদের শনাক্ত করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এর আগের প্রথম দফায় ২৫টি স্পটে ১৩০টি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। বিলবোর্ড উচ্ছেদের সময় বেশিরভাগ ক্যামেরা নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে মাত্র ২০টির মতো ক্যামেরা সচল রয়েছে।
এক বছর আগে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে গোটা মহানগরীকে সিসিটিভির আওতায় আনা হয়। পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার উদ্যোগেও কয়েকটি সিসিটিভি বসানো হয়। এর সুফলও পাওয়া যায়, চাঞ্চল্যকর কয়েকটি ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দ্রæততম সময়ে অপরাধীদের শনাক্ত করা হয়। তবে বিলবোর্ড উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও পয়েন্টের অনেক ক্যামেরা নষ্ট হয়ে যায়।
ক্যামেরা বসানোর দায়িত্বে নিয়োজিত একটি সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, বেশিরভাগ ক্যামেরা বিলবোর্ডের সাথে বসানো হয়েছিল। বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হলে এসব ক্যামেরাও উচ্ছেদ হয়ে যায়। ফলে অনেক এলাকা সিসিটিভির আওতার বাইরে চলে গেছে। অনেক ক্যামেরা নষ্ট হয়ে গেছে। গত ৫ জুন নগরীর জিইসি মোড়ে খুন হন পুলিশ সুপারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।
সড়কের আশপাশ থেকে বেশ কয়েকটি ক্যামেরা জব্দ করা হলেও ফুটেজ ছিল অস্পষ্ট। আর এ কারণে অপরাধীদের শনাক্ত করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে। এ প্রেক্ষাপটে মহানগরীতে নতুন করে সিসিটিভি বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। সিএমপির কমিশনার মোঃ ইকবাল বাহার বলেন, আগে লাগানো বেশিরভাগ ক্যামেরা নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে নতুন করে অন্তত ৫০টি স্পটে ২০০ সিসিটিভি বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও পয়েন্টে বসানো হবে। পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার পক্ষ থেকেও সিসিটিভি বসানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন