ইনকিলাব ডেস্ক : সপ্তাহব্যাপী পুলিশের জঙ্গিবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি।
চট্টগ্রামে বিক্ষোভ
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির আলোকে গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশ দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে নগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, আবুল হাশেম বক্কর। বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা এম এ আজিজ, সাইফুল আলম, হারুন জামান, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, শাহ্ আলম, ইস্কান্দার মির্জা, আনোয়ার হোসেন লিপু, ফাতেমা বাদশা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মনোয়ারা বেগম মনি, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, ইকবাল চৌধুরী, শাহেদ বক্স, বাবু টিংকু দাশ, কামরুল ইসলাম, গাজী সিরাজ উল্লাহ, সামশুল আলম, হাজী নবাব খান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিএনপি সরকার আমলে শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাইদের ফাঁসি দিয়ে জঙ্গি নির্মূল করেছিল। কিন্তু এই অবৈধ সরকার দেশের জঙ্গি দমনে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। জঙ্গি দমনের নামে দেশব্যাপী ১৪ হাজারের অধিক বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ নিরীহ লোকদের গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার, নির্যাতন নিপীড়নের মাধ্যমে দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। মহামান্য হাই কোর্টের আদেশ অনুসারে ৫৪ ধারায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে সুনিদিষ্ট অভিযোগ থাকতে হবে। কিন্তু সে আদেশ অমান্য করে হাজার হাজার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে এই পবিত্র মাহে রমজানে গ্রেপ্তার করেছে। যেটা কোনো একটি গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রের জন্য কাম্য নয়।
খুলনা জেলা বিএনপির বিক্ষোভ
খুলনা ব্যুরো জানায়, সরকারের বিরুদ্ধে দেশে পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয়দানের অভিযোগ এনে খুলনা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, পুরোহিত, ধর্মযাজক, ইমাম, শিক্ষক, বøগার, এমনকি পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করে জঙ্গিবাদ দমনের নামে বিএনপির নেতাকর্মীসহ ১৩ হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে পুলিশের দাবি অনুযায়ী জঙ্গি মাত্র ১৯৪ জন। বাকিদেরকে গ্রেফতারের মাধ্যমে বিরোধী দলকে চরমভাবে দমন ও সেই সাথে অনির্বাচিত অবৈধ সরকারের মসনদ রক্ষার হাতিয়ার পুলিশ বাহিনীকে ঈদ বাণিজ্য করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিএনপি নেতারা বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে না পারলে দেশটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
গতকাল শনিবার সকালে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপি অফিসের সামনে জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. গাজী আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. এস এম শফিকুল আলম মনা। বক্তব্য রাখেন আমির এজাজ খান, মনিরুজ্জামান মন্টু, খান আলী মুনসুর, এস এ রহমান বাবুল, শেখ আব্দুর রশীদ, আবু হোসেন বাবু, জি এম কামরুজ্জামান টুকু, মেজবাউল আলম, আশরাফুল আলম নান্নু, হাসনাত রিজভী মার্শাল, খন্দকার ফারুক হোসেন, কবীর মোল্লা, এস.কে আনিসুর রহমান, বিকাশ মিত্র, ইলিয়াস মল্লিক, আলী আসগার, শামীম কবীর, এ্যাড. কে.এম শহিদুল আলম, মাওলানা ফারুক হোসাইন, আতাউর রহমান রনু, আজিজুল ইসলাম, জালাল মোল্লা, কাজী হাবিবুর রহমান রিটু, খান ইসমাইল হোসেন, গাজী আব্দুল হালিম প্রমুখ।
নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিস জানায়, জঙ্গি দমনের নামে বিএনপির নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতারা। শনিবার দুপুরে নগরীর হরিকিশোর রায় রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নগর বিএনপি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে দলের নেতারা এমন অভিযোগ করেন।
নগর বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এ.কে.এম মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুব, বিএনপি নেতা রতন আকন্দ, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা লিটন আকন্দ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন