‘দেশে প্রতিদিনই নানা জায়গায় নানা দুর্ঘটনায় জরুরি রক্তের প্রয়োজন হয়। সময়মত রক্তের অভাবে অনেক মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। কাজেই খুব দ্রুতই দেশে একটি অত্যাধুনিক ও উন্নতমানের ব্লাডব্যাংক সেন্টার স্থাপন করা হবে।’ -স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেছেন।
শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরোনোত্তর চক্ষুদান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ও সন্ধানী পরিষদের সহোযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘রক্তের কোন জাত নাই, দৃষ্টিতে মৃত্যু নাই’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাবিবে মিল্লাত এমপি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কণক কান্তি বড়ুয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি মরণোত্তর চক্ষুদানের গুরুত্ব তুলে ধরে আরও বলেন, ‘বিশ্বে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ২৯ কোটি। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে অন্ধ মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। এদের মধ্যে শুধু কর্ণিয়াজনিত অন্ধত্ববরণ করছেন প্রায় ৫ লাখ মানুষ। প্রতি বছর দেশের ৪০ হাজার মানুষ অন্ধ হচ্ছেন। একজন মানুষের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর মধ্যে চোখ সবচেয়ে বেশি জরুরি একটি সম্পদ। মানুষ যখন মারা যায় তখন চোখের মত এত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ যাতে নষ্ট না হয়, আরেকজন মানুষের দৃষ্টি ফিরে পায় এ কারণে সবাইকে মরণোত্তর চক্ষুদানে এগিয়ে আসতে হবে। বাসস
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন