বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

যুবসমাজের অধঃপতন শুধু উদ্বেগের নয় ভয়েরও কারণ

আফতাব চৌধুরী | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

নিজেদের প্রাণ উৎসগ করে এ দেশের হাজার হাজার যুবক-যুবতী স্বাধীনতা যুদ্ধে যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা ভুলার মত নয়। তাদের সে অবদান আজকের যুবসমাজের কাছে অনেকটা অবাস্তব বলে মনে হতে পারে, কিন্তু যারা স্বাধীনতা সংগ্রাম করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন তাদের একটি চিত্র তুলে ধরলে দেখা যাবে, শহীদদের অর্ধেকেরও বেশি ছিল তরুণ। তারা দেশকে পরাধীনতার বন্ধন মুক্ত করার জন্য সহ্য করেছেন বহু দুঃখ-কষ্ট। অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে বুক চেতিয়ে একক প্রচেষ্টায়ও লড়াই করেছেন। কিন্তু কখনও উদ্দেশ্য থেকে সরে দাঁড়াননি। তাদের প্রেরণাদাতা অবশ্য বড়রাই ছিলেন। পরাধীন দেশে যুবসমাজ দুদন্ড প্রতাপ দেখিয়ে যে স্বাধীনতার আলো জ্বেলে গিয়েছিলেন, আজ স্বাধীন দেশে সে আলো নিভু নিভু বললে ভুল হবে না। এক সময় যুবসমাজকে দেশের কান্ডারী হওয়ার জন্য বর্ষীয়ান নেতারা আহবান জানিয়েছিলেন। স্বাধীনতা রক্ষার মহান দায়িত্ব অতন্দ্র প্রহরীর মত পালন করতেও বলেছিলেন। কিন্তু কে জানত, স্বাধীনতার ৫০ বছরের মধ্যে যুবসমাজ অতলে তলিয়ে যাবে! তাদের সার্বিক অধঃপতন আজ শুধু উদ্বেগের নয়, ভয়েরও কারণ।

যুবসমাজের অবস্থা আজ পালহীন নৌকার মত হল কেন? এ নিয়ে পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। যুবসমাজের অধঃপতনের পর্যালোচনা করতে গিয়ে প্রথমেই একটা কথা বলে রাখা ভাল, দেশের সব যুবক-যুবতীই যে অতলে তলিয়ে যাচ্ছে এমন নয়, তবে সে পথ ধরে চলার সংখ্যাই বেশি। তাই যুবসমাজের মধ্যে চরম অধঃপতন ঘটছে বলে ধরে নিতে হবে। স্বাধীনতার পর বৈচিত্র্যে ভরা এ দেশ একটি শক্তিশালী, সুস্থ সংস্কৃতিসম্পন্ন দেশ হিসাবে গড়ে উঠবে বলেই ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি। পশ্চিমা ও আকাশ সংস্কৃতির প্রতি দেশের যুবসমাজ আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে। ওদের সবকিছুই তারা অন্ধভাবে অনুকরণ করছে, যা আমাদের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমদানী করতে অবশ্য ঠিকাদারের ভূমিকা নিয়েছে বিভিন্ন মিডিয়া, যার মধ্যে প্রধান রয়েছে চলচ্চিত্র, দূরদর্শন ও ক্যাবল চ্যানেল। দেশে এসব প্রচার মাধ্যমের দাপট বেশি। যুবক-যুবতীর পক্ষে ভালমন্দ বিচার বিবেচনা করাটা কঠিন ব্যাপার। তারা যা চোখের সামনে দেখে সেটাকেই ঠিক বলে ধরে নিচ্ছে। এদিকে বিত্তবান ও উচ্চ শিক্ষিত পরিবারের যুবক-যুবতীরা নিজেদের লাইফ স্টাইল অন্যদের থেকে আলাদা দেখাতে গিয়ে বিদেশী সংস্কৃতিকে আকড়ে ধরছে। নিজেদের অত্যাধুনিক ভাবলেও আসলে এটা তাদের অজ্ঞতা। সাধারণ অর্থে শিক্ষিত হলেও যারা সত্যিকার অর্থে শিক্ষিত নয়, তারাই এভাবে নিজেদের ও দেশের সর্বনাশ ডেকে আনছে।
দেশের যুবসমাজ শিল্প-সংস্কৃতি, খেলাধুলা ও পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকারই কথা। কিন্তু চিত্র সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। আমাদের রাজনীতিতে ক্ষমতা দখলের লড়াই এবং দুর্বৃত্তায়ন প্রবেশ করার পর থেকেই, বলা যায়, যুবসমাজের উপর খাড়া নেমে এসেছে। শাসন ববস্থায় এক শ্রেণির রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি আমলার আচরণ যুবসমাজের মধ্যে হতাশার জন্ম নিয়েছে। নিজেদের স্বার্থে তথাকথিত রাজনৈতিক নেতারা যুবক-যুবতীদের ব্যবহার করে চলেছেন। সেসব নেতার কথাও কাজে আকাশ পাতাল তফাৎ দেখা দেওয়ায় প্রতারিত হচ্ছে যুবক-যুবতীরা। দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। সরকার এদের কর্মসংস্থানে ব্যর্থ। যুবসমাজের জন্য সুসংহত কোনো নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে না। খেলাধুলা, শিল্প-সংস্কৃতি, পড়াশোনার ক্ষেত্রে সরকারের সুনজর বাড়াতে হবে। মুখে অনেক কিছু বলা হলেও কার্যক্ষেত্রে প্রতিফলন খুবই সামান্য। এর মধ্যে দেখা যাচ্ছে, এক শ্রেণির প্রার্থী যোগ্যতা না থাকা সত্তে¡ও অর্থ ও প্রভাবের বিনিময়ে চাকরি পাচ্ছে, নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। যোগ্যরা হচ্ছে বঞ্চিত। এছাড়া দেশের সব অঞ্চলের প্রতি সরকার সমদৃষ্টি দিচ্ছে না। বঞ্চিত, অবহেলিত হচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চলের যুবক-যুবতীরা। সরকারের এ অসম আচরণ যুবসমাজের মধ্যে শুধু হতাশারই জন্ম দেয়নি, জন্ম দিয়েছে হিংসারও। বিভিন্ন এলাকা ও রাজনীতির নামে যুবসমাজের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের কেউ কেউ বাধ্য হয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছে, যা দেশের ভবিষ্যতের জন্য মোটেও মঙ্গলজনক নয়। বর্তমান যুবসমাজের উন্মাদনার নেতিবাচক দিকটা তুলে ধরলে দেখা যাবে, তা সত্যিই ভয়ঙ্কর। এটা একটা স্বাধীন দেশের জন্য মোটেই কাম্য নয়।
যুবসমাজকে বিপথে পরিচালিত করার জন্য আকাশ সংস্কৃতির রগরগে ছবি, পর্নোগ্রাফি, দেশের শাসন ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, সমাজ ব্যবস্থা যতটুকু দায়ী, ততটুকুই দায়ী যুবক-যুবতীদের অভিভাবকগণ। গোটা দেশের কথা বাদ দিয়ে যদি বিভিন্ন শহরের বর্তমান যুবসমাজের উন্মাদনার দিকগুলো তুলে ধরা যায়, তাহলে দেখা যাবে, চিত্রটা আমাদের ভাবিয়ে তোলার পক্ষে যথেষ্ট। মাতৃভাষা রক্ষার জন্য যে যুবক-যুবতী প্রাণ দিয়েছিল, সে যুবসমাজ আজ এতটা উচ্ছৃঙ্খল হয়ে উঠবে তা ভাবতেও অবাক হতে হয়। ভাষা আন্দোলনের পিছনে যুবসমাজের অবদানের কথা বর্তমান প্রজন্মের যুবসমাজ জানে না। সেটা লজ্জার ব্যাপার ছাড়া আর কিছুই নয়। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ডাকে যেমনি গোটা দেশের যুবসমাজ বিভেদ ভুলে এক ছাতার নিচে এসেছিল, তেমনি ভাষা আন্দোলনও যুবসমাজকে এক ছাতার নিচে নিয়ে এসেছিল। পরিতাপের বিষয় যে, ভাষা আন্দোলনের পর যুবসমাজ আন্দোলনের ব্যাপারটি ভুলে গেছে। এখানে হাজারো সমস্যা থাকা সত্তে¡ও সবাই নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। ঢালাও ইলেকট্রনিক্স প্রচার মাধ্যম এ কাজকে আরো সহজ করে দিয়েছে। সাধারণত খেলাধুলা, শিল্প-সংস্কৃতিতে যুবসমাজ অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে থাকে। যদি বলা হয় যে, আমাদের যুবসমাজ শিল্প-সংস্কৃতি নিয়ে ব্যস্ত থাকছে না, তাহলে ভুল বলা হবে। যুবসমাজ অবশ্যই শিল্প-সংস্কৃতি নিয়ে ব্যস্ত থাকছে, তবে সেটা সুস্থ নয়। অসুস্থ সংস্কৃতির ছাপ থাকা সত্তে¡ও যুবসমাজ বেশি করে আগ্রহ দেখাচ্ছে আমদানীকৃত সংষ্কৃতির দিকে। এটাকে তাদের অনেকে সঠিক সংস্কৃতি বলেই ধরে নিচ্ছে এবং সুস্থ মার্জিত সংস্কৃতিকে ইচ্ছা করে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত আনন্দ করতে গিয়ে সীমানা যে অতিক্রম করা হচ্ছে সেদিকে খেয়াল করার কথা তাদের মগজে আসছে না। ধূমপান, মদ্যপান, নীলছবি, চটুলগান, পর্নোগ্রাফি আজকের যুবসমাজের উপভোগের প্রধান বিষয় হয়ে উঠছে।
লক্ষ্যণীয় যে, বিভিন্ন শহরের সিনেমা হলগুলোতে অ্যাডাল্ড ছবি চললে দর্শকের অভাব হয় না। এসব ছবি যারা দেখে তাদের বেশিরভাগ যুবক। পর্ণো বই কিনে লুকিয়ে লুকিয়ে কিংবা প্রকাশ্যে পড়ার মত যুবক-যুবতী পাঠকের অভাব নেই। চটুল গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠানের অস্বাভবিকভাবে অশালীন পোশাক গায়ে দিয়ে কোমর দুলিয়ে নেচে বেড়ানো স্বাভাবিক চেহারা নিচ্ছে। যে যুবসমাজকে দেশের স্বাধীনতার প্রায় ৪৯ বছর পর বহুদূর এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল সে যুবসমাজ আজ রগরগে ছবি দেখার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। এটা একটা স্বাধীন দেশের দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কি হতে পারে? আরও লক্ষণীয় বিষয় হল, সরকার এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে থাকলেও তা এক শ্রেণীর কর্মকর্তা ও পুঁজিবাদীদের জন্য সম্ভব হচ্ছে না। বিদেশী অপসংস্কৃতি আমদানী, ক্যাবল চ্যানেলের ব্যাপক প্রসার, প্রকাশ্যে নীল ছবি প্রদর্শন, পর্ন বই বিক্রি বন্ধ করতে সরকারকে কঠোর হতে হবে। যুবসমাজের উন্নয়নে সরকার প্রচুর টাকা বরাদ্দ করলেও তা চেটে চুষে খাচ্ছে সরকারী আমলা এবং একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতা।
১৬ কোটি মানুষের এই দেশে খেলাধুলার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশ থেকে অনেক পিছিয়ে। বিশ্বের মানচিত্রে ছোট ছোট দেশ যেখানে খেলাধুলায় যাদু দেখাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আসরে সুযোগই পাচ্ছে না। সুযোগ পেয়েও নৈরাজ্যজনক ফল করে ফিরে আসছে। প্রশ্ন জাগে, এদেশের যুবসমাজ কি এতটাই অথর্ব হয়ে পড়েছে? খেলাধুলা কি কেউ জানেই না? নিশ্চয়ই জানে, কিন্তু গুরুত্ব নেই। এর জন্য নিজেরা যতটুকু দায়ী ততটুকুই দায়ী সরকার। সরকার খেলাধুলার মনোন্নয়নে বাস্তবসম্মত ও সুষ্ঠু কোনো নীতি গ্রহণ করছে না । এছড়া দেওয়া হচ্ছে না ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার উপর গুরুত্ব। এ জন্য ভাল খেলোয়াড়ও তৈরী হচ্ছেনা। এর চেয়ে যুবসমাজ সিনেমা দেখা, গান শোনা, পর্ণোগ্রাফি পড়া, স্কুল-কলেজের সামনে রাস্তার মোড়ে কিংবা হোটেল-রোঁস্তোরায় বসে আড্ডা দেওয়াসহ ইভটিজিং বেশি পছন্দ করছে। বলা যায়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আদর্শহীন যুবক-যুবতীরা নিজেদের মত করে চলতে গিয়েই অবক্ষয় ডেকে নিয়ে আসছে। এ জন্য অভিভাবকরাও কম দায়ী নন। অভিভাবদের আস্কারা এবং অনুসরণ করে যুবক-যুবতীর একটি অংশ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়তে সাহস পাচ্ছে। যে সব যুবক-যুবতী এক সময় উচ্ছৃঙ্খলতায় ব্যস্ত থাকতো, দেখা যায়, তাদের সন্তানরাই এখন অপকর্মে লিপ্ত। আর আজ যারা অপকর্মে লিপ্ত তাদের সন্তানরাই যে ভবিষ্যতে এর চেয়ে ভয়ানক কিছু হবে সেটাই স্বাভাবিক। অভিভাবকরা সন্তানদের যথার্থ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে ব্যর্থ হলে, স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা বিরাট ভূমিকা পালন করতে পারেন। কিন্তু সে রাস্তা আজ প্রায় বন্ধ। সমাজের মেরুদন্ড হিসাবে বর্ণিত শিক্ষকরা শিক্ষাদান করবেন, জ্ঞানের আলো জ্বালাবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আজ তারা কি যথার্থভাবে সে কাজ করতে সক্ষম হচ্ছেন? উত্তরে আসবে, না। কারণ শিক্ষকদের একটি অংশও নানা কারণে নৈতিক দায়িত্ব থেকে কিছুটা সরে এসেছেন। বর্তমান নিয়োগ পদ্ধতিতে অনেক অযোগ্য লোক যেখানে শিক্ষক হয়ে যাচ্ছেন, সেখানে শিক্ষা ব্যবস্থা ও ছাত্র সমাজের অধঃপতন খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। বলা বাহুল্য, ছাত্ররা এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্কুল-কলেজে মারদাঙ্গা পরিস্থিতি সৃষ্টি, শিক্ষকদের অশ্রদ্ধা, সাথীদের সঙ্গে দুষ্কর্ম করতে সাহস পাচ্ছে। মাত্র ক’দিন আগে দেশের বৃহৎ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বুয়েটের যে হত্যাকান্ড ঘটালো ছাত্রনামধারী কিছু যুবক, তা দেখে তাদের অনুজেরা কী ভাবছে? নিষ্ঠুর-নির্মম-মর্মান্তিক এ ঘটনায় বিশ্বের দরবারে আমাদের ছোট করা হয়েছে, যা বলাই বাহুল্য। তাদের কর্মকান্ডে শুধু দেশে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এমনকি জাতিসংঘ থেকে পর্যন্ত সোচ্চার প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে। আমাদের অবশ্যই শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তা করা না হলে নামীদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী পড়া-লেখা শেষ করে বেরিয়ে আসবে তারা আগামী প্রজন্মকে কী শিখাবে বা তাদের কর্মকান্ড দেখে তাদের মনোভাব অগ্রজদের প্রতি কি হবে তা বলা মুশকিল। এখনও সময় আছে আমাদের চিন্তা-ভাবনা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মজলুম জনতা ৩ নভেম্বর, ২০১৯, ৭:২৩ এএম says : 0
নৈতিকতা বির্বজিত অপসাংস্ক্রিতি গোটা তরুন সমাজকে ধংস করে দিতে পারে। অশ্লিল বাহায়াপনা কুরুচিপুর্ন নোংড়া চিত্র আমাদের গোটা তরুন সমাজকে বিপদগামী করে ফেলেছে।এখনই সময় রোধ করা।।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন