ভারত বাংলাদেশে পেয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ার পর থেকে পুরোনো এলসির বিপরীতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে , তাও আবার খুবই কম। গত এক মাসে (অক্টোবর) বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২৩ ট্রাকে মাত্র ৫৬০ মে. টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। একই সময় গত অর্থ বছরে এক দিনে ৯০ ট্রাকে প্রায় ২০০০ মে.টন পেয়াজ এ বন্দর দিয়ে খালাশের রেকর্ড রয়েছে বলে জানান বন্দর কর্মকর্তা আবু সায়েম। যা প্রতিটন রফতানি মূল্যে ৮৫০ মার্কিন ডলার। কিন্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পেয়াজের পাইকারী মূল্য ৫৫ রুপী প্রতি কেজি হিসেবে বিক্র হচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশে পেয়াজ’র খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেনাপোল আমদানি রফতানি কারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকেই পুরনো এলসিগুলোর বিপরীতে পেঁয়াজ নিয়ে আমরা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের গত মঙ্গলবার ভারতের দিল্লিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় কিন্তু তা ফলপ্রসু হয়নি।
অপরদিকে বেনাপোল স্থল বন্দরের বিপরীতের ভারতে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে আটকে পড়া পেঁয়াজ মাঝে মধ্যে আসছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পরপরই বেনাপেল স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আসা বন্ধ হয়ে যায়।
তবে কিছু আড়ৎদার অধিক মুনাফা লাভের আশায় তারা বিভিন্ন স্থানে পেয়াজ মজুদ করে বাজারে চড়া দামে বিক্রি করছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক আ. জলিল জানান, ভারতের অভ্যান্তরীণ বাজারে পেয়াজের সঙ্কট ও দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এদিকে বেনাপোলের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে সার্ভার আকেজো থাকায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে সব ধরনের পণ্য আমদানি রফতানি বন্ধ রয়েছে। ফলে অধিকাংশ আমদানিকারকরা পেঁয়াজ উচ্চ পচনশীল পণ্য বিধায় বেনাপোল বন্দর থেকে ঘুরিয়ে অন্যান্য বন্দরে চলে গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন