শ্রমবাজারে ধস নেমেছে। প্রতিদিনই বিদেশ থেকে ফেরত আসছে প্রবাসী শ্রমিকরা। সরকারসহ সংশ্লিষ্টরা এখনও করণীয় নির্ধারণ করতে পারেনি। সউদী আরবে বাংলাদেশি গৃহপরিচারিকা নিয়োগে ব্যাপক ধস দেখা দিয়েছে। উভয় দেশে দালালদের (ব্রোকার) অধিক লাভ করার প্রবণতা, শ্রমিকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও পেশাদারিত্বের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে দেশটিতে বাংলাদেশিদের গৃহপরিচারিকা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার হার কমেছে ৩০ শতাংশ। স্থানীয় একটি দৈনিককে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে সউদী গেজেট। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, সউদী আরবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের একটি বড় অংশ গৃহপরিচারিকা হিসেবে চাকরি করে। কম বেতন ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কম খরচ হওয়ার কারণে অনেক সউদী পরিবার গৃহপরিচারিকা হিসেবে বাংলাদেশিদের অধিক পছন্দ করে। বর্তমানে বাংলাদেশি গৃহপরিচারিকাদের সাধারণত ৮০০ থেকে ১২০০ সউদী রিয়াল বেতন দেওয়া হয়।
দেশটির বেশ কয়েকটি নিয়োগ অফিসের মালিকরা মনে করেন, সউদী আরবে পাঠানোর আগে বাংলাদেশি গৃহপরিচারিকাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় না। বাংলাদেশের নিয়োগ অফিসগুলোও এদিকে নজর দেয় না। সৌদি আরবে বাংলাদেশ থেকে গৃহপরিচারিকা নেয়ার প্রক্রিয়া খুবই অগোছালো। পাশাপাশি বাংলাদেশের নিয়োগ অফিসগুলো সউদী আরবের সঙ্গে বোঝাপড়া নিজেরা না করে সেজন্য দালাল নিয়োগ করতে বেশি আগ্রহী।
শুধু সউদী আরব নয় মালয়েশিয়া থেকে প্রায় ৫০ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি কর্মীকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ট্রাভেল পাস নিয়ে দেশে ফিরতে হবে। মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষিত সাধারণ ক্ষমা ‘ব্যাক ফর গুড’ (বিফোরজি) কর্মস‚চির আওতায় এসব অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফিরতে হচ্ছে। কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ার বিভিন্ন খাতে কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর রেমিট্যান্স আয় করছে। যারা সাগরপথে দালাল চক্রের মাধ্যমে দেশটিতে প্রবেশ করেছিল, ২০১৬ সনের রি-হায়ারিং কর্মসূচিতে বৈধতা লাভের সুযোগ না পাওয়ায় এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যারা অবৈধ হয়েছে এমন কর্মীরাই এ সুযোগ পাবে। উল্লেখিত কর্মস‚চির আওতায় গত ১ আগস্ট থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ফিরেছে ১১ হাজার ৫৪৮ বাংলাদেশি। এর মধ্যে ১০ হাজার ১৩৯ পুরুষ এবং ১ হাজার ৪০৯ নারী।
বাংলাদেশি কর্মীরা সউদী আরব ও বাংলাদেশের আদম ব্যবসায়ীদের ‘টাকা বানানোর মেশিনে’ পরিণত হয়েছে, গত কয়েকদিনের জাতীয় শীর্ষ দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদনের এমন ভাষ্যে অত্যুক্তি থাকতে পারে না। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখছি, বাংলাদেশি জনশক্তির এই বৃহত্তম বাজার থেকে বলতে গেলে দলে দলে প্রবাসী শ্রমিক ফেরত আসছে। বাংলাদেশি জনশক্তির বিদেশযাত্রা যেমন, ফিরে আসাও তেমন অস্বাভাবিক হতে পারে না। কিন্তু চলতি বছরেই যখন ফেরত আসা শ্রমিকের সংখ্যা ১৮ হাজার পেরিয়ে গেছে, তখন বোঝা যায় পরিস্থিতি কতটা গুরুতর। তাদের অনেকের কাছে ‘আকামা’ বা কাজের অনুমতিপত্র থাকলেও মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ফেরত পাঠানো হচ্ছে কেন, এই প্রশ্নের অনুসন্ধান চালিয়েছেন কি সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশের এক জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সূত্রে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের শ্রমিকদের সউদী আরবে এমন পরিস্থিতির নেপথ্যে রয়েছে দুই দেশের আদম ব্যবসায়ীদের কারসাজি। সেখানে যাওয়ার কয়েক মাসের মাথায় ঠুনকো অজুহাতে তারা বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মস্থল থেকে তাড়িয়ে দেয়। ইচ্ছাকৃত নির্যাতনও চালানো হয় অনেক সময়, যাতে করে তারা কাজ ছেড়ে দেয়। ফলে অনেককে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ফিরতে হয়। আর যারা কর্মস্থল থেকে গা ঢাকা দেয়, তারা হয়ে পড়ে ‘অবৈধ’। সেই শূন্য স্থানে নতুন শ্রমিক পাঠালে যেমন বাংলাদেশে, তেমনই সউদী আরবে দালাল চক্রের লাভ।
আমরা জানি, এমনিতেই জনশক্তি হিসেবে সউদী আরব যেতে ‘অনানুষ্ঠানিক’ ব্যয় অনেক বেশি। টিআইবির অনুসন্ধানে আমরা দেখেছিলাম, সউদী আরব থেকে ফিলিপাইনের কর্মীরা যেখানে বিনা খরচে ‘ওয়ার্ক পারমিট’ বা কাজের অনুমতি পায়, সেখানে বাংলাদেশি কর্মীদের মাথাপিছু খরচ হয় দুই থেকে তিন লাখ টাকা। তারপরও এই পরিস্থিতি কেবল অনাকাক্সিক্ষত নয়, অমানবিকও বটে। আমরা মনে করি, এই পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না। মনে রাখতে হবে, এভাবে দলে দলে শ্রমিক মেয়াদপূর্তির আগেই ফিরে আসতে থাকলে নেতিবাচক প্রভাব কেবল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে পড়বে না; সামাজিক ক্ষেত্রেও দেখা দেবে অস্থিরতা।
ফেরত শ্রমিকদের অনেকেই শেষ সম্বলটুকু বাজি ধরে বিদেশে গেছে। অনেকে চাকরি বা ব্যবসা ছেড়ে বিদেশ পাড়ি জমিয়েছেন। তাদের পক্ষে নতুন করে জীবিকার অন্বেষণ সহজ হবে না। বড় কথা, একটি চক্র এভাবে শ্রমিকদের জিম্মি করে নিজেদের পকেট ভারী করে যাবে কেন? এটা ঠিক, সউদী আরবের দালাল চক্র নিয়ন্ত্রণে সে দেশের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে সময়ও প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ চাইলে বাংলাদেশের অসাধু জনশক্তি রপ্তানি এজেন্সি বা দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই পারে। আমরা সেটাই দেখতে চাই।
জনশক্তি রপ্তানিতে দুর্নীতি, অনিয়ম ও হয়রানি দূর করতে হলে এজেন্সিগুলোতে নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির তাগিদ আমরা প্রতিনিয়তই বলছি। তা নিশ্চিত করা গেলে পরিস্থিতির হয়তো এতটা অবনতি ঘটত না। বাংলাদেশি জনশক্তির নিরাপত্তা, অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে আর বিলম্বের অবকাশ নেই। ব্যবস্থা নিতে হবে এখনই। ভুলে যাওয়া চলবে না, ওরা নিছক টাকা কামানোর মেশিন নয়, বরং মানুষ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানে গিয়ে, বিশেষ করে সউদী আরবে বাংলাদেশি শ্রমিকরা নির্যাতিত, প্রতারিত হওয়াসহ নানান সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। বিভিন্ন সময় ফেরত আসা শ্রমিকরা তাদের ওপর ঘটে যাওয়া নির্যাতন-বর্বরতার কাহিনীও তুলে ধরেছেন। গণমাধ্যমে উঠে এসেছে তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক নির্যাতনের চিত্র। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে চাকরি নিয়ে যাওয়া, পুরুষ, তরুণী, গৃহবধূদের ওপর নির্যাতনের লোমহর্ষক বিবরণ আমাদের খুব স্বাভাবিকভাবেই আলোড়িত করে। এ ঘটনাগুলোকে কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।
অস্বীকার করা যাবে না যে, দেশের জাতীয় রাজস্বের সিংহভাগেরই জোগান দেয় প্রবাসে কর্মরত শ্রমিকের পাঠানো অর্থ; অর্থাৎ রেমিট্যান্স। কিন্তু এসব শ্রমিক প্রবাসে কীভাবে দিনযাপন করে তার খোঁজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নেয় না, এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। প্রবাসে বাংলাদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তারা শ্রমিকদের ব্যাপারে সব সময় উদাসীন। গত আগস্ট মাসে বিবিসি তাদের সংবাদ প্রতিবেদনে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উদাসীনতা এবং এ বিষয়ে শ্রমিকদের অভিযোগ তুলে ধরে। প্রবাসে কর্মক্ষেত্রে বাংলাদেশি শ্রমিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার লক্ষ্যে সরকার নতুন একটি নীতিমালা তৈরি করেছে। নীতিমালায় বাংলাদেশিদের নিরাপদ অভিবাসন এবং অভিবাসী কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তার দিকগুলো সম্পর্কে অধিকতর সমন্বয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রশ্ন হলো, এরপরও কেন প্রবাস থেকে শ্রমিকরা নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হবে?
একসময় জনশক্তি রপ্তানি বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি বড় উপাদান ছিল। দেশের অর্থনীতির চাকা সক্রিয় ও সচল রাখতে এখনো উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রাখছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। একসময় মালয়েশিয়ায় ‘জি-টু-জি’ অর্থাৎ সরকারের সঙ্গে সরকারের বোঝাপড়ার ভিত্তিতে জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে। কিন্তু এর বাইরেও অনেকে অবৈধ পথে বিভিন্ন দেশে গিয়েছে। অনেকে বৈধ পথে বিদেশে গিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের পর অবৈধ হয়ে পড়েছে। প্রবাসে শ্রম বিক্রি করতে যাওয়া জনশক্তির একটি বড় অংশ অদক্ষ। আমরা দক্ষ জনশক্তি সেভাবে বিদেশে পাঠাতে পারিনি। আবার বিদেশের বাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি করতে পারিনি। ফলে আমাদের পাঠানো জনশক্তির একটি বড় অংশ যে অর্থ খরচ করে বিদেশে যায়, তাদের বিনিয়োগ তুলতেই চুক্তির সময় চলে যায়। বাধ্য হয়েই অনেকে বেছে নেয় অবৈধ পথ। আবার অসৎ ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে অনেকেই অবৈধ পথে পা বাড়িয়ে সেখানে গিয়ে ধরা পড়ে।
আমরা মনে করি, সউদী কর্তৃপক্ষ কেন এভাবে বৈধ শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে তা যথাযথ অনুসন্ধান করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। তথ্য অনুযায়ী, সউদী আরবে কর্মরত নির্মাণ শ্রমিকদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি। ফলে কেন তাদের ওপর সংশ্লিষ্টরা এমন নির্যাতন চালাচ্ছেন, তা খতিয়ে দেখে কার্যকর উদ্যোগ নিশ্চিত করতে হবে। বিদেশে চাকরি নিয়ে যাওয়া আমাদের নারী কর্মীদের যথার্থ মর্যাদা ও সম্মান নিশ্চিত করে নিরাপদে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। বিদেশি নিয়োগকর্তা যাতে কোনোভাবেই নারী কর্মীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তাদের জৈবিক লালসার শিকার না করতে পারে, কোনোভাবেই অমানবিক, অশালীন আচরণ করতে না পারে, প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা এবং উপযুক্ত পারিশ্রমিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিতে বাধ্য থাকে তেমন শর্ত পরিপালনে আমাদের সংশ্লিষ্ট দূতাবাসগুলোকে কার্যকর ভ‚মিকা পালন করতে হবে।
দশ সিন্ডিকেটের অনৈতিক কর্মকান্ডের দরুণ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি বন্ধ রয়েছে। ব্যাপক ক‚টনৈতিক তৎপরতার পর দেশটির শ্রমবাজার চালুর লক্ষ্যে আগামী ৬ নভেম্বর পুত্রাজায়ায় উভয় দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবার কথা রয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, শিগগিরই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হবে। অবৈধ বাংলাদেশি কর্মীদের দেশটিতে বৈধতা দেয়ার বিষয়টিও আসন্ন দিপাক্ষিক বৈঠকে উঠতে পারে। মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল দাজাইমি আবু দাউদ জানিয়েছেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মালয়েশিয়া থেকে সব অবৈধ অভিবাসীকে বিফোরজি পদ্ধতি অনুসরণ করে নিজ নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে। যারা ঐ তারিখের মধ্যে দেশে ফিরবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, দেশের নিরাপত্তা রক্ষার তাগিদে এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
অনেকেই মানবপাচারের শিকার হয়। গত কয়েক দিন যুক্তরাষ্ট্রে মানবপাচার বিষয়ে যে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তাতে যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা ভাবনার বিষয়। অন্যদিকে বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে সউদী আরব থেকে কর্মীদের ফিরে আসার খবরটি। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি ছিল বাংলাদেশের জনশক্তির সবচেয়ে বড় বাজার। ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রগ্রামের সূত্রে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছর এ পর্যন্ত ১৬ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিককে সউদী আরব থেকে ফেরত আসতে হয়েছে। ফেরত আসা শ্রমিকদের সূত্রে পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সেখানে প্রতিদিনই ধরপাকড় চলছে। গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে শ্রমিকদের মধ্যে। ক‚টনৈতিক সূত্র বলছে, সউদী কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে অবস্থানকারী বিদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর সউদী সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে একটি সমঝোতায় আসার চেষ্টা করতে পারে। বিশেষ করে কাজের অনুমতিপত্র বা আকামা থাকার পরও ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। একই সঙ্গে নতুন শ্রমবাজার খুঁজে বের করতে হবে। বিদেশের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি তৈরির বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। নতুন শ্রমবাজারে প্রবেশ করতে পারলে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
লেখক: শিক্ষক
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন