শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইসিটি এন্ড ক্যারিয়ার

মাইক্রোসফটে সপ্তাহে ৩ দিন ছুটি চালুর পর উৎপাদন বেড়েছে ৪০%

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৬ পিএম

সংবাদ শিরোনাম দেখেই নিশ্চয়ই সংবাদটি শেয়ার করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানোর ইচ্ছা জাগছে। বিষয়টি অবিশ্বাস্য শোনালেও কর্মীদের কাছ থেকে সেরা কাজটুকু বের করে আনতে নতুন এ উদ্যোগ নিয়েছে মাইক্রোসফট জাপান। সম্প্রতি সপ্তাহে চার কর্মদিবস, অর্থাৎ তিনদিন ছুটি চালু করেছিল তারা। আর ফলও মিলেছে হাতেনাতেই। প্রতিষ্ঠানের খরচ তো কমেছেই, সঙ্গে উৎপাদন বেড়ে গেছে প্রায় ৪০ শতাংশ।

তবে, এ কর্মসূচি বেশিদিন স্থায়ী ছিল না। মাত্র এক মাসের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছিল ‘ওয়ার্ক-লাইফ চয়েস চ্যালেঞ্জ সামার-২০১৯’।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, জাপানে এমনিতেই শনি ও রোববার সাপ্তাহিক ছুটি। গত আগস্টে মাইক্রোসফট জাপান নতুন কর্মসংস্কার প্রকল্পের অংশ হিসেবে তার ২৩শ’ কর্মীকে শুক্রবারও ছুটি দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

এর ফলাফল নিয়ে শুরুতে কিছুটা শঙ্কা ছিল। কিন্তু, বাস্তবে দেখা যায় অভূতপূর্ব সাফল্য। ওই মাসে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বেড়ে যায় ৩৯ দশমিক ৯ শতাংশ।

দেখা যায়, ওই সময় কর্মীদের অতিরিক্ত ছুটি নেওয়ার হার কমেছে ২৫ দশমিক ৪ শতাংশ। বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়েছে ২৩ দশমিক ১ শতাংশ, ফলে ব্যয়ও কমে গেছে প্রতিষ্ঠানের।

তবে, সময় কমে যাওয়ায় কর্মপরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে হয়েছিল তাদের। অনেক মিটিং বাতিল অথবা সংক্ষিপ্ত করা হয়। মুখোমুখির বদলে কিছু মিটিং অনলাইনে সারা হয়।

মাস শেষে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের ৯২ দশমিক ১ শতাংশ কর্মীই তিনদিন ছুটির বিষয়টি পছন্দ করেছে।

এবারের সাফল্যের কারণে মাইক্রোসফট জাপান সামনের বছরও এই কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা করছে।

যদিও, তাদের এই কার্যক্রমের সঙ্গে একমত নন অনেকেই। তাদের মতে, যেসব প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে সাতদিনই খোলা রাখতে হয়, তাদের ক্ষেত্রে তিনদিন ছুটি বাস্তবায়ন বেশ কঠিন। সবাইকে এই সুবিধা দিতে হলে সেখানে আরও বেশি কর্মী নিয়োগ দিতে হবে। মাইক্রোসফট সাধারণ ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। সুতরাং, এই পরিকল্পনা সবখানে খাটবে বলে মনে করেন না তারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন