শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

টেকনাফ উপকূলে ঝাউবাগান কেটে উজাড় করছে সরকার দলের দুর্বৃত্তরা

প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কক্সবাজার অফিস : উপকূলীয় জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষা এবং সৌন্ধর্য্য বৃদ্ধিতে টেকনাফের বাহাছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর থেকে জাহাজপুরা পর্যন্ত ১০০ হেক্টর সৈকতে সৃজিত তিনটি বাগানের প্রায় ৫ লাখ ঝাউগাছ কেটে উজাড় করছে সরকার দলের সমর্থক দুর্বৃত্তরা। সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়সারাভাব ও ক্ষমতাসীনদের আসকারায় এসব সবুজ অরণ্য ধ্বংস হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
টেকনাফ সমুদ্র সৈকতের তিন থেকে আড়াই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তিনটি ঝাউ বাগানের অর্ধ লক্ষাধিক বৃক্ষ নিধনের ঘটনায় দেখা গেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়সারাভাব। ‘শুধুমাত্র ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে’ এতে সীমাবদ্ধ রয়েছে বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্ম-কর্তাদের কাজ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বনকর্মীদের যোগসাজশে ঝাউগাছ কাটা চললেও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টির ব্যাপারে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেননি। একবার পরিদর্শন ছাড়া ঘটনাস্থলে যাননি কোনো কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার উপকূলীয় বন বিভাগের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) জি.এম মোহাম্মদ কবির জানান ‘ব্যাপকহারে ঝাউগাছ কাটার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার টেকনাফের শামলাপুর, শিলখালী ও জাহাজপুরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তিনি। ঝাউগাছ কাটার সাথে জড়িত অনেকের নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে। জড়িতদের আটক করতে পুলিশ ও বিজিবির সহযোগিতায় কয়েকটি স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। এতে কেটে নেয়া ৬টি গাছ উদ্ধার করা গেলেও জড়িতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।’
ঝাউগাছ নিধনের সাথে বনকর্মীরা জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি জানান ’বনবিভাগের জনবল সংকট থাকায় বিশাল উপকূলজুড়ে থাকা বাগানের ঝাউগাছ রক্ষা করা যাচ্ছে না। মাত্র ৩ জন বনপ্রহরীকে দিন-রাত বিশাল এই বাগান দেখাশুনা করতে হয়’। স্থানীয়দের কাছে বনপ্রহরীরা ‘মুন্সি’ নামে পরিচিত হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন ‘দৃষ্কৃতিকারীদের অনেকে বনপ্ররীর মিথ্যা পরিচয়ে অনৈতিক কাজ করছে। যার দুর্নামের ভাগিদার হচ্ছেন বনকর্মীরা। দুষ্কৃতিকারিরা অভিনব কৌশল অবলম্বন করায় বনকর্মীরা তাদের আটক করতে পারেন না। বনকর্মীদের এগিয়ে আসতে দেখলে দৃষ্কৃতকারীরা দা অথবা কুড়াল বালিতে লুকিয়ে জেলে সাজে। এতে দৃষ্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করতে অসুবিধায় পড়তে হয় বনকর্মীদের’।
ঝাউগাছ নিধনের সাথে জড়িতদের ব্যাপারে এখনো তথ্য সংগ্রহ করার কাজ চলছে উল্লেখ করে জি এম মোহাম্মদ কবির জানান, তদন্ত কাজ শেষ হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আলী কবির জানান, দূর্বৃত্ত কর্তৃক ঝাউগাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে সাথে সাথে টেকনাফের সহকারি বন সংরক্ষককে (এসিএফ) ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন