শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

অল্পের রক্ষা পেল ‘দ্রুতযান এক্সপ্রেস’

গ্রামবাসীর লাল পতাকা উত্তোলন

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) থেকে এমএ জলিল সরকার : | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেল পঞ্চগড়-ঢাকা রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রায় তিন শতাধিক যাত্রী। রেল লাইন দেবে ও ফীসপ্লেট ভেঙে যাওয়ায় পার্বতীপুর-পঞ্চগড় রুটে প্রায় ১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এসময় গ্রামবাসী লাল পতাকা উত্তোলন করে ট্রেন থামানোয় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেলেন ট্রেন যাত্রীরা। গতকাল শনিবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ট্রেনটি পার্বতীপুর-চিরিরবন্দর রেলপথের মধ্যবর্তী হোসেনপুর এলাকায় পৌঁছালে (৩৮৮/২ রেল পিলার) স্থানীয় লোকজন লাল কাপড় টাঙ্গিয়ে ট্রেনটিকে থামায়। পরে রেল লাইনের অংশটি মেরামত করে ৮টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি পুনরায় দিনাজপুর অভিমুখে ছেড়ে যায়।

পার্বতীপুর রেল স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ৭৫৭ নং আপ ট্রেনটি সকাল ৭টা ৫ মিনিটে পার্বতীপুর রেল স্টেশন থেকে দিনাজপুর অভিমুখে যাত্রা করে। ঘটনাস্থলের পাশর্^বর্তী হোসেন পুর গ্রামের আব্দুল মান্নান সকাল ৭টার দিকে রেল লাইনে ধরে মাঠে যাওয়ার সময় রেল লাইনের ভাঙা অংশটি তার চোখে পড়ে। এতে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে দ্রæত বাড়ী থেকে একটি লাল কাপড় সংগ্রহ করে স্থানীয় লোকজনকে সাথে নিয়ে কাপড়টি রেললাইনের উপর তুলে ধরেন।

কিছুক্ষনের মধ্যে পার্বতীপুর রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘটনাস্থলে এসে লাল কাপড় ও লোকজনের জটলা দেখে চালক ট্রেনটিকে থামিয়ে দেয়। রেল লাইনের কিছু অংশ ভেঙে পড়ার ঘটনা জানার পর চালক ও ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। পরে রেলের প্রকৌশল বিভাগের কর্মীরা এসে ক্ষতিগ্রস্ত রেল লাইন মেরামতের পর প্রায় ১ ঘণ্টা বিলম্বে ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এতে স্থানীয় গ্রামবাসীর সতর্কতায় রক্ষা পেল ট্রেনের যাত্রীরা।

দ্রæতযান এক্সপ্রেসের পরিচালক (গার্ড) আজিজার রহমান বলেন, পার্বতীপুর থেকে ট্রেনটি ছেড়ে আসার পর চিরিরবন্দর রেলস্টেশন পৌছানোর আগে হোসেনপুর এলাকায় স্থানীয় লোকজনের বুদ্ধিমত্তায় দুঘর্টনার কবল থেকে ট্রেনটি রক্ষা পায়। তিনি বলেন, এসি বার্থ, এসি চেয়ার, শোভন চেয়ারসহ ১১ কোচের ট্রেনটিতে তিন শতাধিক যাত্রী ভ্রমন করছিলেন। ওই ট্রেনের যাত্রী হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের বিএসসি অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র কবির হোসেন ও পার্বতীপুর সরকারী ডিগ্রী কলেজের ডিগ্রী শেষ বর্ষের ছাত্র সোহাগ আলী জানায়, চলন্ত গাড়ীটি হটাৎ থেমে যাওয়ায় যাত্রীরা আতংকে ছোটা ছুটি করতে থাকে। ট্রেনটিতে চালক হিসেবে ফখরুল হাসান ও সহকারী চালক হিসেবে ফরিদ হাসান ছিলেন। পার্বতীপুর রেল স্টেশনের সহকারী মাস্টার আব্দুল মতিন বলেন বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন