নুসরাত হত্যার দন্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামিকে ফেনী কারাগারে ফাঁসির মঞ্চ ও কনডেম সেল না থাকায় গতকাল মঙ্গলবার কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।
ফেনী জেলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ রফিকুল কাদের জানান, ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার মৃত্যুদ-াদেশপ্রাপ্ত ১৬ আসামির মধ্যে ১৪ জনকে কুমিল্লা ও দুইজন মহিলা আসামিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
তিনি আরো জানান, মৃত্যুদ-াদেশপ্রাপ্ত আসামি সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার সাবেক প্রিন্সিপাল সিরাজউদ দৌলার ১৩ নভেম্বর আদালতে নুসরাতকে যৌন হয়রানির মামলার দিন ধার্য আছে। এ জন্য আদালতের কার্যক্রম শেষে তাকে ওই দিনই কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হবে। আর বুধবার মহিলা আসামি কামরুন নাহার মনি ও উম্মে সুলতানা ওরফে পপিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হবে।
মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন প্রিন্সিপাল সিরাজউদ দৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আব্দুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আব্দুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদরাসার গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।
২৪ অক্টোবর আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার ১৬ আসামির সবাইকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকরের নির্দেশ দেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ। আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার প্রিন্সিপাল সিরাজউদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে প্রিন্সিপালের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত।
ফেনী জেলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ রফিকুল কাদের আরো বলেন, যে সকল আসামির দীর্ঘ মেয়াদি শাস্তি ও মৃত্যুদ- হয়, সে সকল আসামিদের জেলা কারাগারে না রেখে নিরাপত্তা জনিত কারণে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর জন্য কারা বিধিতে নির্দেশনা রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিদের পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কারাগারগুলোতে জনবল ও কনডেম সেলের সংখ্যা বেশি। তাদের পরিচালনার জন্য যা যা প্রয়োজন সব সেখানে রয়েছে। ফেনী জেলা কারাগারে ফাঁসির কোন মঞ্চ নেই, সেখানে সব রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন