স্বাধীনতার পর থেকে এযাবৎ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ১৫১ জন শিক্ষার্থী খুন হয়েছে বলে পত্রিকান্তরে প্রকাশ। যদিও প্রকৃত হিসাব এবং যখম পরবর্তী মৃত্যুর হিসাব ও পঙ্গুত্বের শিকার ছাত্রদের হিসাব জানা যায় না। নিহতদের মধ্যে রয়েছে ঢাবিতে ৭৪ জন, রাবিতে ২৯, চবিতে ১৯, বাকৃবিতে ১৯, জাবিতে ৭, ইবি ও বুয়েটে ২ জন করে, টাঙ্গাইল মাওলানা ভাসানী বিপ্রবি এবং সিলেট শাহজালাল বিপ্রবিতে ১ জন করে শিক্ষার্থী। বর্তমান সরকারের টানা গত ১০ বছরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ জন শিক্ষার্থী খুন হয়েছে। খুনীরা ক্ষমতাসীন দলের হওয়ায় কোনটারই বিচার হয়নি। আর বিচার হলেও কারো শাস্তি কার্যকর হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে ছাত্রলীগের নিজেদের কোন্দলে নিহত হয়েছে ৩৯ জন। আর এই সময়ে ছাত্রলীগের হাতে প্রাণ হারায় অন্য সংগঠনের ১৫ জন (প্রথম আলো, ৮ অক্টোবর ২০১৯)।
ঢাবি, জাবি, চবি, রাবি ও বুয়েটসহ দেশের প্রায় সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহে ‘পার্টি সেন্টার’ ও ‘টর্চার সেল’ নামে চিহ্নিত কক্ষ রয়েছে। রয়েছে ‘গণরুম’ ও ‘গেস্টরুম’ নামের অঘোষিত নির্যাতন কেন্দ্র। সেখানে বড়দের সাথে ছোটদের আচরণ ও প্রটোকল পদ্ধতিসহ শেখানো হয় মারামারির কৌশল। আবরার ফাহাদের হত্যার ঘটনায় আদালতে দেয়া যবানবন্দিতে আসামী ‘বুয়েট’ শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত তথ্য ও গবেষণা স¤পাদক অনীক সরকার বলেছে, সিনিয়র-জুনিয়র যে-ই হোক, আমরা তাদের এভাবে পিটাতাম। আমাদের মতের সঙ্গে না মিললে কাউকে পিটিয়ে বের করে দিতে পারলে ছাত্রলীগের হাই কমান্ড আমাদের প্রশংসা করত। সিস্টেমটাই আমাদের এমন নিষ্ঠুর বানিয়েছে’। ছাত্রী হলে নির্যাতনের মাত্রা কম হলেও গত সাত বছরে ঢাবি ক্যা¤পাস ও ছাত্রদের ১৩টি আবাসিক হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ৫৮টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছে। নির্যাতনের পর এদের কাউকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে, কাউকে তাড়িয়ে দিয়ে সিট দখল করা হয়েছে। আবার গ্রুপিং রাজনীতির আধিপত্য বিস্তারে সংগঠনের পদধারী নেতাকেও ‘ছাত্রদল’ বা ‘শিবির’ করার মিথ্যা অভিযোগে পিটিয়ে হল থেকে বের করে দেওয়ার নজির রয়েছে’। ‘গেস্টরুমে নবীন শিক্ষার্থীদের প্রথম এক মাস বড় ভাইদের সাথে আচরণ শেখানো ও পর¯পরের পরিচিতির জন্য ডাকা হয়। এসময় সালাম দেওয়া, প্রটোকল পদ্ধতি, সিনিয়র-জুনিয়রের চেইন অব কমান্ড বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কয়েক সপ্তাহ পর থেকে এসব নির্দেশনা অমান্য করলে শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস, পরীক্ষা বা অন্য কোনো কারণে কর্মসূচিতে যেতে না পারলে তাকে বড় ভাইদের থেকে ‘ছুটি’ নিতে হয়’ (ইনকিলাব, ১৬ অক্টোবর ২০১৯)। শুধু পিটুনী নয়, বরং বলাৎকার ও ধর্ষণের মতো নিকৃষ্টতম অভিজ্ঞতার সম্মুখীনও তাদের হতে হয়। যেমন ১৯৯৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের সেঞ্চুরি করে প্রকাশ্যে মিষ্টি বিতরণ করেছিল তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ছাত্র সংগঠনের সেক্রেটারি জসিম উদ্দীন মানিক।
পিছন দিকে তাকালে দেখা যায় যে, ১৯৭৪ সালের ৪ এপ্রিল গভীর রাতে ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীরা সাত জনকে মুহসিন হলের টিভি রুমের সামনে এনে ‘ব্রাশফায়ারে’ হত্যা করে। নিহত শিক্ষার্থীরা আওয়ামী যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মণির সমর্থক ছিল। প্রতিপক্ষ গ্রুপের উসকানিতে শফিউল আলম প্রধান (পঞ্চগড়) এ কাজ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। পরদিন বিচারের দাবিতে যে মিছিল হয়, তাতেও তিনি নেতৃত্ব দেন। তিন দিন পর প্রধান গ্রেফতার হন। বিচারে প্রধানের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়। পরে ১৯৭৮ সালে তিনি মুক্তি পান। এরপর ক্যা¤পাসে শুরু হয় ছাত্রদলের দাপট। গোলাম ফারূক অভিসহ অনেক মেধাবী ছাত্রই তখন সন্ত্রাসীতে পরিণত হয়। ১৯৯৬-এর নির্বাচনে বরিশাল-২ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালে ছাত্রদলের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিহত হয় ঢাবির মুহসিন হলের ছাত্র মাহবুবুল হক বাবলুসহ আরও অনেক শিক্ষার্থী। ১৯৯২ সালের ১৩ মার্চ ঢাবি ক্যা¤পাসে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের সময় সন্ত্রাসবিরোধী মিছিল করেছিল ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মঈন হোসাইন ওরফে রাজু (মেহেন্দীগঞ্জ, বরিশাল) ও তার বন্ধুরা। সেই মিছিলে সন্ত্রাসীদের গুলিতে রাজু খুন হলেও পুলিশ অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেনি। রাজুর স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে। ১৯৯৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর শিবির ক্যাডারদের হাতে রাবি শের-ই-বাংলা হলে নিহত হয় ছাত্রমৈত্রীর তৎকালীন রাবি শাখা সহ-সভাপতি জুবায়ের চৌধুরী রিমু (সাতক্ষীরা)। কিন্তু ২৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও রিমু হত্যার কোনো বিচার হয়নি। ২০০১ সালে খালেদা জিয়া দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রদলের সন্ত্রাস ও হানাহানি এতটাই বেড়ে যায় যে, সরকার নাসিরউদ্দিন আহমাদ পিন্টুকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়। পিন্টু তখন দলের সংসদ সদস্য ও ছাত্রদলের সভাপতি। ২০০২ সালের ৮ জুন টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে আহসান উল্লাহ হলের সামনে বুয়েট দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনি (চট্টগ্রাম) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। কিন্তু সনির হত্যাকারীদের মৃত্যুদন্ড মওকুফ করে যাবজ্জীবন করা হয়। ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ আমলে ঢাবি এফ রহমান হলে ছাত্রলীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হয় শিক্ষার্থী আবুবকর (টাঙ্গাইল)। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার রায়ে ২০১৭ সালের ৭ মে ছাত্রলীগের সাবেক ১০ জন নেতা-কর্মীর সবাই বেকসুর খালাস পায়। ২০১০ সালে রাবি এস এম হলে শিবিরের হাতে খুন হয় ছাত্রলীগের ফারূক (জয়পুরহাট)। খুন হয় লতিফ হলের লিপু (ঝিনাইদহ) নামের আরেক ছাত্রলীগ কর্মী। কোনটারই বিচার হয়নি। ফারূক হত্যায় পুলিশ অভিযোগপত্র দিলেও লিপু হত্যার তদন্তই শেষ হয়নি। ২০১২ সালে জাবি ছাত্রলীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমাদ (পটুয়াখালী) নিহত হয়। ছয় বছর পর হাইকোর্ট অভিযুক্ত ছাত্রলীগের পাঁচ জন কর্মীকে মৃত্যুদন্ড দিলেও সে রায় কার্যকর হয়নি। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর সকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মীরা নিরীহ দর্জি শ্রমিক বিশ্বজিৎ দাস (নড়িয়া, শরীয়তপুর)-কে বিনা কারণে প্রকাশ্য-দিবালোকে শত শত মানুষ ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। হাইকোর্ট দু’জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে ছয়জনকে রেহাই দেয়। পলাতক আছে ১৩ জন।
উপরের রিপোর্টগুলি দেখে বুঝা যায় যে, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের সশস্ত্র ক্যাডাররাই ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংস করে। তারা নিজেদেরকে আইনের ঊর্ধেŸ মনে করে। তাই আসল রোগ হলো নিজেদেরকে বিচারের ঊর্ধেŸ মনে করা। আবরার হত্যার বিচার হবে কি হবে না, সেই প্রশ্নের উত্তর দেবে ভবিষ্যৎ। তবে যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেই যে ইতিপূর্বে সংঘটিত ১৫০টি খুনের বিচার না হলেও বর্তমান ১৫১তম খুনটির বিচার হবে। অপরাধীরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মন্দ রীতি চালু হয়েছে, তার অবসান হবে কি?
আবরার হত্যাকান্ডে অভিভাবকরা তো বটেই, ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল বাদে সাধারণ ছাত্ররা ছাত্র রাজনীতির বিপক্ষে সোচ্চার হয়েছে। কারণ এদেশে ছাত্র রাজনীতি অর্থ সরকারি দল ও বিরোধী দলের লেজুড় ও লাঠিয়াল বাহিনী মাত্র। অথচ কোনো অভিভাবক বা ছাত্র এটা চায় না। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সাথে সাথে তাদেরকে মূলতঃ সরকারি ছাত্র সংগঠনের সদস্য হতে বাধ্য করা হয়। ফলে ভালো ছাত্র হওয়ার চাইতে ভালো লাঠিয়াল হওয়াই তাদের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। যাতে পার্টি ক্ষমতায় গেলেই দ্রুত কোটিপতি হওয়া যায়। তারা সরকারি বা বিরোধী দলের নেতাদের তোষণে ও শ্লোগানে ব্যস্ত থাকে। প্রতিপক্ষের হামলায় মরলেই এদের নামে ‘শহীদ’ তকমা লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিচার কখনোই হয় না। ফলে এই হত্যার রাজনীতি চলতেই থাকে। সবকিছুর জন্য দলীয় রাজনীতি দায়ী। যারা ছাত্র রাজনীতির পক্ষে তারা বলেন, ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে ভবিষ্যৎ জাতীয় রাজনীতির হাতে খড়ি হয়। অতএব এর প্রয়োজন আছে। এর বিপক্ষের লোকেরা বলেন, এর প্রয়োজন নেই। কেননা ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। যোগ্য ও মেধাবী ছাত্র-শিক্ষকরা তাদের কর্তব্য হিসাবে এটা করবেনই। এক্ষেত্রে শাসক ও দায়িত্বশীলদের অবশ্যই ভিন্ন মতের প্রতি সহনশীল ও শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। সেই সাথে সকলের প্রতি ন্যায়বিচার থাকতে হবে। উপমহাদেশের সেরা রাজনীতিবিদরা কেউ ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে আসেননি। ঢাকার নবাব পরিবার, যাদের নেতৃত্বে পাকিস্তান আন্দোলন হয়েছে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এমনকি মাওলানা ভাসানী, সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা কেউই ছাত্র রাজনীতি করে নেতা হননি। অথচ তাঁরাই ছিলেন এ দেশের মূল নিয়ামক।
অতএব, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক দলাদলি থেকে মুক্ত রাখতে হবে। এজন্য সর্বাগ্রে শাসকদলসহ রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে এই মর্মে যে, তারা তাদের লেজুড় ছাত্র ও যুবসংগঠন এবং শিক্ষক সংগঠন সৃষ্টি করবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে মেধা বিকাশের কেন্দ্রে পরিণত করতে হবে। এজন্য আমাদের প্রস্তাব:
(১) বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টিসমূহ থেকে জ্যেষ্ঠতম ১৫ জন শিক্ষক নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গঠিত হবে। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠতম তিন জন প্রফেসরের নাম প্রেসিডেন্টের নিকটে প্রস্তাব আকারে প্রেরণ করবেন। প্রেসিডেন্ট তাঁদের মধ্য থেকে একজনকে ভাইস চ্যান্সেলর হিসাবে মনোনয়ন দেবেন। অতঃপর তিনি সিন্ডিকেটের পরামর্শ ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করবেন। প্রো-ভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রারসহ সকল প্রশাসনিক পদ হবে ভিসির মনোনীত। সকল বিষয়ে ভিসি হবেন দল নিরপেক্ষ এবং সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতর ১১ জন তাদের স্ব স্ব শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করবে। ছাত্রদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছাত্রসহ প্রতি ফ্যাকাল্টির সেরা এক বা দু’জন ছাত্রকে নিয়ে সর্বোচ্চ ১৫ জনের একটি ‘ছাত্র সংসদ’ গঠিত হবে। তবে ছাত্র সংসদের ভিপি ও জিএসকে অবশ্যই মাস্টার্স ও ৪র্থ বর্ষ সম্মান শ্রেণির ছাত্র হতে হবে। প্রতিটি বিভাগেও অনুরূপভাবে মেধা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ১১ জনের একটি বিভাগীয় ছাত্র সংসদ থাকতে পারে। কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও প্রয়োজনবোধে মেধা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। (২) সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সর্বপ্রকারের দলাদলিমুক্ত রাখতে হবে এবং গ্রুপিং করাটাই সবচাইতে বড় অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে। শিক্ষক ও ছাত্রদের জন্য রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক সকল প্রকারের দলাদলি নিষিদ্ধ থাকবে। (৩) বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের সময় মেধা ও যোগ্যতা নিরূপণের জন্য সর্বস্তরে উচ্চতর শ্রেণি ও মেধা স্তর দেখার সাথে সাথে তাদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিতে হবে এবং তাদের আক্বীদা-আমল, সদাচরণ ও দেশপ্রেম যাচাই করতে হবে।
লেখক: সাবেক শিক্ষক, আরবী বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন