কোন পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই মঙ্গলবার দুপুর থেকে বরিশাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রুট সমুহে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় সাধারন যাত্রীরা চরম দূর্ভেগে পড়েছেন। সরকার দলীয় নিয়ন্ত্রিত বরিশাল মহানগরীর দুটি বাস টার্মিনাল থেকে পরিবহন শ্রমিকরা যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়ার পেছনে মালকিদেরও সায় রয়েছে বলে দাবী করেছেন যাত্রী সাধারন। তবে শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃৃবৃন্দের দাবী এটা কোন ধর্মঘট নয়, নতুন সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ থাকায় তারা বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বাস চালানোর পক্ষে থাকলেও ‘শ্রমিকরা চালাচ্ছেন না’ বলে দাবী করছে।
বাস চলাচল বন্ধের পর স্বল্প দূরত্বের যাত্রীরা থ্রী হুইলারে যাতায়াত শুরু করলে পরিবহন শ্রমিকেরা তাতেও বাঁধা দেয়। বরিশাল মহানগরীর কেন্দ্রীয় ও রূপাতলী মিনিবাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, অদূরে থ্রি-হুইলারগুলো আটকে দিচ্ছে পরিবহন শ্রমিকরা। ফলে যাত্রীদের অসহায়ের মতো থ্রী হুইলার থেকে নেমে যেতে হচ্ছে। অনেকে রিক্সায় বা ভ্যানে আবার কেউ পায়ে হেটেও রওয়ানা দিয়েছেন।
জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ফরিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কার্যকর হওয়া নতুন সড়ক পরিবহন আইনে দুর্ঘটনার জন্য বাস শ্রমিকদের মৃত্যুদন্ড সহ বিভিন্ন ধারায় সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। মৃত্যুদন্ডের বিধান মাথায় রেখে শ্রমিকরা বাস চালাবেন না। এ কারনে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে তারা অভ্যন্তরীন রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই বাস বন্ধ করে দেয়া প্রসঙ্গে ফরিদ হোসেন বলেন, এটা ইউনিয়নের কোন সিদ্ধান্ত নয়, সাধারন শ্রমিকরা বাস চালাবে না।
জেলা বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কিশোর কুমার দে জানান, জেল-জরিমানার ভয়ে শ্রমিকরা বাস চালাচ্ছেন না। ধর্মঘটের সঙ্গে মালিকদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। রূপাতলী মিনিবাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন বলেন, এ টার্মিনালেও সকাল থেকে শ্রমিকরা বাস চালাচ্ছেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন